প্রতিপক্ষ পাচ্ছে না বাংলাদেশ ফুটবল দল, পরিবর্তে হচ্ছে ক্যাম্প

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি
>প্রতিপক্ষ জোগাড় না করতে পারায় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের

২০১৬ সালের ভুটানের কাছে হারের পর শীতনিদ্রায় গিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল। দীর্ঘ ১৮ মাস পর লাওসের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ দিয়ে ফেরা। এরপর বিরতি দিয়ে এশিয়ান গেমস, সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ও সব শেষে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। টানা খেলার মধ্যেই ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। কিন্তু শিগগিরই আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হচ্ছে না জামাল ভুঁইয়াদের। কারণ, ইতিউতি করেও পাওয়া যায়নি প্রতিপক্ষ।

বাংলাদেশ কোচ জেমি ডের চাওয়া নিয়মিত আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলা। এই লক্ষ্যে চলতি মাসে নির্ধারিত ফিফা উইন্ডোতে (১২ থেকে ২০ নভেম্বর) ভুটান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ঢাকায় একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করার ইচ্ছে ছিল বাফুফের। কিন্তু ভুটানের অপারগতায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর শ্রীলঙ্কাকে ঢাকায় এসে প্রীতি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল বাফুফে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় লঙ্কানরাও মানা করে দিয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী মার্চের আগে আর আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামা হচ্ছে না দলের।

প্রীতি ম্যাচের জন্য দল পাওয়া যায়নি। তাই ফেডারেশন কাপের মাঝে যুব দলের জন্য ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছে বাফুফে। এএফসি অনূর্ধ্ব–২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে ফুটবলারদের ৫ দিনের সংক্ষিপ্ত ক্যাম্প করবেন কোচ জেমি ডে। এ জন্য ২৪ ফুটবলার নির্বাচন করেছেন কোচ। রোববার সন্ধ্যায় খেলোয়াড়দের রিপোর্টিংয়ের পর সোমবার সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু হবে অনুশীলন। চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।

বাছাইপর্বের গ্রুপ ‘বি’তে আছে বাংলাদেশ। আগামী বছর ২২ থেকে ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ও স্বাগতিক বাহরাইন ছাড়া অন্য দুটি দল শ্রীলঙ্কা ও ফিলিস্তিন। ২২ মার্চ নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২৪ মার্চ ফিলিস্তিন ও ২৬ মার্চ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে লাল-সবুজরা।

এশিয়ার ৪৭ দেশের মধ্যে ৪৪টি খেলছে বাছাইপর্বে। ১১ গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা চার রানার্সআপ উঠবে চূড়ান্তপর্বে, যা অনুষ্ঠিত হবে ২০২০ সালে থাইল্যান্ডে। স্বাগতিক হিসেবে থাইল্যান্ড সরাসরি চূড়ান্তপর্বে খেলবে। আবার অংশ নিচ্ছে বাছাইপর্বেও। এ ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড যদি বাছাইপর্ব থেকে কোয়ালিফাই করে, তাহলে চারটির পরিবর্তে সেরা পাঁচ রানার্সআপ চূড়ান্ত পর্বে উঠবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ১১ দলের সঙ্গে।

ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ফুটবলার

গোলরক্ষক: মোহাম্মদ নাইম, পাপ্পু হোসেন, মাহফুজ হাসান প্রিতম, আনিসুর রহমান জিকু।

ডিফেন্ডার: টুটুল হোসেন বাদশা, মনির হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, রহমত মিয়া, ইয়াসিন আরাফাত, রিয়াদুল হাসান, রবিউল হাসান, সুশান্ত ত্রিপুরা।

মিডফিল্ডার: বিপলু আহমেদ, মো. আল আমিন, আরিফুর রহমান, মাসুদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন সুজন, মাসুক মিয়া জনি, সোহানুর রহমান।

ফরোয়ার্ড: জাফর ইকবাল, মো. স্বাধীন, মতিন মিয়া, মাহবুবুর রহমান সুফিল ও মো. ইব্রাহিম।