নেইমার ফুটবলের কিম কার্দাশিয়ান!

বড় মঞ্চে অনুজ্জ্বল থাকার ফলে সমালোচনা চলছে নেইমারের। ছবি: রয়টার্স
বড় মঞ্চে অনুজ্জ্বল থাকার ফলে সমালোচনা চলছে নেইমারের। ছবি: রয়টার্স

ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের ভবিষ্যৎ, বার্সেলোনায় মেসির উত্তরসূরি, মেসি-রোনালদোর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী—নেইমারের পরিচয় দিতে কত কত বিশেষণই না ব্যবহার করা হয়েছে গত কয়েক বছরে। তবে কিম কার্দাশিয়ানের সঙ্গে তুলনা টানাটা বোধ হয় এবারই প্রথম। পিএসজির সুপার স্টারকে ফুটবলের কার্দাশিয়ান উপাধি দিয়েছেন সাবেক মার্শেই খেলোয়াড় ও ফ্লিটউড টাউন ক্লাবের বর্তমান ম্যানেজার জোয়ি বার্টন।

বিনোদন জগতে কিম কার্দাশিয়ান এক বিস্ময়ের নাম। কোনো অভিনয় প্রতিভা ছাড়া কিংবা কার্যত কোনো গুণ ছাড়াই রিয়্যালিটি শো করেই বিখ্যাত হয়ে গেছেন কার্দাশিয়ান। টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে অনুসারী সংখ্যাকে ব্যবহার করে এখন বড় উদ্যোক্তা কিম। তাঁর পরিচিতি ব্যবহার করে বোন ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও এখন মিলিওনিয়ার। প্রশ্নবিদ্ধ এই তারকার সঙ্গে তুলনীয় হওয়ার মতো কী এমন করলেন নেইমার!

চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছে পিএসজি। সে ম্যাচে নেইমারের পারফরম্যান্স নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে। নেইমার ও এমবাপ্পেদের সমালোচনা করে নায়ক নয়, অহংকারী তারকা বলেছেন ব্যালন ডি’ অর জয়ী জ্যঁ পিয়েরে পাপিন। নিজেদের তারকা মনে না করে দলের খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে বলেছেন পাপিন। পাপিন তবু সমালোচনার ক্ষেত্রে ফুটবলেই আটকে থেকেছেন। ইংলিশ মিডফিল্ডার বার্টনের অত রাখ ঢাক নেই, ‘আমার মতে সে (নেইমার) হলো ফুটবলের কিম কার্দাশিয়ান। নেইমার বিশ্বের সেরা ফুটবলার না। আমরা সেটা রাশিয়াতেই দেখেছি। সে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও মেসির মানেরও নয়। বিশ্বে ওর চেয়ে অনেক খেলোয়াড়ই এগিয়ে আছে।’

কিম কার্দাশিয়ান
কিম কার্দাশিয়ান

এরপরই কেন নেইমারকে ফুটবলের কার্দাশিয়ান ভাবেন সেটা বলেছেন বার্টন, ‘নেইমার ফুটবলীয় দক্ষতায় কোনো অবিশ্বাস্য প্রতিভা নয়। সে হলো বিপণনের প্রতিভা, একদম কার্দাশিয়ানদের মতো। যখন পিএসজিকে জর্ডান জার্সি (মাইকেল জর্ডান) পরতে দেখে সত্যি অবাক হয়েছি। আসলেই পিএসজি? এটা কোনো কথা? এটা তো বাস্কেটবলের ব্র্যান্ড। তোমরা হলে ফুটবল ক্লাব। বলুন তো শুধু আমারই এমন মনে হচ্ছে নাকি আমিই ব্যতিক্রম?’

অনেকেই ভাবতে পারেন। এক মৌসুম অলিম্পিক মার্শেইয়ে খেলেছেন বলেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পিএসজির এক তারকাকে এভাবে অপমান করছেন বার্টন। কিন্তু বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের তালিকা দিতে গিয়েই বার্টন নিশ্চিত করেছেন, অন্তত এসব ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করেন না। এসব ক্ষেত্রে একজন দক্ষ ম্যানেজারের মতোই সিদ্ধান্ত নেন, ‘বর্তমানে সবাই বড় দলকে সমর্থন দিতে চায়, যারা নিয়মিত জেতে। যখন আমার ছয় বছরের ছেলে খেলতে নামে, সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হতে চায়। মেসি, রোনালদো, মোহাম্মদ সালাহ-ভুলেও হ্যারি কেইন কিংবা নেইমার নয়। আমরা তো ঘরে এ নামটাও (নেইমার) নেই না!’