ব্যাটসম্যানদের দোষ বেশি, বললেন মাহমুদউল্লাহ

এভাবেই নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে আত্মসমাপর্ণ করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ছবি: এএফপি
এভাবেই নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে আত্মসমাপর্ণ করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ছবি: এএফপি
>

বাংলাদেশ তিন দিনেও ওয়েলিংটন টেস্ট ড্র করতে পারেনি । হেরেছে ইনিংস ও ১২ রানে। এই হারে মাহমুদউল্লাহ দুষলেন ব্যাটসম্যানদের

তিন দিনে নেমে আসা ওয়েলিংটন টেস্টে দুইবার ব্যাটিং করে বাংলাদেশ খেলতে পেরেছে সাকল্যে ১১৭ ওভার। দুই ইনিংস মিলিয়ে করতে পেরেছে ৪২০ রান; সেখানে নিউজিল্যান্ড এক ইনিংসেই করেছে ৬ উইকেটে ৪৩২। প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবালের ৭৪ আর দ্বিতীয় ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর ৬৭—এই দুটি ছাড়া স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উল্লেখযোগ্য কোনো ইনিংস নেই। ওয়েলিংটন টেস্টে ইনিংস ও ১২ রানে হারে কাদের দায় বেশি, সেটি নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে।

আজ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন ব্যাটসম্যানদের, ‘নতুন বলে যেভাবে শুরু করেছিলাম, তামিম ভালো ব্যাটিং করছিল। প্রথম ইনিংসে সাদমান-তামিমের ভালো শুরু হয়েছিল। প্রথম টেস্টেও তাই হয়েছিল। ইনিংসের মাঝে ওয়াগনার যখন তার ওই বাউন্সার-থিওরি কাজে লাগাতে শুরু করল কিছুক্ষণ ভালো খেলার পর আর পারিনি। আরেকটু সাহস নিয়ে খেলতে হবে। দ্বিধায় থেকে আমরা অনেক ব্যাটসম্যান এই ভুল করেছি। নিবেদিত থাকছি না বা দোনো মনায় ভুগছি, মারব কি মারব না। এই উইকেটে এটা করা ঠিক না। যদি শট খেলতে চান খেলতে হবে অথবা বাউন্সারের সামনে টিকে থাকতে হবে। পরের টেস্টে এমন উইকেট থাকতে পারে নাও পারে, ক্রাইস্টচার্চের উইকেট একটু গতিময় আছে। একই কন্ডিশন হয়তো পাব। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ, তিনটা নতুন পেসার, ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। ব্যাটসম্যানদের দোষই বেশি। আড়াই দিনে আমরা দুবার অলআউট হয়েছি, যেটি খুবই হতাশার।’

মাহমুদউল্লাহ যে দ্বিধার কথা বলছেন; তাঁদের কি অজানা ছিল যে নিল ওয়াগনার কিংবা নিউজিল্যান্ড ফাস্ট বোলাররা এমন পরীক্ষা নেবেন? অবশ্যই জানা ছিল। তবে কেন সামলানো যায়নি ওয়াগনারদের? দক্ষতায় পিছিয়ে থাকা নয়, মাহমুদউল্লাহ আবার দ্বিধার কথাই বললেন, ‘এটা আমরা জানতামই। সবশেষ যখন এখানে টেস্ট খেলেছিলাম তখনো ওয়াগনার ছিল। এখন আমরা ওয়াগনার-ফ্যাক্টর নিয়ে কথা বলছি। বাংলাদেশে খেলতে গেলে প্রতিপক্ষ আমাদের স্পিনারদের নিয়ে চিন্তা করে। হয়তো উইকেটে আমাদের স্পিনারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকে। এখানে সুবিধা ছিল, ওদের বোলাররা সেটা কাজে লাগাতে পেরেছে, আমরা ভালোভাবে পারিনি। তবে বিশ্বাস করি যে আমাদের ব্যাটসম্যানদেরও স্কিল আছে ওদের কৌশল সামলানোর। যেটা বললাম, দ্বিধার মধ্যে অনেক সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। প্রথম ইনিংসের কথা যদি বলি, আমি দ্বিধায় ছিলাম, মারব কি মারব না। এর পর আউট হয়ে গেছি। এগুলো নিয়ে পরিষ্কার থাকলে আরও ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হবে।’

ভালো ফল পেতে পেতে তো বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরই শেষ হয়ে এল। অবশ্য টানা হারে সফরটা এতটাই তিক্তময় হয়ে উঠেছে, মাহমুদউল্লাহরা যেন শনিবার থেকে শুরু ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট শেষ হলেই বাঁচেন!