আবারও বোলিং করতে পারবেন ধনঞ্জয়া

আবারও বল হাতে দেখা যাবে ধনঞ্জয়াকে। ছবি: এএফপি
আবারও বল হাতে দেখা যাবে ধনঞ্জয়াকে। ছবি: এএফপি
>গত বছর সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন অফ স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়া। অ্যাকশন শুধরে আইসিসির কাছ থেকে আবারও বোলিং করার ছাড়পত্র পেলেন তিনি।

তিন ধরনের ক্রিকেটেই শ্রীলঙ্কান বোলিংয়ের অন্যতম প্রধান অস্ত্র আকিলা ধনঞ্জয়া। যদিও সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের দায়ে গত তিন মাস দেশের হয়ে বল করতে পারেননি তিনি। অ্যাকশন শুধরে দেশের হয়ে আবারও বল করার লাইসেন্স পেয়েছেন এই অফ স্পিনার।

গত ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন লঙ্কান অফ স্পিনার ধনঞ্জয়া। ১৪ দিনের মধ্যে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। তবে এর মাঝেও খেলা চালিয়ে গেছেন তিনি। সে সিরিজে শ্রীলঙ্কান বোলিংয়ের উজ্জ্বলতম দিক হয়ে ছিলেন এই অফ স্পিনার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর বোলিং অ্যাকশনের দিকে সন্দেহের তীর গেলে আইসিসি ঘোষণা দেয়, অ্যাকশন না শোধরালে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না এই শ্রীলঙ্কান।

সেবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছিল, ধনঞ্জয়া বল ছাড়ার সময় নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির চেয়েও হাত বেশি বাঁকাচ্ছেন। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য বোলারদের সতর্ক করার ব্যাপারে আইসিসির যে আইন রয়েছে তার ১১.১ ধারা অনুযায়ী ধনঞ্জয়ার এই বোলিং অ্যাকশন বিশ্বের সব দেশই তাদের স্থানীয় লিগের জন্য নিষিদ্ধ বলে ধরে নেবে। তবে ১১.৫ ধারা অনুযায়ী এবং শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে সে দেশের স্থানীয় লিগে ঠিকই বল করে যাচ্ছিলেন এই অফ স্পিনার। তবে সেটা অবশ্যই বোর্ডের নজরদারির মধ্যে।

তবে আইসিসি গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ধনঞ্জয়ার বোলিং অ্যাকশনে আর কোন সমস্যা নেই, ‘বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর কারণে এখন থেকে আকিলা ধনঞ্জয়া দেশের হয়ে বোলিং করতে পারবেন। তবুও ম্যাচ অফিশিয়ালরা যদি মনে করেন তাঁর অ্যাকশনে এখনো সমস্যা আছে, তারা সেটা রিপোর্ট করতে পারবেন।’

ছয় বছরের ক্যারিয়ার হলেও ধনঞ্জয়া আলোচনায় এসেছেন গত এক বছরে। প্রথম দেখায় নিরীহ দর্শন হলেও, অফ স্পিন বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে সব সংস্করণেই ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৫ টেস্টে বল করে ২৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৩০ ওয়ানডেতে ৪৬ উইকেট ও ১৬ টি-টোয়েন্টিতে ১৪ উইকেট আছে তাঁর। ধনঞ্জয়ার ওপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার এই খবর লঙ্কান ক্রিকেটে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দেবে, বলাই বাহুল্য।