অস্ট্রেলীয় বোলারের বুটে লেখা 'কিস', 'রুথলেস'

নিজেকে প্রেরণা দিতে খুব বেশি দূরে তাকাতে হয় না রিচার্ডসনকে। ফাইল ছবি
নিজেকে প্রেরণা দিতে খুব বেশি দূরে তাকাতে হয় না রিচার্ডসনকে। ফাইল ছবি
>নিজের বোলিং বুটে প্রেরণামূলক কথাবার্তা লিখে মাঠে নামেন অস্ট্রেলীয় বোলার ঝাই রিচার্ডসন। ভারতের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে হ্যাজলউড ও স্টার্কবিহীন বোলিং আক্রমণ সামলাতে হবে তাঁকে। কোহলিদের বিপক্ষে কি তিনি একই কথা বুটে লিখে নামবেন?

ঝাই রিচার্ডসন নিজেকে অনুপ্রাণিত করেন বুটে উদ্দীপনামূলক কথাবার্তা লিখে। অস্ট্রেলিয়ার এই ফাস্ট বোলার ভারতের বিপক্ষে সিরিজেও নিজের বুটে উদ্দীপনামূলক কথা লিখে মাঠে নেমেছিলেন। বিরাট কোহলির মতো ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করতে বুটে লেখা কথাগুলি দারুণ কাজে দেয় বলে জানিয়েছেন দেশের হয়ে ২টি টেস্ট ও সাতটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলা এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্রিসবেন ও ক্যানবেরা দুই টেস্টেই বুটে প্রেরণামূলক কথা লিখে মাঠে নেমেছিলেন। কী সে কথা? তেমন কিছুই নয়। রিচার্ডসনের বুটে লেখা ছিল মাত্র দুটি শব্দ—‘কিস্‌’ ও ‘রুথলেস’। ‘কিস’ কথাটি হচ্ছে ‘কিপ ইট সিম্পল’। এগুলিই তাঁর ক্যারিয়ারের পাথেয়। সে কারণে মাঠে নামার সময় চোখের সামনেই রাখতে চান কথাগুলি।

ভারতের বিপক্ষে আসছে সীমিত ওভারের সিরিজেও রিচার্ডসন অস্ট্রেলীয় দলে আছেন। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খুব খারাপ বোলিং করেননি তিনি। গত বছরের শুরুতে খেলেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। উইকেটসংখ্যা—১৩। টেস্ট উইকেট ৬টি, টি-টোয়েন্টিতে ৯টি। ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুতে দাঁড়িয়ে। এই সময়টাতেই তো নিজেকে প্রেরণা দেওয়াটাকে জরুরি মনে করছেন এই ক্রিকেটার।

বুটে লেখালেখি করে মাঠে নামার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের সময় অনেকেই প্রশ্ন করেছেন কেন আমি বুটে এ দুটি কথা লিখেছি। অনেকেই কৌতূহল দেখিয়েছেন। আসলে এ দুটি কথা সব সময়ই আমার মনে ঘোরে। আমি খেলার মাঠে এ দুটি বিষয় বিশ্বাস করি। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করতে হয়। বুটে লেখার ব্যাখ্যা এটিই।’

ভারতের বিপক্ষে সিরিজে জস হ্যাজলউড ও মিচেল স্টার্ক না থাকায় এমনিতেই দুর্বল অস্ট্রেলীয় গতি আক্রমণ। এই অবস্থায় রিচার্ডসনকে একটা বড় ভূমিকা নিতেই হবে। এ সিরিজে অস্ট্রেলীয় দলের সম্ভাবনা নিয়ে এরই মধ্যে নানা ধরনের টিকা-টিপ্পনী চলছে। স্টার স্পোর্টস তো এই সিরিজ নিয়ে অস্ট্রেলীয় দলকে ‘শিশুদলে’র সঙ্গেই তুলনা করেছে। এই সিরিজেই যে নিজেকে সবচেয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজন পড়বে এই তরুণ ফাস্ট বোলারের।