বাঁচা-মরা ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নামবে সন্ধ্যা ৭টায়

অনুশীলনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। ছবি: বাফুফে
অনুশীলনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। ছবি: বাফুফে
>বাহরাইনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্ব। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

পরশু ফিলিস্তিন ৯-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। বাংলাদেশ লড়াই করে ১-০ গোলে হেরেছে শক্তিশালী স্বাগতিক বাহরাইনের কাছে। এই তথ্যটা জানা থাকলে আজ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের যেমন ভয় আছে, অন্যদিকে লড়াইয়ের প্রেরণাও আছে। লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়েই এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মাঠে নামবে লাল-সবুজের দল। ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। জয় পেলে জেমি ডের শিষ্যদের সামনে খোলা থাকবে এএফসি অনূর্ধ্ব–২৩ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সুযোগ। আর হেরে গেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি হবে শুধুই নিয়ম রক্ষার।

প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ফিলিস্তিন হলেও জেমি ডে হারের আগে হার মানতে রাজি নন। আজকের ম্যাচটিতে ‘ভালো শুরুর’ ওপরই জোর দিয়েছেন। আর ফিলিস্তিন কোনো ভুল করলে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চান। তবে জেমি ডে পরিষ্কার বলেননি যে ড্র বা জয় তাঁর লক্ষ্য। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলেছেন, ম্যাচে ফল চাই তাঁর। অর্থাৎ ধরে নেওয়া যায়, আজ ড্র করতে পারলেও খুশি থাকবেন কোচ। ‘বাহরাইন ম্যাচে হারের পর আমরা এমন অবস্থানে আছি, যেখানে আমাদের অনুকূলে ফল দরকার। আশা করি বাহরাইন ম্যাচের ভুল শুধরে আমরা ভালো খেলব ফিলিস্তিন ম্যাচে’—বলেছেন জেমি ডে।

জেমি ডে জানেন শক্তিশালী বাহরাইন ম্যাচটি যেমন পরীক্ষা ছিল, ব্যতিক্রম হবে না ফিলিস্তিন ম্যাচটিও, ‘বাহরাইন ও ফিলিস্তিন দুটিই গ্রুপের সেরা দল। কাজেই ফিলিস্তিন ম্যাচও কঠিন হবে। আর এই ম্যাচ জিততে চাইলে আমাদের অনেক ভালো খেলতে হবে এবং মাঠে কঠিন পরিশ্রমের বিকল্প নেই।’

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৯২) চেয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনই আজকের ম্যাচে পরিষ্কার ফেবারিট। বাংলাদেশের জন্য ড্র করাটাও হবে একটি অর্জন। কারণ ফিলিস্তিনকে জাতীয় বা অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ে হারানো যায়নি কখনো। ঢাকা ২০০৬ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ১-১ বাদ দিলে বাকি সব ম্যাচেই হার। ২০১১ সালে ফিফা প্রীতি ম্যাচে ২-০। একই ফল গত বছর কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালেও। ২০১৩ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ১-০। দুই দেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দল এর আগে খেলেছে একবারই। ২০১৭ সালে ফিলিস্তিনের হেবরনে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের সেই ম্যাচে ৩-০ হার।

এসব ম্যাচে বাংলাদেশের গোলকিপারের ওপর বাড়তি চাপ থাকে। সেই চাপ সামলে বাহরাইন ম্যাচে পোস্টের নিচে দুর্দান্ত খেলেছেন আনিসুর রহমান ওরফে জিকো। একবারই পরাস্ত হয়েছেন (২১ মিনিটে), সেটিও রক্ষণের ভুলে। আজও বাংলাদেশের বড় ভরসা আনিসুর। বাংলাদেশের গোলকিপিং কোচ ডিন মে বলছেন, ‘গত রাতে জিকোর পারফরম্যান্স ছিল ভালো। কিছু দারুণ সেভ করে ও দলকে ম্যাচে রেখেছে। অনুশীলন যেমন করেছে সে, সেটা ম্যাচেও বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে।’