ফরাসি সৌরভ কেড়ে নিল কমলা শিবির
>উয়েফা নেশনস লিগে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচে একটি করে গোল করেন নেদারল্যান্ডসের উইনালডম ও ডেপে।
কমলা রঙের ঢেউ ডি কুইপ স্টেডিয়ামের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে আছড়ে পড়েছে শুক্রবার রাতে। সে ঢেউয়ে ধুয়ে-মুছে গেছে ফরাসিদের সৌরভ। উয়েফা নেশনস লিগে আজকের ম্যাচে অন্তত এ কথা বলাই যায়। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডস শেষ মুহূর্তের স্পট কিক থেকে আদায় করা গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেই মাঠ ছাড়ে।
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ—আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে বিশ্বকাপে বাছাইপর্বের দেয়াল টপকাতে না পারা নেদারল্যান্ডস। আর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দশা দেখে মনে হয়েছে, তারা বুঝি মাত্রই ফুটবল খেলতে নেমেছে! ৪-৩-৩ ছকে খেলতে নামা দেশমের শিষ্যদের মনে হয়েছে রংচটা, বিবর্ণ। আর ৪-২-৩-১ ছকে খেলতে নামা কোয়েমান–শিষ্যদের মধ্যে ছিল প্রতিশোধের জ্বালা। ‘এ’ লিগে গ্রুপ-১–এর প্রথম লেগে ২-১ গোলে হেরেছিল নেদারল্যান্ডস। সে জন্যই দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে কমলা শিবিরের প্রতিশোধটা হয়েছে মনের মতো।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেত পারত স্বাগতিকেরা। ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিসের বাধার মুখে ব্যর্থ হয় নেদারল্যান্ডসের উইনালডম। খানিক পর গোলের সুযোগ পেয়েছে ফ্রান্সও। গ্রিজমানের দুর্বল হেড সহজেই আটকে দেন নেদারল্যান্ডসের গোলরক্ষক সিলেসেন।
বলের দখলে এগিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডসের আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত সময় পার করা ফরাসিদের বুকে প্রথম ছুরি চালান উইনালডম। ৪৪তম মিনিটে রায়ান বাবেলের শট প্রথম চেষ্টায় ফেরান লরিস। তবে পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি। বল পেয়ে যান উইনালডম। নেদারল্যান্ডসের মিডফিল্ডারের শটে বল জাল জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় নেদারল্যান্ডস। তবে তাঁদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান লরিস একাই। ৬৩তম মিনিটে উইনালডম-ডেপেদের এক-এক করে তিনটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন লরিস। যোগ হওয়া সময়ে হতাশাগ্রস্ত ফরাসি মিডফিল্ডার সিসোকো নিজেদের সীমানায় ফাউল করে বসেন। রেফারিও পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দেরি করেননি। ডেপের সফল স্পট কিকে বল তার আপন ঠিকানা খুঁজে নেয়। লরিস একা আর কত!