ভাগ্যিস, জহুর আহমেদে সূর্যের আলো ছিল!

সূর্যের আলো থাকায় পড়ন্ত বিকেলে ফ্লাড লাইট না জ্বললেও থামেনি খেলা । ছবি: শামসুল হক
সূর্যের আলো থাকায় পড়ন্ত বিকেলে ফ্লাড লাইট না জ্বললেও থামেনি খেলা । ছবি: শামসুল হক
>বিপিএলের চট্টগ্রাম-পর্বের শুরুতেই বিপত্তি! রাজশাহী কিংস ও সিলেট সিক্সার্স ম্যাচের একপর্যায়ে বৈদ্যুতিক বিভ্রাটই ছিল খেলা ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে। প্রায় ৫০ মিনিট বিদ্যুৎ ছিল না জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। প্রেসবক্সে ছিল না ইন্টারনেট সংযোগ। কাজ করেনি ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড! পড়ন্ত বিকেলে জ্বলেনি ফ্লাড লাইট। তবে ভেন্যুর দায়িত্বশীলদের তৎপরতায় দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে এই ভেন্যুতে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট পরিণত হয়েছে নিয়মিত ঘটনাতেই!

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণেও বিখ্যাত (!) হয়ে যাবে। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ ঘটনা ঘটেছিল। আজ বিপিএল রাজশাহী কিংস-সিলেট সিক্সার্সের ম্যাচেও হলো। বিকেল সাড়ে ৪টার পর প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

ভাগ্যিস সূর্যের আলোটা ছিল! খেলা বন্ধ থাকেনি এক মিনিটও। তবে আর ১০ মিনিট দেরি হলেই খেলা বন্ধ হয়ে যেতে পারত। খেলা চললেও বিদ্যুৎ না থাকায় মাঠের বাইরে সবকিছুই যেন থমকে দাঁড়িয়েছিল কিছুক্ষণ। বিদ্যুৎ না থাকায় ইন্টারনেট বন্ধ। আর এই প্রযুক্তিনির্ভর যুগে ইন্টারনেট না থাকা মানে সবকিছুই বন্ধ। দুই দলের কম্পিউটার বিশ্লেষকদেরও নিশ্চয়ই হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়েছে কিছুক্ষণ। বন্ধ পুরো স্টেডিয়ামের বাতি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, টেলিভিশনসহ বিদ্যুৎনির্ভর সবকিছুই। মাঠের বড় পর্দা বন্ধ, বন্ধ চারপাশের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনী বোর্ড। এতে কিছুটা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বাণিজ্যিক পৃষ্ঠপোষকদেরও।

বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের সিনিয়র ব্যবস্থাপক আবদুল বাতেন জানালেন বিদ্যুৎ না থাকার কারণ, ‘এসটি গিয়ার দিয়ে বিদ্যুৎ আসে স্টেডিয়ামে। সেটির সুইচ অকেজো হয়ে গেছে। এটা ঠিক করতে একটু সময় লাগে, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে লোকবলের স্বল্পতা আজ। ট্রান্সফরমার ঠিক আছে, আমরা বাইপাস করে বিদ্যুৎ আনছি। শুধু স্টেডিয়ামেই নয়, পুরো এলাকাতেই বিদ্যুৎ নেই এখন।’

সোয়া ৫টার দিকে অবশ্য বিদ্যুৎ চলে এসেছে। তবে আন্তর্জাতিক মানের একটা টুর্নামেন্টে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অবশ্যই চিন্তার বিষয়।