নেইমারের স্ক্রিন শট দেখিয়ে বার্সার ডি ইয়ং 'শিকার'

বার্সা সভাপতির সঙ্গে ক্লাবটির জার্সি হাতে ডি ইয়ং। ছবি: টুইটার
বার্সা সভাপতির সঙ্গে ক্লাবটির জার্সি হাতে ডি ইয়ং। ছবি: টুইটার
>

পিএসজির টাকার কাছে অন্য দলগুলো অসহায়ই বলা চলে। তাই বুদ্ধি খরচা করে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে দলে ভিড়িয়েছে বার্সেলোনা।

এখন স্ক্রিন শট কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। তবে এই প্রযুক্তি দলবদলে কীভাবে কাজে লাগাতে হয়, সেই নজির স্থাপন করল বার্সেলোনা।

ট্রান্সফারের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে নেইমারের বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার ঘটনা তো সবারই জানা। কিন্তু পিএসজিতে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে নেইমার বুঝতে পারলেন মেসিদের ছেড়ে এসে কী ভুলটাই না করেছেন! আর এই আক্ষেপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে বার্সেলোনা সতীর্থ ও ক্লাবটির কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। নেইমারের এই আক্ষেপের স্ক্রিন শট নিয়ে যত্ম করে রেখে দিয়েছিল বার্সা। ভবিষ্যতে সুযোগমতো কাজে লাগানোর জন্য। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পেছনে ঘুরতে গিয়ে সুযোগটা পেয়ে যায় বার্সা।এই তরুণ ডাচ প্রতিভা যখন পিএসজি না বার্সা—কোথায় যাবেন তা নিয়ে দ্বিধায়, কাতালান ক্লাবটি ঠিক তখনই নেইমারের স্ক্রিন শট দিয়ে ঝোপ বুঝে কোপ মেরেছে।

ডি ইয়ংকে কেনার দৌড়ে পিএসজি-ই ছিল এগিয়ে। এমনকি বার্সেলোনার চেয়েও মোটা অঙ্ক দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এই ডাচ মিডফিল্ডারকে। এতে কিছুটা পিছিয়ে পড়ছিল বার্সা। কিন্তু ঠিক তখনই একটি কৌশল কাজে লাগায় কাতালান ক্লাবটি। ডি ইয়ং তখন পিএসজি না বার্সা—এই দ্বিধায় ভুগছেন। এই সুযোগে নেইমারের সেই বার্তাগুলোর স্ক্রিন শট দেখিয়ে ডি ইয়ংকে প্রভাবিত করে বার্সা। এমন খবরই জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’।বিষয়টি অনেকটাই এমন যে, দেখো পিএসজিতে সুখে নেই নেইমার। সে বার্সায় ফিরতে চায়। পিএসজিতে খেলার পরিবেশ নেই। তুমি সেখানে গিয়ে কী করবে!

ডি ইয়ং এরপর হয়তো দ্বিতীয়বার ভাবেননি। যোগ দেন বার্সায়। এতে বার্সা যেন পিএসজির ওপর প্রতিশোধই নিল। কারণ পিএসজির কাড়ি কাড়ি পেট্রো ডলারের কাছে ইউরোপের প্রায় সব ক্লাবই অসহায়। আর সেটি বার্সার চেয়ে ভালো জানে কে! নেইমারকে তো ভবিষ্যৎ হিসেবেই দেখছিল বার্সা, কিন্তু পিএসজি যে তাঁকে ছিনিয়ে নিল!