ভিত গাড়তে গাড়তেই সময় শেষ খুলনার

মালান ভালো ব্যাট করলেও শেষ করে আসতে পারেননি। ছবি: প্রথম আলো
মালান ভালো ব্যাট করলেও শেষ করে আসতে পারেননি। ছবি: প্রথম আলো
>

বিপিএলে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৫১ রান তুলেছে খুলনা টাইটানস

বিপিএল কেবল শুরু হয়েছে। কিন্তু খুলনা টাইটানস সমর্থকদের চিন্তার শেষ নেই। দল তিনটি ম্যাচ খেলে ফেললে অথচ জয়ের দেখা নেই। এই অবস্থা কার ভালো লাগে! খুলনার ব্যাটসম্যানদের ওপর দায় বর্তায় বেশি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় না পেলেও যা একটু ভালো খেলেছিলেন ব্যাটসম্যানরা। পরের দুই ম্যাচে সেটুকুও দেখা যায়নি। আজ ভালো করার ঝিলিক দেখা গেলেও ব্যাধি সারেনি।

পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারে মোটেও ভালো ব্যাটিং হয়নি। দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও জুনায়েদ সিদ্দিকিকে হারিয়ে খুলনা তখন ২ উইকেটে ৪৪। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ ও ডেভিড মালান আর উইকেট পড়তে না দিলেও ওভার প্রতি রান রেট আরও কমেছে। ২ উইকেটে ৭২ রান। পরের ৫ ওভারে রান রেট কিছুটা বাড়াতে পেরেছেন মাহমুদউল্লাহ-মালান জুটি (২ উইকেটে ১১১)। মূলত এ দুজনের ব্যাটে ভর করেই ৬ উইকেটে ১৫১ রান তুলতে পেরেছে খুলনা।

১৬তম ওভারের প্রথম বলে মালানকে লং অফে ক্যাচে পরিণত করেন চিটাগংয়ের পেসার আবু জায়েদ। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৩ বলে ৪৫ রান করেন এই ইংলিশ। এর মধ্য দিয়ে জুটি ভাঙে মালান ও মাহমুদউল্লাহর। এই দুই ব্যাটসম্যানের কাঁধে দলের স্কোর বড় করার গুরুদায়িত্ব ছিল। কিন্তু দুজনে মিলে ৭৪ বল খেলে করেছেন মাত্র ৭৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা উইকেটে সময় কাটিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ারই নামান্তর। দুজন যেন ভিত গাড়তে গাড়তেই খুলনার রান তোলার সময়টুকু ফুরিয়েছেন!

কার্লোস ব্রাফেট কিন্তু নেমে ঝড় তোলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এতে অবশ্য চিটাগংয়ের ফিল্ডার খালেদ আহমেদের অবদান কম নয়। দ্বিতীয় বলেই ব্রাফেট ক্যাচ তুলেছিলেন ফাইন লেগ অঞ্চলে। রসগোল্লার মতো সেই ক্যাচ খালেদ কীভাবে ছাড়লেন তা সত্যিই গবেষণার বিষয়!

শুধু খালেদ নন ক্যাচ ছেড়েছেন মালানের ক্যাচ ছেড়েছেন চিটাগংয়ের ক্যামেরন ডেলপোর্টও। মালানের মতো ব্রাফেট অবশ্য ‘জীবন’ পাওয়ার সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। ৫ বলে ১২ রান করে আউট হয়েছেন সানজামুলের ঘূর্ণিতে। পরের বলে মাহমুদউল্লাহকেও (৩৩) তুলে নিয়ে খুলনার বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখার ইতি টেনে দেন সানজামুল। খুলনার ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স বোঝাতে একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট—এই চার ম্যাচে ফিফটির মুখ দেখেছেন দলটির শুধু একজন ব্যাটসম্যান। সেটি রংপুরের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পল স্টার্লিং। আজ মালান ও মাহমুদউল্লাহ সেই সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি।

শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৪০ রান তুলতে পেরেছে খুলনা। এই ৩০ বলের ব্যবধানে তাঁরা হারিয়েছে ৪ উইকেট। যে সময়ে রানের গতি বাড়ানোর কথা তখন দ্রুত উইকেট পতনই বলে দেয় খুলনার ব্যাটসম্যানদের কি হাল!