কুমিল্লা থেকেই রশিদকে চেনেন ইমরুল

>ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটি রশিদকে চড়ে বসতে দেয়নি। বরং শেষ দিকে উল্টো নিজেরাই চড়াও হয়েছিলেন। মাহমুদউল্লাহর দুটি ছক্কা কিংবা ইমরুলের রিভার্স সুইপ রশিদকে অপমানের লজ্জায় লাল টুকটুকে করেছে। রশিদের ৪৮ বল থেকে এই জুটির তোলা রান ৩৬
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলেছেন রশিদ খান। ফাইল ছবি
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলেছেন রশিদ খান। ফাইল ছবি

রশিদ খান যেন এক দুর্বোধ্য ধাঁধা। আর সেই ধাঁধাটাই কী সহজেই না মিলিয়ে দিল ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটি! তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ যখন নিজেদের একটু একটু করে গুছিয়ে নিচ্ছে, বোলিংয়ে এসেই উইকেট তুলে নিলেন রশিদ। রশিদের দ্বিতীয় ওভারেই মুশফিকের রানআউটটার পেছনে এই বোলারের চাপ একটা মনস্তাত্ত্বিক বাধা হয়েও থাকতে পারে। ওই পর্যন্ত যদি জিতে থাকেন রশিদ, বাকিটা সময়ে বিজয়ী বাংলাদেশই। ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটি রশিদকে আর চড়ে বসতে দেয়নি। বরং শেষ দিকে উল্টো নিজেরাই চড়াও হয়েছিলেন। মাহমুদউল্লাহর দুটি ছক্কা কিংবা ইমরুলের রির্ভাস সুইপ রশিদকে অপমানের লজ্জায় লাল টুকটুকে করেছে। রশিদের ৪৮ বল থেকে এই জুটির তোলা রান ৩৬। অথচ বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাকে নিজের বার্থডে পার্টি বানিয়ে ফেলেছিলেন রশিদ!

শুধু তো বাংলাদেশ নয়, এবারের এশিয়া কাপে রশিদ ভুগিয়েছেন সব দলকেই। সেই রশিদকে কীভাবে পড়ে ফেলেন ইমরুল? একটা কারণ হতে পারে, রশিদকে সতীর্থ হিসেবে বিপিএলে পেয়েছেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন। যদিও ইমরুল ভুলটা ভাঙালেন, 'আমি আসলে কুমিল্লাতে খুব একটা বেশি ওর বল নেটে পাইনি। কারণ আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ও রকম অনুশীলনও হয় না। বড় খেলোয়াড়েরা অমন অনুশীলন করেও না। নেটে তাই ওকে সেভাবে খেলা হয়নি।'

তাহলে? কীভাবে পারলেন? বিশেষ করে রশিদের গুগলি যেখানে বিভ্রান্ত করছে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদেরও। ইমরুল জানালেন, বিশেষ কোনো রহস্য নেই। মেনেছেন সহজ সাধারণ সূত্র, ‘কিছু কৌশল ছিল যেগুলো আমি অনুসরণ করেছিলাম ওর বলের গ্রিপিংয়ের (বল ধরার ধরন)। ভিডিও বিশ্লেষণ দেখছিলাম। ও যখন বল করছিল, তখন সেগুলো অনুসরণ করছিলাম। হয়তো ওই কারণেই আগে থেকে আমি পড়তে পারছিলাম, ও কী করতে চায় প্রতিটা বলে। আগের অনেক ভিডিও দেখছি। কোন গ্রিপে গুগলি করে, কোন গ্রিপে লেগ স্পিন করে। এ জিনিসটা আমি অনুসরণ করছিলাম, যখন বল গ্রিপ করে। এটা যখন আপনি আগে থেকে দেখবেন, তখন অনেক কিছু সহজ হয়ে যাবে।’

তার মানে কাজটা খুব সহজও ছিল না। যতই পড়ে ফেলুন, কঠিন কিছু পড়তেও তো কঠিনই লাগে। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের শাদাব খানকে খেলতে হবে। রশিদের বিপক্ষে খেলাটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে। ইমরুল যে এখনো মানছেন, রশিদই সেরা, ‘শাদাব খানকে খেলেছি আগে একবার। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ওর বলে আউট হয়েছি। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, বিশ্বের এখনকার ভয়ংকর লেগ স্পিনার রশিদ খান। ওর বল খেলা কঠিন। শাদাব খান অবশ্যই ভালো বোলার। কিন্তু ওর গ্রিপিংগুলো দেখা যায়। আগে থেকে বোঝা যায় কোনটা গুগলি বা লেগ স্পিন।'