নাদালের এমন 'অবসর' চায়নি তাঁর প্রতিপক্ষও!

ম্যাচ অসমাপ্ত রেখেই বিদায় নেওয়ার হতাশায় বিষণ্ন নাদাল। ছবি: এএফপি
ম্যাচ অসমাপ্ত রেখেই বিদায় নেওয়ার হতাশায় বিষণ্ন নাদাল। ছবি: এএফপি
>ইউএস ওপেনে ছেলেদের এককে সেমিফাইনালে হাঁটুর চোটের জন্য ম্যাচ অসমাপ্ত রেখেই সরে দাঁড়ান রাফায়েল নাদাল। এতে ফাইনালে নোভাক জোকোভিচের মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত করেছেন হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো

হাঁটুর ব্যথা তাঁর জন্য নতুন কিছু নয়। ক্যারিয়ারজুড়েই এর সঙ্গে লড়তে হয়েছে। কাল লড়তে হলো আরও একবার। রাফায়েল নাদাল এবার পারেননি। হাঁটুর চোটের কাছে হার মেনে তাঁকে ছিটকে পড়তে হলো ইউএস ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে।

বছরের এই শেষ গ্র্যান্ডস্লামের তৃতীয় রাউন্ডে পুরোনো ব্যথাটা উঁকি দিয়েছিল নাদালের হাঁটুতে। তখন যে কোনোভাবে সামলাতে পারলেও সেমিতে কুলিয়ে উঠতে পারেননি। শেষ চারের প্রতিপক্ষ হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো ৭-৬ (৭/৩), ৬-২ গেমে এগিয়ে থাকতে ম্যাচ থেকে ‘অবসর’ নিয়ে নেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন নাদাল।

হাঁটুর ব্যথা কমাতে ম্যাচের মধ্যে চিকিৎসকের দ্বারস্থ নাদাল। ছবি: রয়টার্স
হাঁটুর ব্যথা কমাতে ম্যাচের মধ্যে চিকিৎসকের দ্বারস্থ নাদাল। ছবি: রয়টার্স

আর তাতে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বাছাই দেল পোত্রো গত নয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেখা পেলেন গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনালের। শিরোপাজয়ের লড়াইয়ে তাঁর প্রতিপক্ষ সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ। তবে নাদালের এমন বিদায় ছুঁয়ে গেছে দেল পোত্রোকেও। কোর্টেই নাদালকে জড়িয়ে ধরে তাঁর দুঃখের ভাগীদার হয়েছেন। ফাইনাল নিশ্চিতের পর বলেছেন, ‘নাদালকে এভাবে দেখতে চাইনি। তাঁর জন্য খারাপ লাগছে। এভাবে ম্যাচ জিততে চাইনি।’

সেমির লড়াই চলাকালীন দুইবার চিকিৎসকের সাহায্য নিয়েছেন নাদাল। কিন্তু ব্যথাটা দমিয়ে রাখতে না পারায় কোর্টে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি শীর্ষ বাছাই এই তারকা। ব্যথাতুর মুখেই ৩২ বছর বয়সী নাদাল বলেন, ‘খেলা চালিয়ে যাওয়া ভীষণ কঠিন ছিল। ব্যথাটা প্রচণ্ড। মনে হয়েছে কোর্টে যেন একজন খেলছে। অবসর নিতে ঘৃণা করি—কিন্তু আর এক সেটও চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হতো না।’

নাদালের এমন বিদায় চাননি তাঁর প্রতিপক্ষ দেল পোত্রোও। তাই সান্ত্বনা দিলেন। ছবি: রয়টার্স
নাদালের এমন বিদায় চাননি তাঁর প্রতিপক্ষ দেল পোত্রোও। তাই সান্ত্বনা দিলেন। ছবি: রয়টার্স

প্রথম সেট ২-২ ব্যবধানে থাকতেই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন নাদাল। এরপর দ্বিতীয় সেটে আরও একবার। অথচ সেমির আগে অনুশীলনের সময় তাঁর হাঁটুতে কোনো ব্যথা ছিল না। ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়াতে না চাইলেও সিদ্ধান্তটা যে বাধ্য হয়েই নিয়েছেন, তা সমর্থকদের জানিয়েছেন ১৭ গ্র্যান্ডস্লামজয়ী এই তারকা, ‘ভেবেছিলাম ব্যথাটা কমবে কিন্তু তা ঘটেনি। যতক্ষণ পেরেছি সহ্য করেছি। ম্যাচ শেষের আগেই বিদায় বলাটা আমার জন্য অনেক কঠিন কিন্তু অনেক সময় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হয়।’