মোসাদ্দেক নিজেই খুশি নন

মোসাদ্দেক হোসেন ছন্দ খুঁজে পেতে উন্মুখ। ছবি: প্রথম আলো
মোসাদ্দেক হোসেন ছন্দ খুঁজে পেতে উন্মুখ। ছবি: প্রথম আলো
>মোসাদ্দেক হোসেন, নিজের টেস্ট অভিষেকে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন। গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই স্মরণীয় ম্যাচেও মোসাদ্দেকের পারফরম্যান্স ছিল মুগ্ধ করার মতো। অথচ তিনিই গত তিনটি সিরিজে সুযোগ পাননি জাতীয় দলে।

টেস্ট অভিষেকেই খেলেছিলেন ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। ২০১৭ সালের মার্চে হওয়া কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই টেস্ট ছিল বাংলাদেশের শততম টেস্ট। বিশেষ এই টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে মোসাদ্দেক হোসেন নজর কেড়েছিলেন সবার। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই স্মরণীয় জয়ে সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত ইনিংস দুটিতে কিছুটা আড়াল হলেও মোসাদ্দেকের ৩ উইকেটও বিশেষ স্মরণীয়।

মোসাদ্দেকের সামনে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিস্তৃত দিগন্তে পাখা মেলে ওড়ার সুযোগ, তখনই ভূপাতিত! ২০১৭ সালের আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেন চোখের সংক্রমণে। পরে স্ত্রীর করা মামলায় তৈরি হলো নতুন বিতর্ক। পরে বাংলাদেশ দলে ফিরলেন ঠিকই, কিন্তু সেভাবে আর নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। সুযোগ পাননি গত বছরের শেষে টানা দুটি হোম সিরিজে। সুযোগ মেলেনি নিউজিল্যান্ড সফরের দলেও। কদিন আগে ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে আবাহনীকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুটাও ভালো হয়নি, বিকেএসপির বিপক্ষে আউট হয়েছেন ১৩ রান করে। কদিন পর নির্বাচকেরা ঘোষণা করবেন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল। মোসাদ্দেক কি স্বপ্ন দেখেন এই দলে থাকার?

নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অন্যদের কথা কী বলবেন, মোসাদ্দেক নিজেই তো খুশি নন, ‘সন্তুষ্টির জায়গাটা তখনই আসবে, যখন আমি আমার জায়গায় ফিরতে পারব। আমি যেমন আশা করি, তেমন হচ্ছে না।’ তাঁর কথাতেই বোঝা যাচ্ছে, পারফরম্যান্সের বিচারে মোসাদ্দেক নিজের জায়গায় নেই! তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে তিনি ফিরতে চান পুরোনো জায়গায়, ‘প্রিমিয়ার লিগটা হচ্ছে আমাদের জন্য অনেক বড় সংস্করণ, খেলাটা হয় ৫০ ওভারে। আমি মনে করি, নিজেকে প্রমাণ করতে সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে এটা। আর কেউ বলে-কয়ে রান করতে পারবে না এখানে। বলতে পারবে না যে আমি ভালো খেলব বা খারাপ খেলব! অবশ্যই আমার লক্ষ্য ভালো খেলা।’

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে পুঁচকে বিকেএসপির বিপক্ষে আবাহনীর জিততে কষ্টই হয়েছে। কাল ফতুল্লায় বিকেএসপির মতো অচেনা প্রতিপক্ষ উত্তরার মুখোমুখি হতে হবে তাদের। এ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে উন্নিত হওয়া উত্তরা নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ডিপিএল টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে হারিয়ে দিয়ে চমকে দিয়েছে। অচেনা দলের বিপক্ষে হারার ঝুঁকি থাকলেও এর ইতিবাচক দিকটাই বড় করে দেখছেন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক, ‘বিকেএসপি বলেন, উত্তরা বলেন—সবাই আমাদের কাছে অচেনা। এখানে সব নতুন নতুন খেলোয়াড় খেলে। এদের আমরা খুব একটা চিনিও না। নতুন খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খাপ খাওয়ানো কঠিন। আসলে এসব সংস্করণে হঠাৎ করেই কোনো দলের বিপক্ষে ভালো খেলা কঠিন। উত্তরা ভালো দল বলেই ভালো খেলছে। একটা ম্যাচে ভালো খেলেছে (শেখ জামালের বিপক্ষ), জিতেছে। আমরাও একটা ভালো খেলে জিতেছি (বিকেএসপির বিপক্ষে)। দলের সবাই আত্মবিশ্বাসী।’