সুখবরের মধ্যে সৌম্যর কষ্টের অভিজ্ঞতা

আজও রাজশাহীর একাদশের বাইরে সৌম্য। ছবি: প্রথম আলো
আজও রাজশাহীর একাদশের বাইরে সৌম্য। ছবি: প্রথম আলো
>

আজও রাজশাহীর একাদশে ঠাঁই মেলেনি সৌম্যর। বিপিএলে রাজশাহী একাদশের বাইরে থাকায় যদি মন খারাপ হয়, জাতীয় দলের ক্ষেত্রে সৌম্যর জন্য সুখবরই রেখেছেন নির্বাচকেরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে তিনি আছেন।

সিলেটে যে ম্যাচটা মায়ের নাম নিয়ে খেলল রাজশাহী কিংস এবং জিতল, সেটিতে একাদশেই থাকা হয়নি সৌম্য সরকারের। তাঁর জার্সিতেও লেখা ছিল মায়ের নাম, যদি একাদশে থাকতে পারতেন এবং দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলতে পারতেন, কতটা আবেগময় মুহূর্ত হতো তাঁর জন্য!

আবেগ পরে, সৌম্য এখন নিষ্ঠুর বাস্তবতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। বেশ কয়েক ম্যাচ ধরেই তাঁর জায়গা হচ্ছে না রাজশাহী কিংসের একাদশে। বিপিএলে এই একটা দল, যারা অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজির তুলনায় স্থানীয় খেলোয়াড়দের ওপর বেশি ভরসা রাখছে। মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম, জাকির হাসান, আরাফাত সানি কিংবা মার্শাল আইয়ূবরা সে আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেনও। দলে বিদেশিদের তুলনায় স্থানীয়রাই বেশি আলো ছড়াচ্ছেন।

অথচ এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারছেন না সৌম্য। ৬ ম্যাচে রান করেছেন ৩৮। এই রানখরা টিম ম্যানেজমন্টকে নিরুৎসাহিত করছে তাঁকে একাদশে নিতে। সিলেট ও ঢাকার দুটি ম্যাচ বাদ পড়ার পর আজ চট্টগ্রাম পর্বের শুরুতেও তাই সৌম্য একাদশের বাইরে। রানখরা নিয়ে সৌম্য নিজেও বিচলিত। বিপিএলের মধ্যে যে কদিন তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে, বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে চিন্তিত দেখা গেছে নিজের ফর্ম নিয়ে। সৌম্যর রানখরা নিয়ে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডসের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের ভূমিকা নিয়ে, ‘সে কি ওপেনার? সে কি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান না কি অলরাউন্ডার? প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে একমাত্র সৌম্যই।’

রোডসের এই কথার মর্মার্থ নিশ্চয়ই বুঝবেন সৌম্য। একটা পজিশনে যদি ধারাবাহিক রান করেন টিম ম্যানেজমেন্ট সেখান থেকে তাঁকে সরাবে না। সৌম্য এই রানটা কি করতে পারছেন? রানটা করতে পারছেন না বলেই তো রাজশাহী টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে একাদশের বাইরে রাখছে।

বিপিএলে একাদশের বাইরে থাকায় যদি মন খারাপ হয়, জাতীয় দলের ক্ষেত্রে সৌম্যর জন্য সুখবরই রেখেছেন নির্বাচকেরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে তিনি আছেন। যদিও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনকে সৌম্যর বিপিএল ফর্ম ভালোই ‘নাড়া’ দিয়েছে। নাড়া দিলেও বাঁ হাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে ছুড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত অন্তত নেননি।

এতেই তো সৌম্যর বুঝে যাওয়ার কথা, তাঁর ওপর বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের কত আস্থা। এই আস্থার প্রতিদান তিনি লাল-সবুজ জার্সিতে নিশ্চয়ই দিতে চাইবেন। তার আগে বিপিএলে একটু হাত মকশো করে নিন না সৌম্য!