রং বদলের ম্যাচে জয় কুমিল্লার

সাকিবের বিধ্বস্ত চেহারায় বলে দিচ্ছে ম্যাচের চিত্র। ছবি: প্রথম আলো
সাকিবের বিধ্বস্ত চেহারায় বলে দিচ্ছে ম্যাচের চিত্র। ছবি: প্রথম আলো
>কুমিল্লার ১৫৩ রানের জবাবে ১৪৬ রান তুলেছে ঢাকা।

দারুণ একটা ম্যাচ দেখলেন মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসা দর্শকেরা। বিপিএল ঢাকা ডায়নামাইটস আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মধ্যকার ম্যাচটি যে জমবে, এটা অনুমিতই ছিল। রং বদলানোর এই ম্যাচটা কুমিল্লা শেষ পর্যন্ত জিতে নিয়েছে ৭ রানে। প্রথমে ব্যাটিং করে কুমিল্লার ১৫৩ রানের সংগ্রহটাকে দারুণ বোলিংয়ে ঢাকার নাগালের বাইরে রেখেছেন থিসারা পেরেরা, শহীদ আফ্রিদিরা। আজকের ম্যাচ জিতে ঢাকা আর চিটাগংয়ের সঙ্গে বিপিএলের পয়েন্টে ব্রাকেটবন্দী হলো ইমরুল কায়েস আর তামিম ইকবালের দলটি। 


১৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা খুব কঠিন ছিল না ঢাকা ডায়নামাইটসের জন্য। বিশেষ করে দলটিতে যখন সাকিব আল হাসান আর আন্দ্রে রাসেলদের মতো তারকারা আছেন। লক্ষ্য তাড়া করে ব্যাটিংয়ে নেমেই ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপি হয়েছিল তারা। কিন্তু সাকিব আর রাসেলের একটা জুটিতেই ম্যাচের মোড় পুরোপুরিই নিজেদের দিকে টেনে নেয় ঢাকা। দল যখন জয়ের পথে ঠিক তখনই ৬ রানের ব্যবধানে প্রথমে সাকিব আর রাসেল আউট হয়ে গেলে ম্যাচটা চলে যায় কুমিল্লার দিকে।

এই মোড় ঘোরানোর দুই নায়ক শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা ও আফ্রিদি। তারা সাকিব, রাসেলের উইকেট দুটি তুলে নেন একেবারে ঠিক সময়ে। সাকিব ১৯ বলে ২০ করেন। রাসেলের উইকেটটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ২ চার ও ৫ ছক্কায় ২৪ বলে ৪৬ রান তুলে ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন।

পেরেরা এখানেই থামেননি। তুলে নেন নুরুল হাসানের উইকেটটিও। এর আগে আফ্রিদি ফেরান দারউইশ রাসুলকে। রান তাড়ার শুরুতেই হজরতউল্লাহ জাজাইকে ফিরিয়ে ঢাকাকে বিপদে ফেলেছিলেন সাইফউদ্দিন। এরপর সুনীল নারাইন রান আউট হয়ে বিপদ বাড়িয়েছেন। ওয়াহাব রিয়াজ মাঝে রনি তালুকদারকে আউট করে ঢাকার বিপদের মাত্রা বাড়িয়েছিলেন।

কুমিল্লা ঢাকার বোলারদের নিখুঁত বোলিংয়ে ১৫৩ রানের বেশি যেতে পারেনি। কিন্তু কুমিল্লার বোলাররা ছাপিয়ে গেছেন ঢাকার বোলারদেরও। সাইফউদ্দিন কিছুটা খরচে হলেও একটি উইকেট পেয়েছেন। পেরেরা, আফ্রিদি, ওয়াহাবরা তো ছিলেন দুর্দান্ত। লঙ্কান তারকা পেরেরা ৩ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ব্যাটিংয়ে ধার হারালেও আফ্রিদির লেগব্রেক যে আজও টি-টোয়েন্টির জন্য দারুণ, সেটি আজ প্রমাণ করেছেন। ৪ ওভারের কোটায় পাকিস্তানি তারকা ১৮ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। বাঁ হাতি ফাস্ট মিডিয়াম, আরেক পাকিস্তানি ওয়াহাব ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।