ধর্ষণের অভিযোগের জন্যই জায়গা পাননি রোনালদো!

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি

গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রনিক আর্ট (ইএ) স্পোর্টস কিছুদিন আগে তাঁদের গেমের কভার থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছবি সরিয়ে নিয়েছে। পর্তুগিজ তারকার জায়গায় কেভিন ডি ব্রুইনা, নেইমার, পাওলো দিবালাদের ছবি সংযোজন করেছে ইএ স্পোর্টস। ব্যাপারটি বেশ শোরগোল ফেলে দেয় ইউরোপের ফুটবলাঙ্গন এবং ডিজিটাল গেমিংয়ের জগতে। পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের বাজারদর ও জনপ্রিয়তা কি তাহলে কমতির পথে? ইএ স্পোর্টস যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাতে তেমন কিছু মনে হওয়াই স্বাভাবিক।

ফিফা১৯ গেমটি বাজারে ছাড়ার আগে কভারে রোনালদোর ছবি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইএ স্পোর্টস। ঝামেলার শুরু হয় রোনালদো ক্লাব পাল্টানোয়। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে রোনালদোর ছবি কভারে ব্যবহারের ডিজাইন তৈরি করেছিল তাঁরা। কিন্তু গত জুলাইয়ে রিয়াল ছেড়ে রোনালদো যোগ দেন জুভেন্টাসে। এতে বিপদে পড়ে যায় ইএ স্পোর্টস। কভারের ডিজাইন নতুন করে তৈরি করতে হয় এবং রোনালদোর ছবি সংযোজন করা হয় জুভেন্টাসের জার্সিতে।

এরপর গত অক্টোবরে রোনালদোর বিপক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন মার্কিন মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোনালদোর ছবি নিজেদের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ থেকে সরিয়ে নেয় ইএ স্পোর্টস। তবে গেমটির সবশেষ সংস্করণের কভারে রোনালদোকে পুনরায় ফেরানো হলেও কিছুদিন আগে তা সরিয়ে আলোচনার জন্ম দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি খোদ ইএ স্পোর্টসের কভার থেকেও রোনালদোর ছবি সরিয়ে নেন গেম ডেভেলপাররা। তাঁর জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলার অ্যালেক্স মরগানের ছবি।

ফিফা১৯ গেমের সবশেষ সংস্করণে রোনালদোর বদলে নেইমার, ডি ব্রুইনা, দিবালাদের ছবি: এএস
ফিফা১৯ গেমের সবশেষ সংস্করণে রোনালদোর বদলে নেইমার, ডি ব্রুইনা, দিবালাদের ছবি: এএস

বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারটির সঙ্গে ইএ স্পোর্টস কেন এই লুকোচুরি খেলছে তা জানতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, ফুটবলীয় কারণেই রোনালদোর ছবি সরানো হয়েছে। ইএ স্পোর্টসের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘বিশ্ব ফুটবলের সেরা কিছু তারকাকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’ তার মানে কি রিয়াল ছাড়ার পর রোনালদো আর বিশ্বের সেরা তারকাদের কাতারে পড়েন না?

তাঁদের এই ভাষ্য ছাড়াও এএস মনে করছে, ফিফা১৯-এর কভার থেকে রোনালদোর ছবি সরানোর সম্ভাব্য কারণ তাঁর বিপক্ষে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ। এ ব্যাপারে গত অক্টোবরেই বিবৃতি দিয়েছিল ইএ স্পোর্টস, ‘আমরা পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। অ্যাথলেট ও দূতদের আচরণ ইএ স্পোর্টসের মূলবোধের সঙ্গে যায়, এমন কিছুই আশা করি আমরা।’