মেসিহীন বার্সেলোনা, বোয়েটেংয়ের শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো

পিকেদের চেহারাই বলে দিচ্ছে ম্যাচের ফলাফল। ছবি: এএফপি
পিকেদের চেহারাই বলে দিচ্ছে ম্যাচের ফলাফল। ছবি: এএফপি
>কোপা ডেল রেতে সেভিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটিতে সেভিয়ার হয়ে একটি করে গোল করেন পাবলো সারাবিয়া ও বেন ইয়েদের।

বার্সেলোনায় জার্সি গায়ে আজই প্রথম মাঠে নামলেন কেভিন প্রিন্স বোয়েটেং। ইতালি থেকে স্পেনে উড়ে এসে প্রথম ম্যাচটা মোটেই সুখকর হলো না ঘানার এই বংশোদ্ভূত জার্মানের। রীতিমতো দুঃস্বপ্ন বলা যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত বরং পুরোনো শিষ্যের ওপরই ভরসা রাখতে হয়েছে ভালভার্দের। ৬৩তম মিনিটে কাতালানদের হয়ে ধারে খেলতে আসা বোয়েটাংকে তুলে নিয়ে লুইস সুয়ারেজকে মাঠে নামান বার্সা কোচ। কিন্তু সুয়ারেজও শেষ রক্ষা করতে পারেননি; সেভিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে বার্সেলোনা।
কোপা ডেল রেতে সেভিয়ার বিপক্ষে এর আগের নয়বারের দেখায় একবারই হেরেছিল বার্সেলোনা। ন্যু ক্যাম্পে ২০১০ সালের ম্যাচটি স্বাগতিকেরা হেরেছিল ২-১ গোলের ব্যবধানে।

সেভিয়ার দ্বিতীয় গোলটি করেন বেন ইয়েদের। ছবি: এএফপি
সেভিয়ার দ্বিতীয় গোলটি করেন বেন ইয়েদের। ছবি: এএফপি

মেসিহীন বার্সেলোনা ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল নিয়ে খেলে। বল দখলে পিছিয়ে থাকা সেভিয়া প্রথমার্ধে বার্সেলোনার আক্রমণভাগকে আটকে রাখতে পেরেছে সফলভাবে। প্রথমার্ধে খানিকটা রক্ষণাত্মক খেলতে থাকা সেভিয়া বলের দখল বাড়ায় দ্বিতীয়ার্ধে এসে। রয়েসয়ে হানা দেয় বার্সেলোনার রক্ষণে। এতেই ভেঙে চুরমার বার্সার রক্ষণদেয়াল। ৫৮তম মিনিটে বার্সেলোনার সমর্থকদের বুকে প্রথম ছুরি চালান সেভিয়ার পাবলো সারাবিয়া। সুবিধাজনক জায়গায় ছিলেন বেন ইয়েদের ও সারাবিয়া। সেভিয়ার ফরোয়ার্ড প্রমেসের অসাধারণ পাস থেকে শেষপর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংটি করেন সারাবিয়া। এর আগে ৪১তম মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন বার্সেলোনার ম্যালকম।

বার্সেলোনার বুকে প্রথম ছুরি চালান সারাবিয়া। ছবি: এএফপি
বার্সেলোনার বুকে প্রথম ছুরি চালান সারাবিয়া। ছবি: এএফপি

গোল হজম করে নড়েচড়ে বসেন ভালভার্দে। মাঠে নামান সুয়ারেজ ও কুতিনহোকে। এতে আক্রমণে সামান্য গতি বাড়লেও কাজের কাজ আসলে হয়নি। উল্টো ব্যবধান দ্বিগুণ করে সেভিয়া। ৭৬তম মিনিটে বেন ইয়েদেরের ট্যাপ-ইনে ক্ষতবিক্ষত হয় বার্সা ভক্তদের হৃদয়। বেন ইয়েদেরের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হওয়ার পর গোল পরিশোধের প্রাণপণ চেষ্টা চালায় বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় তাদের সব চেষ্টাই!