অবশেষে 'দ্বিতীয়' জয় পেল খুলনা

৩ উইকেট নিয়ে খুলনার জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তাইজুল। ছবি: প্রথম আলো
৩ উইকেট নিয়ে খুলনার জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তাইজুল। ছবি: প্রথম আলো
>বিপিএলে আজ সিলেট সিক্সার্সকে ২১ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইটানস। বিপিএলে ৯ ম্যাচ খেলে এটি তাঁদের দ্বিতীয় জয়

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৮৫ রানের এক ইনিংস দিয়েই জাতীয় দলে ফিরেছেন সাব্বির রহমান। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে মাঠে থাকতেই সুখবরটি পৌঁছেছে তাঁর। এতে সাব্বিরের খুশি হওয়ারই কথা। আর তাই সাব্বিরের কাছ থেকে একটি ভালো ইনিংস দেখার প্রত্যাশা মোটেও বাড়াবাড়ি ছিল না। ভক্তরা তো এমন আশা করতেই পারেন। ১৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেট সিক্সার্স বিপর্যয়ে পড়েছে ইনিংসের প্রথম বলেই। এখান থেকে সাব্বির টেনে তুলতে পারতেন দলকে।

ব্যাট হাতে সাব্বির পারেন তো অনেক কিছুই। বাঘা বাঘা বোলারদের যেমন নাকানি-চুবানি খাওয়াতে পারেন তেমনি পারেন উইকেট বিলিয়ে দিতেও। আজ অবশ্য ভক্তদের চাওয়ার বিপরীতে দেখা গেল বিলিয়ে দেওয়া সাব্বিরকে। সিলেটের ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ওপেনার লিটন দাস। সাব্বির ফিরলেন দলের স্কোরবোর্ডে ৩২ রান যোগ হওয়ার পর। পঞ্চম ওভারে তাইজুল ইসলামকে কেন ডাউন দ্য উইকেট এসে উড়িয়ে মারতে চাইলেন সেটি একটি প্রশ্ন। যেহেতু দল বড় রান তাড়া করতে নেমে, আরেকটু ধরে খেলতে পারতেন। কিন্তু লং অনে সাব্বির ক্যাচ দেওয়ার পর সিলেট এখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

৫ ওভার শেষে সিলেটের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৩২। ১০ ওভার শেষে ৬৫ রান তুলতে তাঁরা হারিয়েছে আরও দুটি উইকেট। সেটি নবম ওভারে, শেষ চারের বলের ব্যবধানে অলক কাপালি (১১) ও আফিফ হোসেনকে (২৯) ফিরিয়েছেন তাইজুল। সিলেটের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনজনই এই স্পিনারের শিকার। ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।

মোহাম্মদ নওয়াজ ও নিকোলাস পুরান চেষ্টা করেছিলেন। ১০ম ওভার থেকে জুটি বাঁধেন এই পাকিস্তানি ও ক্যারিবিয়ান। তাঁদের সৌজন্যে ১৫ ওভার শেষে ৩০ বলে ৫৮ রানের দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছিল সিলেট। পরের ওভারে শুভাশীষকে দুই ছক্কা মেরে মোট ১৬ রান নেন পুরান। জয়ের সমীকরণ নেমে আসে ২৪ বলে ৪২ রানে। তেমন কঠিন লক্ষ্য নয় আবার উইকেট পতন কিংবা কয়েকটি ‘ডট’ হলে কঠিনও।

জুনায়েদ খান পরের ওভারে মাত্র ৭ রান দেওয়ায় শেষ তিন ওভারে ৩৫ রান দরকার ছিল সিলেটের। নওয়াজ ও পুরান তখন উইকেটে ‘সেট’ থাকায় জয়ের আশা ছিল সিলেটের। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পুরান (২৮)। বিপদ ঘনীভূত হয় সিলেটের। খুলনার পেসার ডেভিড ভিসে ওই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়ায় শেষ দুই ওভারে ভীষণ চাপে পড়ে সিলেট। ১২ বলে ৩১ রানের দূরত্বে পিছিয়ে ছিল দলটি।

১৯তম ওভারে পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান ৫ রানে ১ উইকেট নিয়ে খুলনার জয়কে কেবল সময়ের ব্যাপারে পরিণত করেন। ৩৪ বলে ৫৪ রান করা নওয়াজকে তিনি তুলে নেন ওই ওভারে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২৬ রান দরকার ছিল খুলনার। ইয়াসির শাহ এসে শেষ ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। নয়ে ব্যাটিংয়ে নামা নাসির হোসেন শেষ দুই বলে কোনো রান নেওয়ারই চেষ্টা করেননি! ৭ উইকেটে ১৪৯ রানে সিলেট থেমে যাওয়ায় ২১ রানের জয় পেলে খুলনা। বিপিএলে এটি তাঁদের দ্বিতীয় জয়। টানা তিন ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় জয়ের মুখ দেখল দলটি। ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে খুলনা।