ইকার্দি জাদুতে মিলান ডার্বি ইন্টারের

ইন্টারকে জিতিয়ে উচ্ছ্বসিত ইকার্দি। ছবি: রয়টার্স
ইন্টারকে জিতিয়ে উচ্ছ্বসিত ইকার্দি। ছবি: রয়টার্স
>ইকার্দি জাদুতে মিলান–ডার্বিতে হার এসি মিলানের। এ নিয়ে টানা সাত মিলন–ডার্বিতে জয় বঞ্চিত তারা

মাউরো ইকার্দি যে এসি মিলানকে দেখলেই জ্বলে ওঠেন। ইন্টার মিলান অধিনায়কের জন্য নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরা যেন বাড়তি অনুপ্রেরণা। এমনিতে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সব সময়ই উজ্জ্বল। শেষ চার ম্যাচে পাঁচ গোল তারই প্রমাণ। কিন্তু কাল এসি মিলানের বিপক্ষে তিনিই নায়ক ইন্টারের স্মরণীয় জয়ে। শেষ মুহূর্তের জাদুতে সান সিরোয় নেরাজ্জুরিদের আনন্দধারা বজায় রাখলেন ইকার্দি।

ম্যাচের মূল আকর্ষণ অবশ্য কেড়ে নিয়েছিল ‘অফসাইড’। সান সিরোয় দুই দলের একটি করে গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডের ফাঁদে পরে। ১২ মিনিটেই ইন্টার মিলানকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ইকার্দি। মার্সেলো ব্রোজোভিচের বাড়ানো ক্রস মাতিয়াস ভেসিনোর মাথা ছুঁয়ে আসে ইকার্দির কাছে। সেখান থেকে বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে অফসাইডের ফাঁদে পরতে হয় এসি মিলান ডিফেন্ডার মাতেও মোসাক্কিওকে। সুসোর বাড়ানো ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দেন অধিনায়ক এসিলিও রোমানলি। কিন্তু তখন অফসাইডে দাঁড়িয়ে ছিলেন মোসাক্কিও। বল জালে জড়ালেও ভিএআর-এর কারণে গোল বাতিল করতে হয় রেফারিকে। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়।

শেষ মুহূর্তের ভুলে মাঠে ছাড়তে হয়েছে মাথা নিচু করে। ছবি: রয়টার্স
শেষ মুহূর্তের ভুলে মাঠে ছাড়তে হয়েছে মাথা নিচু করে। ছবি: রয়টার্স

দুই দলের মুহুর্মুহু আক্রমণের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দুই গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারোমা ও সামির হানদানোভিচ। দুজনে মিলে ৮টি দুর্দান্ত সেভ করেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ভুলেই সব জলাঞ্জলি গেল এসি মিলানের। ম্যাচের ৯০ মিনিটে ডেভিড কালাব্রিয়াকে বদলে নামানো হয় আবাতেকে। সেই পরিবর্তনই যেন কাল হলো। যে মাতিয়াস ভেসিনোর কারণে অফসাইডে প্রথম গোল বাতিল হয়েছিল, ডানপাশ থেকে তার বাড়ানো ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে জয় এনে দেন মাউরো ইকার্দি। অথচ সেসময় আবাতের মার্ক করার কথা ইকার্দিকে। ডোনারোমার পজিশনিং ভুল করা ও বাজে মার্কিং মিলান ডার্বিতে আরেকটি পরাজয় হাতে ধরিয়ে দিল এসি মিলানকে।

এ নিয়ে শেষ সাত মিলান ডার্বিতে অপরাজিত রইল ইন্টার মিলান। তবে এর দোষ পুরোপুরি ডোনারোমার কাঁধে দিচ্ছেন না কোচ জেনেরো গাত্তুসো, ‘আমরা একটি দল হিসেবে খেলেছি। হারের পর কারও একার দোষ নেই। আমরা কিছুটা ছন্নছাড়া ছিলাম, এবং গোল হজম করেছি। যে কারণেই হারতে হয়েছে।”

তবে ইন্টার কোচ লুসিয়ানো স্পেলেত্তি খেপেছেন এসি মিলানের ওপর। তার কথা, ‘এসি মিলান একটি টেকনিক্যাল দল, কিন্তু তাদের কাছ থেকে এ রকম ফিজিক্যাল খেলা আশা করিনি। প্রথমার্ধেই আমাকে তিনজন খেলোয়াড় বলেছে তাঁদের মাঠে থেকে তুলে নিতে। নাইনগোলানকে তুলে নিতেও হয়েছে। আমি যেভাবে খেলতে চেয়েছিলাম, সেটি খেলতে পেরে অবশ্য আমি খুশি।

এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে তুলে এনেছে ইন্টার মিলানকে। ৯ ম্যাচে ৬ জয় আর ১ ড্রয়ে তাঁদের সংগ্রহ ১৯ পয়েন্ট। আর এসি মিলান এখনো রয়েছে ১২ নম্বর পজিশনে। ৮ ম্যাচে ৩ জয়, ৩ ড্রয়ে তাঁদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট।