বাংলাদেশের সবকিছুতেই রাজনীতি দেখেন এই ইংলিশ কোচ

>
মোহামেডান লিমিটেডের কোচ ক্রিস্টোফার ইভান্স। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মোহামেডান লিমিটেডের কোচ ক্রিস্টোফার ইভান্স। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ফুটবলের পরিবেশ নিয়ে বেশ বিরক্ত মোহামেডানের ইংলিশ কোচ ক্রিস্টোফার ইভানস। চেলসির যুব প্রকল্পে কাজ করা এই কোচ বাংলাদেশের ফুটবলে দলাদলি ও রাজনৈতিক বিভাজন নিয়েও কথা বলেছেন।

‘মোহামেডানের ইংলিশ কোচ ত্রিস্টোফার ইভান্স ঢাকায় আসে না যায়!’—ক্লাবপাড়ায় অনেকেই রসিকতার সুরে বলে থাকেন কথাটি। এর যথেষ্ট কারণই আছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মোহামেডানের দায়িত্ব গ্রহণের পর চিকিৎসার জন্য ইংলিশ কোচ দেশে গেছেন দুবার। ফেডারেশন কাপে মোহামেডানের বিদায়ের পর নভেম্বরের শেষের দিকে সেই যে ছুটিতে গেছেন, আর ফেরেননি। কোচবিহীন মোহামেডান স্বাধীনতা কাপেও বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে।


টুর্নামেন্টের পালা শেষ। জাতীয় নির্বাচনের পরেই মাঠে গড়াবে প্রিমিয়ার লিগ। ইতিমধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, ইভান্স আর ঢাকায় আর ফিরছেন না। গুঞ্জনটি উড়িয়ে দিয়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় ফেরার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ৪৪ বছর বয়সী কোচ। কিন্তু স্বাধীনতা কাপের খারাপ ফলের জন্য নিজে দায় নিতে রাজি নন তিনি, ‘টুর্নামেন্টটির সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। টুর্নামেন্টের আগে আমি তাঁদের এক মিনিটের জন্যও কোচিং করাইনি। ঢাকায় ফেরার আগে আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’

এরপরই দেশের ফুটবলের বাজে পরিবেশের প্রসঙ্গ টানলেন চেলসির যুব প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা মোহামেডান কোচ, ‘বাংলাদেশের ফুটবলের পরিবেশ ফুটবলের উপযুক্ত নয়। পুরোটাই রাজনীতি।’ স্পষ্টত বাংলাদেশে সময়টা তাঁর ভালো যায়নি।

স্টিভ জবসের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন, ‘স্টিভ জবস বলেছেন, জ্ঞানী মানুষ নিয়োগ দিয়ে তাঁদের বুদ্ধি দেওয়াটা অনুচিত। বরং জ্ঞানী মানুষ নিয়োগ দেওয়া হয় বুদ্ধি নেওয়ার জন্য।’ স্টিভ জবসের বিখ্যাত এই কথা টেনে আনার কারণও দিলেন মোহামেডান কোচ, ‘এই বিষয়টিই বাংলাদেশে ঘটছে। তাঁদের বোঝা উচিত।’

পুরো মৌসুমের জন্য সাদা-কালোদের দায়িত্ব নেওয়া ইভান্সের খেলোয়াড়ি বা কোচিং ক্যারিয়ার আহামরি কিছু নয়। খেলেছেন নরউইচের আঞ্চলিক পর্যায়ে। আর কোচ হিসেবে মূলত কাজ করেছেন ইংলিশ লিগের ক্লাব নরউইচ ও চেলসির যুব প্রকল্পে। রেঞ্জার্স পার্কে চেলসির একটি যুব উন্নয়নকেন্দ্র আছে, সেখানে স্কাউটের দায়িত্ব পালন করেছেন।