'ডান হাত' হারালেন জেমি ডে!

জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলনে জেমি ডের পাশে দেখা যাবে না লিন্ডসে ডেভিসকে ( সবার ডানে)। ফাইল ছবি
জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলনে জেমি ডের পাশে দেখা যাবে না লিন্ডসে ডেভিসকে ( সবার ডানে)। ফাইল ছবি
>বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফিটনেস কোচের দায়িত্ব ছেড়েছেন লিন্ডসে ডেভিস। ইংলিশ এই ট্রেনারকে অনেকেই বলতেন কোচ জেমি ডে’র ডানহাত।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডের সাজানো সংসারে হঠাৎ ভাঙন। হঠাৎ করেই দায়িত্ব ছেড়েছেন দলের ফিটনেস ট্রেনার লিন্ডসে ডেভিস। বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন সিঙ্গাপুর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ডুলি পেনগিরান মুদা মাহকোতাতে।

বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই লিন্ডসেকে নিজেই পছন্দ করে বাংলাদেশে এনেছিলেন জেমি। কোচিং স্টাফের মধ্যে লিন্ডসেকে বলা হতো জেমির ‘ডান হাত।’ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তাতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বড় অবদান ছিল লিন্ডসের। তিনি এশিয়ার বড় বড় দলগুলির বিপক্ষে সমান তালে খেলার মতো শারীরিক সামর্থ্য তৈরি করে দিয়েছিলেন খেলোয়াড়দের। কাতারকে বাংলাদেশ হারিয়েছিল। থাইল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করেছিল ১-১ গোলে। প্রথমবারের মতো এশিয়াড ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লেখানোটা ছিল বড় সাফল্যই। এরপর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপেও বাংলাদেশ দলের ফিটনেসের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আপাতত জাতীয় দলের কোনো খেলা নেই। জেমিসহ কোচিং স্টাফের সবাই ছিলেন ছুটিতে। তাদের ফেরার কথা ছিল জানুয়ারিতেই। কিন্তু ৫ জানুয়ারি লিন্ডসে দায়িত্ব নিয়ে নেন সিঙ্গাপুরের ক্লাবটির। এটি ব্রুনেইয়ের রাজ পরিবারের মালিকানাধীন ক্লাব। এই দলটিরও প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন এক ইংলিশ—আদরিয়ান পেনোক।
কোনো সন্দেহ নেই সহকারী লিন্ডসকে হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগও নিশ্চিত করেছেন লিন্ডসের চলে যাওয়ার বিষয়টি, ‘লিন্ডসে মেইলে বাংলাদেশ থেকে অব্যাহতি চেয়ে গিয়েছেন।’ বিষয়টি হতাশার হলেও কোচ জেমি অবশ্য এটিকে ‘পেশাদারি’ দৃষ্টিতে দেখতে চান।
লিন্ডসের চলে যাওয়ার খবরটি শুনে খুবই মর্মাহত জাতীয় দলের তরুণ উদীয়মান উইঙ্গার বিপলু আহমেদ, ‘এশিয়ান গেমসে সবাই আমাদের ফিটনেসের প্রশংসা করেছে। কারণ লিন্ডসে আমাদের নিয়ে কাতার ও দক্ষিণ কোরিয়ায় খুবই ভালো ট্রেনিং করিয়েছে। তাঁর জিম ট্রেনিং খুবই ভালো। আমাদের খাদ্যাভ্যাসের ওপরেও তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল। আমাদের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কে সে খুবই ভালো বুঝতে পারত। ফলে আমাদের আলাদা আলাদা ট্রেনিং করাতেন।’