জয়ের মানসিক শক্তিই নেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের!

চাপে ভেঙে পড়ার রোগ কীভাবে সারানো যায়, ভাবছেন মিকি আর্থার
চাপে ভেঙে পড়ার রোগ কীভাবে সারানো যায়, ভাবছেন মিকি আর্থার
চাপে ভেঙে পড়ার অভ্যাস পাকিস্তানের নতুন নয়। সেদিনও আবুধাবিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে তীরে এসে তরী ডুবেছে তাদের। চাপ উতরিয়ে কীভাবে ম্যাচ জিতে আসতে পারবে পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা? এর উত্তর খুঁজতে মনোবিদের সাহায্য চাইছেন পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার।


খেলার মাঠে চাপ মোকাবিলা করার জন্য মনোবিদের সাহায্য নেওয়ার সংস্কৃতিটা নতুন নয়। ক্রিকেট খেলুড়ে অনেক দেশের খেলোয়াড়ই মনোবিদের সাহায্য নেন, মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর জন্য, যাতে খেলার মাঠে প্রতিকূল পরিস্থিতিগুলোতে মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ জিতে আসা যায়। এবার এমনই সাহায্য চাইছেন পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার, নিজের দলের খেলোয়াড়দের জন্য। 

চাপে ভেঙে পড়ে প্রতিপক্ষকে ম্যাচ উপহার দিয়ে আসার ঘটনা পাকিস্তানের জন্য নতুন কিছু নয়। কয়েক দিন আগে শেষ হওয়া আবুধাবি টেস্টের কথাই ধরুন, শ্বাসরুদ্ধকর সে ম্যাচে জেতার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও শেষমেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে চার রানে আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তান দল। আর্থার মনে করেন, খেলোয়াড়দের মধ্যে জয়ের সেই মানসিকতাই নেই, যেটি থাকলে যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ জিতে আসা যায়। শুধুমাত্র একজন ক্রীড়া মনোবিদই পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের এই মানসিক বাধাটা দূর করতে পারেন, এমনটাই মনে করছেন পাকিস্তান কোচ।
তবে কোচের এই উদ্যোগ সম্বন্ধে নাকি অন্ধকারেই আছেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, ‘আমি ব্যাপারটা সম্পর্কে হালকা-পাতলা শুনেছি, কিন্তু আমি আসলেই জানি না তিনি (মনোবিদ) কীভাবে আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। আমি আমার ক্যারিয়ারে কখনো মনোবিদের সঙ্গে কাজ করিনি। তাই আমি বলতে পারছি না মনোবিদের সঙ্গে কাজ করলে কি লাভ।’
তবে দলের ব্যাটসম্যানরা যে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করছেন না, রান তাড়া করতে গিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছেন, এটা স্বীকার করেছেন অধিনায়ক, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানেরা বড় ইনিংস খেলতে পারছে না, তারা রান তাড়া করতে গিয়ে চাপে ভেঙে পড়ছে, উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছে। ব্যাটসম্যানদের এই বদ অভ্যাসটা দূর করতে হবে।’
পাকিস্তান দলের মনোবিদের সাহায্য নেওয়ার ঘটনা কিন্তু এটাই প্রথম নয়। তবে আগে মনোবিদের সাহায্য নিয়েও তেমন কোনো উন্নতি করতে পারেনি পাকিস্তান। ক্রিকেটের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দল হিসেবে দিনের পর দিন তাদের ‘সুনাম’ বেড়েই চলেছে।