সেমিফাইনালে শেখ রাসেল

বল দখলে এগিয়ে ছিল শেখ রাসেল, ম্যাচেও। সৌজন্য ছবি
বল দখলে এগিয়ে ছিল শেখ রাসেল, ম্যাচেও। সৌজন্য ছবি
>চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে শেখ রাসেল। বসুন্ধরা কিংস ও বিজেএমসির মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে তারা

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠ যেন মোমোদুহ বাহর জন্য আতঙ্কের এক নাম! শেষ মৌসুমে শেখ জামালের জার্সিতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে আইসিইউতে যেতে হয়েছিল গাম্বিয়ান এই স্ট্রাইকারকে। দল বদল করে চট্টগ্রাম আবাহনীতে নাম লিখিয়েছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি। আজ আবার মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ থেকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর দল চট্টগ্রাম আবাহনীও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। একমাত্র গোলটি করেছেন নাইজেরিয়ান রাফায়েল অনব্রো।

খাতা–কলমে চট্টগ্রামের দল থেকে বেশ এগিয়ে শেখ রাসেল। বল দখলের লড়াই ও আক্রমণেও এগিয়ে ছিলেন সাইফুল বারি টিটুর শিষ্যরা। তবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নিয়েও ট্যাকটিকসের জোরে টিটুর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। রক্ষণভাগের ওপর জোর দিয়ে কাউন্টার অ্যাটাক ও সেটপিসে বেশ কয়েকবার পরীক্ষাও নিয়েছে বর্তমান রানার্সআপরা। কিন্তু রাফায়েলের গোলটা মীমাংসা করে দিয়েছে সেমিফাইনাল খেলবে কারা।

উজবেকিস্তানের আজিজভ আলিশার, ব্রাজিলের অ্যালেক্স রাফায়েল ও নাইজেরিয়ার রাফায়েলকে নিয়ে রাসেলের দুর্দান্ত আক্রমণভাগ। এদের পেছনে জ্বালানি হিসেবে জাতীয় দলের উদীয়মান ফরোয়ার্ড বিপলু আহমেদ। বিল্ডআপ খেলে ঝড়ের গতিতে আক্রমণে উঠেছে তারা। কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে চট্টগ্রাম হোল্ডিং মিডফিল্ডার কিরগিজ ড্যানিয়েল ট্যাগোর সামনে থামছিল সব আক্রমণ।

দ্বিতীয়ার্ধে ট্যাকটিকসে পরিবর্তন আনেন টিটু। মাঝখানে রাফায়েলের সঙ্গে খেলতে থাকা আজিজভকে নিয়ে আসা হয় উইংয়ে। এই জুটির রসায়নেই খুলেছে গোলের মুখ। বাম প্রান্তে আজিজভকে বল দিয়ে গোলমুখে মুভ করেন রাফায়েল। উজবেক ফরোয়ার্ডের ক্রস প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলে ফিরতি বলে জটলা থেকে দূরের পোস্টে বল পাঠান রাফায়েল। ৪৭ মিনিটের এই গোলটিই করে দিয়েছে ম্যাচের মীমাংসা।

যদিও ৬৬ মিনিটে গোলের সহজ একটি সুযোগ নষ্ট করেছেন বিপলু। রাফায়লের ছোট থ্রু নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর তরুণ এই উইঙ্গারের সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক নেহাল। কোনো পরীক্ষাই নিতে পারলেন না, তালগোল পাকিয়ে তুলে দিয়েছেন হাতে।

বিপলুর এই গোল মিসের খেসারতের দেওয়ার সুযোগ ছিল মোমোদুহর। কিন্তু ৭১ মিনিটে চট্টগ্রাম ডিফেন্ডার এলিসন উদোকার সঙ্গে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাঁকে। মোমোদুহবিহীন আবাহনী সমতায় ফেরার মতো কোনো সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেনি।