খেলার নামে কী না হচ্ছে!

কয়েক বছর ধরে অনিয়মই নিয়ম ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে। অর্থ আর পেশিশক্তির কাছে হেরে ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট এখানে চূড়ান্ত অভদ্র। মাঠের খেলার চেয়ে বড় ভোটের স্বার্থ। পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং আর পাতানো ম্যাচ দেখে বড় হচ্ছে নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা। চলতি মৌসুমে প্রথম ও তৃতীয় বিভাগ লিগের বেশ কয়েকটি ম্যাচে মাঠে উপস্থিত থেকে এবং খেলোয়াড়, ক্লাব কর্মকর্তা, ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ার ও স্কোরারদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকার ক্রিকেটের ভয়াবহ এক চিত্র তুলে ধরেছেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ


নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রেও এর চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থায় থাকে রোগী। বাঁচার শেষ আশাটা অন্তত থাকে। ঢাকার ক্রিকেট লিগের অবস্থা তার চেয়েও মরণাপন্ন। ক্ষমতার লোভ, পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং, পাতানো ম্যাচ, পয়েন্ট বেচাকেনা আর বিবেকহীন মানসিকতার বিষাক্ত ছোবলে নীল থেকে আরও নীল হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। অন্যায়-অবিচারের ‘ক্যানসার’ ছড়িয়ে পড়ছে এর শিরা-উপশিরায়। 

ক্লাব ক্রিকেটে আম্পায়ারদের নিয়ে প্রশ্ন ও পাতানো ম্যাচের অভিযোগ আগেও কখনো কখনো উঠেছে। তবে তখন হাতে গোনা দু-একটি ম্যাচেই এসব ঘটত। সেটিতে রাখঢাকও থাকত। কারণ, ক্লাব কর্মকর্তাদের তখন অন্তত চক্ষুলজ্জাটা ছিল। মর্যাদাবোধ ছিল তখনকার আম্পায়ারদেরও।


সেসবের কিছুই এখন অবশিষ্ট নেই। গোপনে, প্রকাশ্যে, চিৎকার করে, হুমকি-ধমকি দিয়ে, গালাগাল শুনিয়ে, সিন্ডিকেট করে, টাকা ছিটিয়ে-যে যেভাবে পারছে লুটে নিচ্ছে অন্যের জয়, লুটিয়ে দিচ্ছে প্রতিপক্ষকে। ক্লাব কর্মকর্তা, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি, স্কোরার, এমনকি খেলোয়াড়দের মধ্যেও মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে অন্যায়ভাবে সফল হওয়ার অসুস্থ মানসিকতা। ক্রিকেট এখানে আর ক্রিকেট নেই, মল্লযুদ্ধ। বিবেক-বুদ্ধি-কাণ্ডজ্ঞান বিসর্জন দিয়ে ছোট-বড় প্রায় সবাই নিজেদের স্বার্থে ধ্বংস করে দিচ্ছে ক্রিকেটার গড়ে ওঠার সূতিকাগার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগকে। বিষাক্ত করে দিচ্ছে নবীন ক্রিকেটারদের বায়ুমণ্ডল। দিন দিন ‘কার্বন ডাই-অক্সাইড’ই হয়ে উঠছে তাদের ‘অক্সিজেন’।


প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া খেলোয়াড়েরা অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উইকেটে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যেই আম্পায়ারকে অশ্রাব্য গাল দিচ্ছেন। তুই-তোকারি, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করছেন। খেলা শেষে আম্পায়ারদের পা ছুঁয়ে কপট ‘সালাম’ করে আসছেন। আম্পায়ার-ম্যাচ রেফারিদের এসবের জবাব দেওয়ার মুখ নেই। তাঁরাও জানেন, গাল দেওয়ার অধিকার খেলোয়াড়দের আছে এবং তাঁরা নিজেরা অধিকার হারিয়েছেন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে ওই খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে দুই কলম রিপোর্ট লেখার। বিবেকটা যে বিক্রি করে দিয়েছেন আগেই! অনেক আশা নিয়ে ঢাকা লিগে খেলতে আসা মফস্বলের ক্রিকেটাররা মাঠ ছেড়ে আসেন ঊর্ধ্বপানে চেয়ে। যেন সৃষ্টিকর্তাই তাঁদের একমাত্র সহায়।


হ্যাঁ, বিচারের জন্য এখন সরাসরি সৃষ্টিকর্তার শরণাপন্ন হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। কারণ, বিতর্কিত আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে সিসিডিএম বা বিসিবির কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও পাওয়া যায় না কোনো প্রতিকার। পাওয়ার কথাও নয় অবশ্য। কেউ কি আর নিজের বিচার নিজে করে?

ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেটে এখন অনিয়মই নিয়ম। ছবি: তারেক মাহমুদ
ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেটে এখন অনিয়মই নিয়ম। ছবি: তারেক মাহমুদ

প্রথম ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে নির্দিষ্ট কিছু ক্লাবকে অন্যায় সুবিধা পাইয়ে দিতে কাজ করে একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী, যেটি বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিককে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় বলে অভিযোগ। এই গোষ্ঠীর মূল উদ্দেশ্য ভবিষ্যৎ বিসিবি নির্বাচনে অবস্থান শক্তিশালী রাখতে যত বেশিসংখ্যক নিজেদের ক্লাবকে লিগের পয়েন্ট তালিকার ওপরের দিকে রাখা। ভোটব্যাংক সমৃদ্ধ হয় তাতে। আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি ও স্কোরারদের প্রভাবিত করে অন্যায়ভাবে ম্যাচ জেতার চেষ্টার এটাই কারণ। মল্লিক অবশ্য এই অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।


প্রিমিয়ার লিগ এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট মিলিয়ে ৭৬টি ক্লাবের প্রায় ৬০টি ক্লাবই আছে একই ছাতার নিচে। ক্লাবের কমিটিতে যাঁরাই থাকুক না কেন, এসব ক্লাব চলে বিসিবির ১৩-১৪ জন পরিচালকের যৌথ অর্থায়নে। বিসিবির বিভিন্ন সাব-কমিটির লোকজনও আছেন সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলোর সঙ্গে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক স্বীকার করেছেন, ‘যা-ই হচ্ছে, এই ১৩-১৪ জন পরিচালকের সম্মতি ও সমর্থন ছাড়া কিছু হচ্ছে না।’


সূত্র জানিয়েছে, ইসমাইল হায়দার মল্লিকের নাম বেশি আলোচনায় থাকলেও আম্পায়ার প্রভাবিতকরণ এবং পাতানো ম্যাচের সুবিধা পায় ওই পরিচালকদের সবার ক্লাব। ক্লাবগুলোর সঙ্গে বোর্ড পরিচালক বা তাঁদের আস্থাভাজনদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় আম্পায়াররা মাঠে তাঁদের পক্ষে অবস্থান নেন। অনেক সময় ক্লাবগুলো নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ম্যাচও খেলে। তবে ইসমাইল হায়দার মল্লিকের দাবি, ‘বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে আম্পায়ারদের প্রভাবিত করা হয় না। পাতানো ম্যাচ খেলার তো প্রশ্নই ওঠে না। এ রকম কিছু ঘটলে সেটি মাঠপর্যায়ের লোকজন করে থাকবেন।’


প্রথম বিভাগে আম্পায়ারদের প্রভাবিত করে অন্যায় সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ আছে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টিং, উদয়াচল, কালিন্দী ক্রীড়াচক্র, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমি, ইন্দিরা রোড ক্রীড়াচক্র, অ্যাক্সিওম টেকনোলজিস, শেখ জামাল ক্রিকেটার্স ও মোহাম্মদপুর ক্রিকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে উদয়াচলের সভাপতি বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান।


১৪ নভেম্বর ফতুল্লায় প্রথম বিভাগ লিগে উদয়াচলের সঙ্গে ম্যাচ চলাকালে আজাদ স্পোর্টিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমান ক্ষুব্ধ কণ্ঠে এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, ‘প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ খেলাই উচিত না। আম্পায়ার যদি তার পছন্দমতো আউট দেয় বা আউট না দেয়, খেলার কোনো দরকার আছে? এর আগেও সূক্ষ্মভাবে এসব হয়েছে। কিন্তু আজ যেটা হয়েছে, একদম খোলামেলা।’


আম্পায়ার সাইদুর রহমান আগের ম্যাচেও আজাদের বিপক্ষে অন্যায় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ক্যাপ্টেনস রিপোর্টে আজাদের ম্যাচে তাঁকে আর দায়িত্ব না দিতে অনুরোধ করেছিল ক্লাবটি। অথচ ঠিক পরের ম্যাচেই উদয়াচলের বিপক্ষে আবারও ম্যাচ পরিচালনা করেন সাইদুর। এই ম্যাচের পর ক্যাপ্টেনস রিপোর্টে সাইদুরের ব্যাপারে ক্লাবটির অধিনায়ক লেখেন, ‘এদের (আম্পায়ার) মতো বিবেকহীন পশুদের এই দায়িত্ব দিলে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না। আমাদের আগের খেলায়ও এই পশু দায়িত্ব নিয়েছিল। আমরা অনাস্থা দিয়েছিলাম। তাহলে কেন মন্তব্য দিতে হয় আমাদের? আল্লাহ তাআলার কাছে বিচার দিলাম। ওদের এই জঘন্য কৃতকর্মের জন্য দোজখেও যেন স্থান না হয়।’ এ ব্যাপারে সাইদুরের মন্তব্য জানতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন রিহার্সালে (তিনি মঞ্চনাটকেরও অভিনেতা) ব্যস্ত। আপনাকে পরে ফোন দেব।’ কিন্তু পরে তিনি আর ফোন করেননি।


বিশেষ কিছু ক্লাবকে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত অন্য আম্পায়ারদের মধ্যে রিজওয়ান পারভেজ, তৌহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, তারিকুল হাসান ও শাহ আলমের কথা বেশি শোনা যায়।


যোগাযোগ করা হলে রিজওয়ান, তৌহিদ ও শাহ আলম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারিকুলের বক্তব্য, ‘যারা জেতে তাদের কাছে আমরা ভালো, যারা হারে তাদের কাছে খারাপ। তবে আমি মানুষ, ভুলভ্রান্তি হতেই পারে।’ জাহাঙ্গীর আলম অবশ্য এটুকুও স্বীকার করতে রাজি নন, ‘কেউ যদি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাহলে কিছু বলার নেই। আমি সঠিক সিদ্ধান্তই দিই।’


বিস্ময়কর হলেও সত্যি, আম্পায়ারিং নিয়ে যে এত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, কলঙ্কিত হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট, তার কিছুই নাকি জানেন না বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান সাইফুল আলম চৌধুরী! তিনি দাবি করলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ এখনো আমি পাইনি। যদি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাই, তাহলে আমি এটা দেখব, ইনশা আল্লাহ।’ সিসিডিএম থেকেও নাকি বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি।


আম্পায়ারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ আছে তৃতীয় বিভাগের সুরিটোলা ক্রিকেটার্স ক্লাবের কর্ণধার, বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ স্কোরার্স অ্যান্ড আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধেও।


১৭ নভেম্বর ফতুল্লা আউটার স্টেডিয়ামে অন্যায় আউটের প্রতিবাদে সুরিটোলার প্রতিপক্ষ সবুজ বাংলা ক্রীড়াচক্র বেশ কয়েকবারই তাদের খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে তুলে নিতে চেয়েছে, বন্ধ থেকেছে খেলা। পরে ম্যাচ রেফারির অনুরোধে তারা পুরো ম্যাচ খেলে এবং শেষ পর্যন্ত ২৪ রানে হারে। ম্যাচ শেষে সবুজ বাংলার কর্মকর্তা ও কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের ক্রিকেট সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এই ম্যাচে যে দুজন আম্পায়ারকে (সাইদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম) দেওয়া হয়েছে, তারা চুরি করার জন্য বিখ্যাত। আমরা যদি এদিন সুরিটোলাকে ৬০ রানে অলআউট করতাম, তাহলেও আম্পায়াররা আমাদের ৫৯ রানের মধ্যে অলআউট করে দিত। তারা আমাদের পাঁচটি এলবিডব্লু ও দুটি কট বিহাইন্ড দিয়েছে, যার কোনোটিই হয়নি। খেলা অনেকবার বন্ধ থেকেছে। কিন্তু ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি কাউকে ডাকেনি।’
সুরিটোলার মুজিবর সব অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো দাবি করেন, ‘আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কারণে যদি কোনো ক্লাব খেলোয়াড় তুলে আনে, এখানে আমাদের করার কিছু নেই। আমরা ফেয়ার খেলেছি, ফেয়ার খেলে জিতেছি। আমরা কোনো ম্যাচেই আম্পায়ারদের প্রভাবিত করিনি।’


সুরিটোলা ক্রিকেটার্স ক্লাব ছাড়াও তৃতীয় বিভাগে আম্পায়ার প্রভাবিত করে ম্যাচ জেতার অভিযোগ আছে আমিরুন স্মৃতি ক্রিকেট একাডেমি, আসিফ শিফা ক্রিকেট একাডেমি, রাইজিং স্টার ক্রিকেট ক্লাব, মিরপুর ক্রিকেট একাডেমি, তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি, কামরাঙ্গীরচর স্পোর্টিং ক্লাব ও গুলশান ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে। দুই বিভাগেই নির্দিষ্ট কিছু ক্লাবের বোলাররা ‘চাক’ করলেও ‘নো’ ডাকা হয় না। তাঁদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্টও করা হয় না।


অনিয়মই যেখানে নিয়ম, অন্য ক্লাবগুলোও বা বসে থাকবে কেন? সমঝোতার ভিত্তিতে পাতানো ম্যাচ খেলা বা অর্থের বিনিময়ে পয়েন্ট বেচাকেনায় জড়িয়ে পড়েছে প্রায় সব ক্লাব। পয়েন্ট বেচাকেনায় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিময় হয়েছে। তা ছাড়া অস্তিত্ব বাঁচাতে সাধারণ কিছু ক্লাবও এখন গোষ্ঠী চক্রে ভেড়ার চেষ্টা করছে।


অনেক আম্পায়ার-ম্যাচ রেফারির আছে চাকরি হারানোর ভয়। প্রথম বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘এক ম্যাচে আম্পায়াররা বলেন, “আমাদের কিছু বলে লাভ নেই। আমাদের বলে দিয়েছে তোমাদের দেড় শ রানের মধ্যে অলআউট করতে হবে। যদি না করি, আমরা আর আম্পায়ারিং পাব না। আমাদেরও তো পেট চালাতে হয়।”’


১৬ নভেম্বর ম্যাচ শেষে অ্যাক্সিওম টেকনোলজিসের বিপক্ষে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার ভিক্টোরিয়ার ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়েরা দুই আম্পায়ার সাইদুর ও শাহ আলমকে বিকেএসপির গেটে ঘেরাও করেন। ভয়ে আম্পায়াররা পরে আবার বিকেএসপির ভেতরে চলে যান। ঢাকায় ফেরেন রাতে।


মুষ্টিমেয় লোকের কারণে ঘরোয়া ক্রিকেট কলুষিত বেশ কয়েক বছর ধরেই। প্রতিবছরই এ নিয়ে আলোচনা হয়, বিসিবির শীর্ষ কর্তারা ‘সামনের বছর থেকে আর এমন হবে না’ বলে আশার বাণী শোনান। কিন্তু সেই ‘সামনের বছর’ কখনোই আসে না।