ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের কেমন দেখলেন সৌম্য-মিঠুনরা

অপরাজিত থেকে ফিরছেন বিসিবি একাদশের দুই ব্যাটসম্যান মিঠুন ও ফজলে রাব্বি। ছবি: বিসিবি
অপরাজিত থেকে ফিরছেন বিসিবি একাদশের দুই ব্যাটসম্যান মিঠুন ও ফজলে রাব্বি। ছবি: বিসিবি
>এমএ আজিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচটা ড্র হয়েছে। ক্যারিবীয় পেসারদের কেমন দেখেছেন, বিসিবি একাদশের হয়ে খেলা মোহাম্মদ মিঠুন সেটি জানালেন দিন শেষে।

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটা ড্র হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা প্রথম ইনিংসে করেছেন ৭ উইকেটে ৩০৩, বিসিবি একাদশ করেছে ৫ উইকেটে ২৩২। দুদিনে ফল আশা করাও বাড়াবাড়ি। এই ম্যাচের একটাই অর্থ, নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দলে থাকা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সৌম্য সরকার-সাদমান ইসলামের ঝালিয়ে নেওয়াটা মন্দ হয়নি। দুজনই খেলেছেন ৭০ পেরোনো ইনিংস। মোহাম্মদ মিঠুন অপরাজিত ছিলেন ২৭ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। গত জুলাইয়ে ক্যারিবীয়দের পেসারদের সেই তোপ নিশ্চয়ই ভুলে যাননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রস্তুতি ম্যাচে যদিও উইন্ডিজ পেসাররা খুব একটা সাফল্য পাননি অবশ্য। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ৮ ওভার বোলিং করে ২৪ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। কেমার রোচ সেখানে ১৮ রানে ১ উইকেট। এক দিনে অবশ্য একটি দলের বোলার সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া কঠিন। তবে ক্যারিবীয় পেসারদের নিয়ে বিসিবি একাদশের প্রতিনিধি হয়ে আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা মিঠুন বললেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলাররা অবশ্যই ভালো। ওদের পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন নেই। অবশ্যই বিশ্বমানের বোলার। হয়তো উইকেটের কারণে আমরা অনেক স্বচ্ছন্দে খেলেছি এখানে। উইকেটের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। উইকেটে বেশি সহায়তা না থাকলে বোলারদের কিছু করারও থাকে না।’

প্রস্তুতি ম্যাচে ফল আসবে না, অনুমিতই ছিল। তবে এই ম্যাচে খেলাটা মিঠুনকে কাজে দেবে, ‘ওদের বোলারদের খেলেছি, একটা ধারণা তো হয়েছেই। এতটুকুই আমাকে পরের ম্যাচে সহায়তা করবে। টেস্টে আমাকে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে একটা সুবিধা হয়েছে, ওদের বোলারদের আগেই খেলতে পারলাম।’ তবে এই প্রস্তুতি ম্যাচে একটি জায়গায় নিজেদের এগিয়ে রেখেছেন মিঠুন, ‘ওরা আমাদের স্পিন খেলেছে। আমাদের ব্যাটসম্যানরাও কিন্তু ওদের ভালো মোকাবিলা করেছে। ওদের তুলনায় আমাদের শুরুটা অনেক ভালো হয়েছে। যদি টপ অর্ডারের কথা বলেন, তাহলে আমি বলব আমাদের শুরুটা ভালো ছিল।’

এই শুরুটা যদি বাংলাদেশ ২২ নভেম্বর থেকে শুরু চট্টগ্রাম টেস্টেও ধরে রাখতে পারে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এবার কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে।