বিগ ব্যাশে হলো ৭ বলের ওভার!

অদ্ভুত আউটের ধাক্কা সামলে ঠিকই জয় পেয়েছে পার্থ স্কর্চার্স। ছবি: টুইটার
অদ্ভুত আউটের ধাক্কা সামলে ঠিকই জয় পেয়েছে পার্থ স্কর্চার্স। ছবি: টুইটার
>

ওভারের ৭ম বলে উইকেত হারানো স্কর্চার্স ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে ৭ বল হাতে রেখে!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আম্পায়ারিং, সম্প্রচার, উপস্থাপনা ও ধারাভাষ্য নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। নিজেদের বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ হিসেবে দাবি করা বিপিএলের মান নিয়ে সমানে হাসি ঠাট্টা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সম্প্রচার, ধারাভাষ্য নিয়ে মানের প্রশ্নে সবাই বিগ ব্যাশের দিকে তাকাতে বলেন বিপিএলকে। ক্রিকেটকে নিত্যনতুন আইডিয়া দিতে যে জুড়ি নেই অস্ট্রেলিয়ার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের। তবে বিগ ব্যাশেও যে হাস্যকর ভুল হতে পারে, তার প্রমাণ মিলেছে কাল।

সিডনি সিক্সার্স ও পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার দিনের শেষ ম্যাচে ঘটেছে এক হাস্যকর কাণ্ড। ১৭৭ রান তাড়া করতে নেমেছিল স্কর্চার্স। বেন ডোয়ার্শুইসের দ্বিতীয় ওভারে বল গুনতে ভুল করেছিলেন দুই আম্পায়ার জিওফ জশুয়া ও সাইমন ফ্রাই। ফলে ওভারটি শেষ হলো ৭ বলে। সপ্তম বলটা একটা শর্ট বল করেছিলেন ডোয়ার্শুইস। কাট করে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েছেন ব্যাটসম্যান মাইকেল ক্লিঙ্গার। ডাইভিং ক্যাচ বলে আউট নিশ্চিত করতে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যান মাঠের দুই আম্পায়ার। তখনই ধরা পড়ে আম্পায়ারদের ওই ভুল।

এর চেয়েও মজার বিষয় ভুল ধরা পড়লেও সিদ্ধান্ত বদলানো যায়নি। ক্রিকেটের ১৭.৫.২ ধারা অনুযায়ী ‘আম্পায়ার যদি বল গণনায় ভুল করেন, তবে আম্পায়াররা যেটা ধরেছেন, সে অনুযায়ী ওভার হবে।’ পরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও নিশ্চিত করেছে সিদ্ধান্ত না বদলানোর কারণটি, ‘দেখা গেছে ওভারের বল হিসাবে ভুল হয়েছিল এবং আম্পায়াররা সাত বল করিয়েছেন। বলটা যখন করা হয়েছে তখন সবকিছু নিয়ম ও ক্রমানুযায়ী হচ্ছে বলেই মনে হয়েছে, তাই এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এ ঘটনা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী সাধারণ সভায় প্রতিবেদনে তোলা হবে এবং এ নিয়ে মন্তব্য তখন জানিয়ে দেওয়া হবে।’

সপ্তম বল হওয়ায় মূল ক্ষতিটা হয়ে স্কর্চার্সের। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ক্যামেরন ব্যানক্রফট ও ক্লিঙ্গার থাকার পরও বল বেশি হওয়ার ব্যাপারটি ধরতে না পারা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে তাদের কোচ অ্যাডাম ভোজেস বলেছেন, ‘এ দায়িত্ব আম্পায়ারদের, ওভারে কয় বল হলো এটা দেখা আম্পায়ারের কাজ।’

স্কর্চার্সের ভাগ্য ভালো, এ সিদ্ধান্তে ম্যাচের ফলে প্রভাব পড়েনি। ১০ রানে ক্লিঙ্গারের বিদায়ের ধাক্কা ঠিকই সামলে নিয়েছে তারা। ৬১ বলে ৮৭ রান করেছে ব্যানক্রফট। অধিনায়ক অ্যাশটন টার্নার ৩০ বলে নিয়েছেন ৬০ রান। তাতেই ৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে স্কর্চার্স। ওভারের সপ্তম বলে উইকেট পড়ার সঙ্গে মিলটা যদিও কাকতাল!