হাহুতাশ করেই শেষ হলো বাংলাদেশের ইনিংস

>
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শেষ ভরসা সাব্বিরও শেষ পর্যন্ত কিছু করতে পারলেন না। ছবি: এএফপি
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শেষ ভরসা সাব্বিরও শেষ পর্যন্ত কিছু করতে পারলেন না। ছবি: এএফপি

বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৯ দশমিক ৪ ওভার খেলে ২২৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৪৩ রান করেছেন সাব্বির রহমান। ফার্গুসন নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট, অ্যাসলে ও নিশাম নেন ২টি করে উইকেট।

অর্ধশতক থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে দলের ২০৬ রানের মাথায় আউট হন সাব্বির। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২০৬ রান। তখন আফসোস হচ্ছিল, ইশ্‌...সাব্বির যদি আরও কিছু সময় থাকতে পারতেন...!

 
এই ম্যাচে এমন হা-হুতাশ বাংলাদেশ আরও করেছে—ইশ্‌ মুশফিক যদি কিছু করতে পারতেন, তামিম যদি এত দ্রুত আউট না হতেন, মাহমুদউল্লাহ কেন এত জলদি চলে গেলেন কিংবা মিঠুন যদি একটা শতক করে ফেলতেন...। এসবই আফসোস হয়ে রয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত।

মিঠুন আউট হওয়ার পর মনে হচ্ছিল মিরাজ কিংবা সাইফউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ভালো একটা সংগ্রহ তুলে দেবেন সাব্বির। দলের ১৬৮ রানের মাথায় ৫৭ রান করে মিঠুন আউট হওয়ার পর মিরাজ কিছুটা সময় ধরে খেলেন। তবে দলীয় ১৯০ রানে মিরাজ মারমুখী হতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন। মিরাজকে তালুবন্দী করতে নিশামের কোনো সমস্যা হয়নি।

 
বাংলাদেশের মানুষ তখন আশায় বুক বেঁধেছেন, দলে ফিরে সাব্বির কিছু একটা করে দেখাবেন। কিন্তু কোটি ভক্তের সেই স্বপ্নের জাল ছিঁড়ে সাব্বিরও যখন আউট হন, তখন ভক্তদের মনের আকাশের মেঘ ক্রাইস্টচার্চের মেঘের মতোই বৃষ্টি হয়ে ঝরেছে। সাব্বির আউট হলে প্রথম ম্যাচে মিঠুনকে ভালোভাবে সঙ্গ দেওয়া সাইফউদ্দিনও ফার্গুসনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। ৪৬তম ওভারেই বাংলাদেশের ৯ উইকেট নেই; দলের সংগ্রহ তখন ২১১ রান। নেতা মাশরাফিও শেষতক অতিমানবীয় কিছু করতে পারলেন না। তবে মুস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে খেলেছেন শেষ ওভার পর্যন্ত।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই লিটন দাসকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গী হয়ে নামা এই ওপেনার ফিরে যান ম্যাচের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই। স্কোরবোর্ডে তখন বাংলাদেশের মাত্র ৫ রান। বোল্টের বলে ফার্গুসনের দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হন লিটন। লিটনের আউটের পর আবারও বৃষ্টি ঝরতে থাকলে মিনিট বিশেক খেলা বন্ধ রাখেন আম্পায়াররা। খেলা শুরু হওয়ার পর খানিকটা খোলসে বন্দী থাকা তামিম ইকবালও ফিরে যান দলের ১৬ রানের মাথাতে। ৬ দশমিক ৫ ওভারে হেনরির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। ১৬ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে তখন আশার আলো দেখাচ্ছিল সৌম্য-মুশফিকের জুটি। কিন্তু ফের ভালো কিছুর আশা জাগিয়ে সৌম্য সরকার ফিরে যান দলের ৪৮ রানে। সাজঘরে যাওয়ার আগে নিজে ২৩ বল খেলে করেন ২২ রান।