মেসি-রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাবেন যাঁরা

পিএসজিতে দুই সতীর্থ নেইমার ও এমবাপ্পে। দিবালা তাঁদের নিয়ে আশাবাদী। ছবি: টুইটার
পিএসজিতে দুই সতীর্থ নেইমার ও এমবাপ্পে। দিবালা তাঁদের নিয়ে আশাবাদী। ছবি: টুইটার
>

পাওলো দিবালার বিশ্বাস, মেসি-রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের

প্রায় এক যুগ ধরে ফুটবল মানেই মেসি-রোনালদো! এই দ্বৈরথ সেই যে শুরু হয়েছে, চলছে তো চলছেই। এমন দ্বৈরথ ফুটবল বিশ্ব আগে কখনো দেখেনি বললে অত্যুক্তি হয় না। আর তাই একটি প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরেই চলে আসে, তাঁদের ছাড়িয়ে যাওয়া কখনো সম্ভব কি না, কারও পক্ষে? পাওলো দিবালা কিন্তু একজন মতো একজন নয় এমন দু-দুজন ফুটবলারকে দেখছেন। নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।

২০০৭ সাল। কাকা জিতলেন ফুটবলের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি। সেদিন দূর থেকে দৃশ্যটি দেখতে হয়েছিল রোনালদো ও মেসিকে। পরের এক দশকে সমান সমান লড়েছেন মেসি-রোনালদো। দুজন মিলে এখন পর্যন্ত গোল করেছেন ১৩১৩টি। সতীর্থদের দিয়ে আরও ৪৭৯। ট্রফিসংখ্যাও গুণে শেষ করার মতো নয়! কয়েক মাস আগেও চিন্তাই করা যেত না যে মেসি-রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়া দূরের কথা তাঁদের অর্জনে ভাগ বসানোও সম্ভব! সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন লুকা মদরিচ। জিতেছেন বর্ষসেরার পুরস্কার। কিন্তু এঁদের দুজনকে ছাড়িয়ে যাওয়া কি সম্ভব? আর্জেন্টিনা আর জুভেন্টাসের তারকা খেলোয়াড় পাওলো দিবালার বিশ্বাস, সেটি খুব সম্ভব। আর তা করে দেখাবেন নেইমার আর এমবাপ্পে।

দিবালা বলেন, ‘নেইমার সর্বকালের সেরা হওয়ার পথেই আছে। আর এমবাপ্পে! সে যখন মোনাকোতে ছিল তখন তাঁর বিপরীতে খেলেছি। সে তো এই বয়সেই বুঝিয়ে দিয়েছে এই খেলায় সে কত কি অর্জন করতে এসেছে। এত অল্প সময়ের মধ্যেই সে একজন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সেও হতে যাচ্ছে সর্বকালের বিশ্বসেরাদের একজন।’

দিবালা সেই সৌভাগ্যবান ফুটবলারদের একজন যিনি মেসি-রোনালদো দুজনের সঙ্গেই ড্রেসিং রুম ভাগ করেছেন। সতীর্থ হিসেবে একজনকে পেয়েছেন জাতীয় দলে আরেকজনকে ক্লাবে। তাঁদের প্রশংসা করতে ভুলে যাননি এই আর্জেন্টাইন । দিবালার ভাষ্য, ‘বর্তমানে আমার কাছে মেসি-রোনালদোই সেরা। দুজনেই সমমানের খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে সেরা কাউকে বাছাই করা অসম্ভব একটা বিষয়।’

ক্যারিয়ারে ২৬ বছর বয়সেই নেইমারের গোলসংখ্যা ২৮৭। জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন কনফেডারেশনস কাপ। আর এমবাপ্পে কুড়ি বছর বয়সের আগেই জিতেছেন বিশ্বকাপ। এখন পর্যন্ত তাঁর গোলসংখ্যা ৬৬।