এলিমিনেটরে বড় সংগ্রহ হলো না চিটাগংয়ের

ইয়াসির আলীকে ফেরানোর পর রুবেলের উদ্‌যাপন। ছবি: শামসুল হক
ইয়াসির আলীকে ফেরানোর পর রুবেলের উদ্‌যাপন। ছবি: শামসুল হক
>

বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তুলেছে চিটাগং ভাইকিংস। সাকিবের ঢাকার জন্য এ সংগ্রহ খুব কঠিন কিছু হওয়ার কথা নয়।

গোটা বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের যে পারফরম্যান্স, আজ শেষ চারের এলিমিনেটর ম্যাচে এসে তার ঠিক বিপরীত। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ব্যাটিংটা মোটেও ভালো হয়নি তাদের। ব্যাটসম্যানদের ইনিংস বড় করতে না পারার ব্যর্থতা বাঁচা-মরার ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫-এ থেমেছে মুশফিকুর রহিমের দল।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিল চিটাগং। ক্যামেরন ডেলপোর্ট ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে গিয়েছিলেন। ওপেনিং জুটিতে ২২ রান এসেছিল মাত্র ৩ ওভারে। তবে রুবেল ইয়াসির আলীকে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের ক্যাচ বানিয়ে সাকিবের মুখে প্রথম হাসি ফোটান। তবে উইকেটের অপর প্রান্তে ডেলপোর্ট চার-ছক্কায় রানের চাকা ঘুরিয়ে যাচ্ছিলেন দুর্দান্তভাবেই। তবে দুর্ভাগ্য, দারুণ খেলতে খেলতেই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ডেলপোর্ট ফিরে যান বাজে এক রান আউটে। শর্ট ফাইন লেগে বল ঠেলে দিয়েই রান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওয়ান ডাউনে নামা সাদমান ইসলাম তাকে সাড়া দেননি। ২৭ বলে ৩৬ করে বড় এক হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়েন ডেলপোর্ট।
মুশফিকুর রহিমের ওপর বড় ভরসাই ছিল। কিন্তু চিটাগং দলপতি প্রত্যাশার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি। মাত্র ৮ রান করে তিনি সুনীল নারাইনের বলে বোল্ড হন। সাদমান ১৯ বলে ২৪ রান করে ফেরেন নারাইনের বলেই। তাঁর ক্যাচটি নেন শুভাগত হোম।
৮১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর একটা ভালো জুটিই চিটাগংকে প্রত্যাশিত লক্ষ্যে নিতে পারত। কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেন ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। মোসাদ্দেক ৩৫ বলে ৪০ রান করে শেষ ওভারে আউট হয়েছেন। তবে কেউই তাঁকে সঙ্গ দেননি ঠিকমতো। রবি ফ্রাইলিংক চোট কাটিয়ে ফিরলেও ব্যাট হাতে আজ ব্যর্থ। মাত্র ১ রান করেই নারাইন-শুভাগত যুগলবন্দীতে ফেরেন তিনি। তাঁর আগে কাজী অনিকের বলে আউট হন শানাকা।
ঢাকার সেরা বোলার নারাইনই। ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সাকিব ৪ ওভারে দিয়েছেন ১১ রান, তবে উইকেট পাননি। রুবেল আর অনীক নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
১৩৫ রান ঢাকার জন্য খুব বড় কোনো স্কোর নয়। তবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট যদি আচরণে বোলারদের দিকে একটু হেলে পড়ে, তাহলে লড়াই হতেই পারে। কিন্তু সে লড়াইটা করার মতো সংগ্রহ চিটাগংয়ের আছে কিনা, সে প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই।