বিশ্বকাপের গন্ধ পেতেই ভয়ংকর অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বকাপের আগেই নিজেদের ফিরে পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপের আগেই নিজেদের ফিরে পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ছবি: এএফপি

বেশি দিন নয়, এক মাস আগেই অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপের দুই ফেবারিটের মধ্যে রেখেছিলেন স্টিভ হার্মিসন। ১১টি বিশ্বকাপের মধ্যে পাঁচটিই জিতেছে এমন এক দল ফেবারিট হতেই পারে। কিন্তু হার্মিসনের অমন ভবিষ্যদ্বাণীতে বিদ্রূপের হাসি আটকাননি অধিকাংশ মানুষ। ২০১৮ সালে টানা দুটি ওয়ানডে ম্যাচ জিততে পারেনি যে দল, তারা বিশ্বকাপের ফেবারিট? ব্যাপারটা মানতে কষ্ট হয়েছিল সবার।

এক মাস পরেই হার্মিসনের কথা সত্য প্রমাণ হচ্ছে। ২০১৮ সালে যে কাজ কখনো করতে পারেনি, সেটা অস্ট্রেলিয়া করে দেখাচ্ছে এখন। নিজেদের কন্ডিশনেই ভারতের কাছে ধরাশায়ী দলটি এখন বিরুদ্ধ কন্ডিশনেই অসাধারণ খেলছে। ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই করেছে স্বাগতিকদের। ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গিয়েও সিরিজ জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে। ব্যাপারটা যে দুর্ঘটনা ছিল না, সেটা প্রমাণ করার দায় ছিল দলটির। পরশু সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠেও পাকিস্তানকে অনায়াসে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

শারজাহর উইকেটে ২৮১ রানের লক্ষ্য বেশ কঠিন। এ মাঠে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড মাত্র একটি। সে রানটাই কী অনায়াসে তাড়া করেছে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই ম্যাচ শেষ করে এসেছে তারা। সেটাও দলের মধ্যে স্পিন ভালো খেলতে পারা উসমান খাজার বড় অবদান ছাড়াই। পুরো বছর ব্যবহারের পর শারজাহর উইকেটে রান তোলার কাজটা, এ তথ্যকেও এখন ভুল মনে হচ্ছে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফর্ম ফিরে পাওয়ায় ফিঞ্চের অধিনায়কত্ব নিয়ে ওঠা প্রশ্নও ভুলে যাচ্ছেন সবাই। এমনকি বিশ্বকাপেও তাঁর কাঁধে নেতৃত্ব থাকা উচিত কি না, এ নিয়েও আলোচনাও চলছে।

অস্ট্রেলিয়ার এমন বদলে যাওয়ার পেছনে বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসাকেই কারণ দেখা হচ্ছে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে দল সাজানোর পথে ছিল বলেই এত দিন বাজে পারফরম্যান্স ছিল অস্ট্রেলিয়ার। প্রক্রিয়া পূর্ণ হওয়ার পথে বলেই নাকি এমন দুর্দান্ত ঘুরে দাঁড়ানো। এ কারণেই স্পিনে স্বচ্ছন্দ হওয়ার পরও অ্যাডাম জাম্পা-নাথান লায়ন জুটিকে সামলাতে কষ্ট হয়েছে পাকিস্তানের। এর আগে ভারতেও বিশ্বকাপ দলে নিজেদের দাবি জানিয়ে রেখেছেন এ দুজন। বিশ্বকাপ দলে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের থাকা নিশ্চিত। কিন্তু অ্যারন ফিঞ্চ, খাজা, শন মার্শরা যেভাবে ব্যাট করছেন পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে, তাতে স্কোয়াড ঘোষণার আগে মাথা চুলকাতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। ঝাই রিচার্ডসন-কোল্টার নাইলরাও মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা দেখাচ্ছেন এরই মাঝে।