সরফরাজ কি সত্যিই অনুতপ্ত?

পাকিস্তানে ফেরার পর সরফরাজ। ছবি: এএফপি
পাকিস্তানে ফেরার পর সরফরাজ। ছবি: এএফপি
>বর্ণবাদী ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার পর ক্ষমা চেয়েও পার পাননি সরফরাজ। চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়ে ফিরেছেন দেশে। পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার মনে করেন, সরফরাজ খুব সহজেই পার পেয়ে গেছেন

শেষ রক্ষা হয়নি সরফরাজ আহমেদের। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দিলে ফিউলেঙ্কোকে উদ্দেশ করে বর্ণবাদী ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার শাস্তি পেতে হয়েছে তাঁকে। পাকিস্তান অধিনায়ককে এ জন্য চার ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। তবে সরফরাজের চার ম্যাচ নিষেধাজ্ঞাকে যথেষ্ট মনে করছেন না শোয়েব আখতার। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’-এর মতে, সরফরাজ খুব সহজেই পার পেয়ে গেছেন। 

টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার বলেন, ‘একজন পাকিস্তানি হিসেবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার কাছে মনে হয় সেই সময়ের উত্তেজনায় সে এই কাজ করেছে। আমার মনে হয় সবার সামনে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

তবে শোয়েব আখতারের এই মন্তব্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বলেই মনে করছেন সরফরাজ, ‘ তিনি (শোয়েব আখতার) আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, সেটিকে সমালোচনা বলা যায় না। আমি আমার ভুল স্বীকার করেছি এবং শাস্তি গ্রহণ করেছি। আমি পিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ তারা ঠিকভাবে বিষয়টিকে মোকাবিলা করেছে। আমি নিজের উন্নতি ও নিজের পারফরম্যান্সের উন্নতিতে কাজ করে যাব ভবিষ্যতেও। আমি আমার সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে চাই আমার পাশে থাকার জন্য।’

চার ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় সরফরাজকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে এতে সরফরাজের যে বড় ক্ষতি হয়েছে তা মনে করার সুযোগ নেই। অন্তত তাঁর প্রতিক্রিয়ায় এমনটি মনে হতেই পারে। সরফরাজ নিজেই বলেছেন, ‘আমি এতে তেমন কোনো সমস্যা দেখি না। আমি গত পাঁচ মাস ধরে ক্রিকেট খেলছি। এখন কিছুদিন বিশ্রাম নেব এবং তারপর পাকিস্তান সুপার লিগ খেলব।’

ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিউলেঙ্কোকে করা মন্তব্যের পর টুইটারে ক্ষমা চান সরফরাজ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক জানিয়েছিলেন তাঁরা ক্ষমা করে দিয়েছেন সরফরাজকে। সরফরাজও ফিউলেঙ্কোকোর সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চেয়েছেন। তাতে তাঁর অনুতপ্ত হওয়ার কিছুটা ইঙ্গিত মিলেছিল। অবশ্য শাস্তি পাওয়ার পর সরফরাজ যে মন্তব্য করেছেন, তাতে তিনি আসলেই অনুতপ্ত কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!