আকরামের ভাষায় 'নোবেল তো পেয়েই গেছেন ইমরান'

ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক বৈমানিককে আটক করেও তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের দেশে রীতিমতো ‘শান্তির দূত’ ইমরান খান। ফাইল ছবি
ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক বৈমানিককে আটক করেও তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের দেশে রীতিমতো ‘শান্তির দূত’ ইমরান খান। ফাইল ছবি
>‘শান্তির নিদর্শন’ হিসেবে ভারতের এক পাইলটকে ফিরিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি পাকিস্তানিদের চোখে এখন ‘শান্তির দূত’। দাবি উঠেছে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার। কিন্তু ইমরান জানিয়ে দিয়েছেন, নোবেল পাওয়ার মতো কিছুই করেননি তিনি।

কাশ্মীর হামলার সূত্র ধরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এখন রীতিমতো যুদ্ধাবস্থা। ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানে মাটিতে বিমান হামলাও চালিয়েছে। এই হামলা চলার সময়ই ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক পাইলটকে আটক করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সেই পাইলটকে নিয়ে পাকিস্তানের নানা ধরনের রাজনৈতিক মারপ্যাঁচের সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটি না করে ৫৮ ঘণ্টার মাথাতেই তাঁকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ভারতের প্রতি শান্তির নিদর্শন হিসেবেই সেই পাইলটকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এমনটাই দাবি করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

প্রধানমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছা-নিদর্শন পাকিস্তানিরা দেখছে অন্য চোখে। নোবেল পুরস্কারের দাবি উঠেছে ইমরানের জন্য। ইমরান নিজে অবশ্য জনিয়েছেন, নোবেল-টোবেল পাওয়ার মতো কিছুই করেননি তিনি। এই পুরস্কারের যোগ্য তিনিই, যিনি কাশ্মীর সমস্যা মিটিয়ে উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।

টুইটারে সাবেক এই ক্রিকেট কিংবদন্তি লেখেন, ‘আমি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নই। এই পুরস্কারের যোগ্য সে, যে কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী কাশ্মীরকে নিয়ে দুই দেশের বিবাদ মেটাতে পারে, উপমহাদেশে শান্তি ও মানব উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করতে পারে।’
এদিকে ইমরানের প্রশংসা করেছেন আরেক ক্রিকেট তারকা ওয়াসিম আকরাম। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আপনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তান সঠিক দিকে যাত্রা শুরু করেছে। আপনার অধীনে বহুদিন পর দেশের মানুষ ভালো আছে, ইতিবাচক ও নিরাপদ অনুভব করছে। নেতা, আপনার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার দরকার নেই, আমাদের চোখে আপনি এর মধ্যেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়ে গিয়েছেন!’