মুশফিক 'একটু সন্তুষ্ট, বেশি না।'

মুশফিকের চিটাগং পারল না আরেকটু সামনে যেতে। ছবি: প্রথম আলো
মুশফিকের চিটাগং পারল না আরেকটু সামনে যেতে। ছবি: প্রথম আলো
কোনোভাবে শেষ চারে উঠল ঠিকই কিন্তু আজ ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে বিপিএল থেকে বিদায় নিল শুরুতে মুগ্ধতা ছড়ানো চিটাগং। বিপিএলে ভালো খেলা মুশফিকের কাছে এটা অবশ্যই হতাশার


চিটাগং ভাইকিংস ভালোই চমকে দিয়েছিল এবার। মুশফিকুর রহিম বাদে তেমন বড় কোনো নাম নেই দলে। অথচ টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে কী দুর্দান্ত খেলল দলটা। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে চিটাগং গেল চট্টগ্রামে।

চট্টগ্রামে একটা ম্যাচ জিতলেই শেষ চার নিশ্চিত। অথচ এই সমীকরণটা মেলাতে ঘাম ছুটে গেল চিটাগংয়ের। টানা তিন ম্যাচ হেরে একটা সময়ে তো শেষ চারে ওঠা নিয়েই টানাটানি! চট্টগ্রামে চিটাগংয়ের বিদায় ঘণ্টা না বাজলেও শেষ পর্যন্ত ওই টানা তিন হারের বড় প্রায়শ্চিত্তই করতে হয়েছে তাদের। নিজের উঠানে মুশফিকদের সুযোগ ছিল টানা জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ অবস্থানটা ধরে রাখা। সেটি রাখতে পারলে শেষ চারে এসে এই পরিণতি হতো না। বিদায়ের আগে আরেকবার সুযোগ পেতেন তাঁরা।

সেটি হয়নি। টুর্নামেন্টের অর্ধেক পথ দুর্দান্ত গতিতে পাড়ি দিয়েও শেষ দিকে গতিটা আর ধরে রাখতে পারেনি চিটাগং। কোনোভাবে শেষ চারে উঠল ঠিকই কিন্তু আজ ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে বিপিএল থেকে বিদায় নিল শুরুতে মুগ্ধতা ছড়ানো চিটাগং। অথচ কে বলবে, ঢাকারই শেষ চারে খেলা নিয়ে ছিল অনেক সংশয়!

টুর্নামেন্টজুড়ে ভালো খেলা মুশফিকুর রহিমের কাছে এই হার অবশ্যই হতাশার। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অথচ পারলেন না চিটাগংকে শিরোপার আরও কাছে নেওয়ার।

যেহেতু লিগ পর্বে দুই দেখায় দুটিতেই ঢাকাকে হারিয়েছিলেন, মুশফিকের আত্মবিশ্বাস ছিল আজও সেটির পুনরাবৃত্তি হবে। কেন হয়নি, সেটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একটু হতাশ তিনি, ‘ঢাকার মতো উইকেট, যেখানে ১৪০ রানের আশপাশে স্কোর হয়, এমন কন্ডিশনে আমাদের দল অনেক ভারসাম্যপূর্ণ। একটু দুর্ভাগ্য চিটাগংয়ে আমরা ভালো রানও করতে পারি নাই, প্রতিপক্ষকে আটকাতে পারিনি। আমরা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছি। আজকের দিনটা সত্যি হতাশার। এটা আমরা কখনো চাইনি, আমরা ভালো ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলাম। আগে দুইবার ওদের হারিয়েছিলাম। জানতাম ম্যাচটা কঠিন হবে। সেদিক থেকে একটু হলেও হতাশ।’

দলকে আরেক ধাপ ওপরে নিতে না পারাটা হতাশার হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে মুশফিককে পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। ১৩ ম্যাচে ৪২৬ রান করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল তিনিই। এ পারফরম্যান্সে বেশ তৃপ্ত মুশফিক, ‘আমার পারফরম্যান্স নিয়ে আমি না, আপনাদের বলা উচিত। বেশি গবেষণা করি না। শুধু চেষ্টা করি। অবশ্যই ইচ্ছা ছিল যে আজ যেন অবদান রাখতে পারি। যেন একটা ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে পারি। তবে সব মিলিয়ে আগের যেকোনো টুর্নামেন্টের চেয়ে এবার একটু খুশি। কিছু কিছু জায়গায় অনেক কঠিন পরিস্থিতি ছিল, যেখান থেকে বের হয়ে আসা এবং নিজের কাছেই নিজেকে প্রমাণ করা যে আমি যথেষ্ট ভালো। নিজের কাছে যে যুদ্ধটা ছিল সেদিক দিয়ে একটু সন্তুষ্ট, বেশি না!’