দক্ষিণ কোরিয়ায় হওয়া রেকর্ড ভাঙল ঢাকায়

ফিনিশিং লাইন স্পর্শের পর জহির রায়হান। সংগৃহীত ছবি
ফিনিশিং লাইন স্পর্শের পর জহির রায়হান। সংগৃহীত ছবি
>৩২ বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হওয়া সিউল এশিয়ান গেমসে ৪০০ মিটার ইভেন্টে ৪৭.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন বাংলাদেশের মিলজার হোসেন। সেই থেকেই ওটা ৪০০ মিটারে বাংলাদেশের জাতীয় রেকর্ড। ৩২ বছর পর সেই মিলজারকে রেকর্ডের পাতা থেকে আজ মুছে দিয়েছেন বিকেএসপির তরুণ জহির রায়হান।

৪০০ মিটার ইভেন্টে ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে ৪৭.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন বাংলাদেশের মিলজার হোসেন। সেই থেকেই ওটা ৪০০ মিটারে বাংলাদেশের জাতীয় রেকর্ড। ৩২ বছর পর সেই মিলজারকে রেকর্ডের পাতা থেকে আজ মুছে দিয়েছেন বিকেএসপির তরুণ জহির রায়হান। মিলজার ট্রাকে দাঁড়িয়েই দেখলেন তাঁর রেকর্ড ভাঙার দৃশ্যটি।

বাংলাদেশের কোনো অ্যাথলেট ৪৭ সেকেন্ডের নিচে ৪০০ মিটার দৌড়াবেন, ভাবা যায় না। কিন্তু জহির ৪৬.৮৬ সেকেন্ডে ৪০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনের সব আলো কেড়ে নিলেন। টাইমিংটা ইলেকট্রনিক বোর্ডে হওয়ায় এটি বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি খেয়ে একদিনেই ঠিক হয়ে গেছে অচল ইলেকট্রনিক বোর্ড!

জহির দৌড় শেষ করলে ছুটে এসে উত্তরসূরিকে শুভেচ্ছায় ভাসান ৪০০ মিটারে ১৯৮৫ সালে ঢাকা সাফ গেমসে রুপাজয়ী মিলজার। জহির তাঁকে সালাম করে দোয়া চান। রেকর্ড ভাঙা-গড়ার এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে দুজনই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

২০১৭ সালের জুলাইয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন জহির। কেনিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৮ বিশ্ব যুব অ্যাথলেটিকসের ৪০০ মিটারে সেমিফাইনালে ওঠেন। সেই থেকেই তাঁকে নিয়ে এক অদৃশ্য আশা ঘুরে বেড়ায় অ্যাথলেটিকসে। কিন্তু বাদ সাধে চোট। তবু গত জুলাইয়ে চোট থেকে সেরে সামার মিটে ৪০০ মিটারে সোনা জেতেন। তখন টাইমিং হয়েছিল ৪৮.১০।