বহু আরাধ্যের জয় পেল বাংলাদেশ

গোলের পর বাংলাদেশ দলের উল্লাস। ছবি: বাফুফে
গোলের পর বাংলাদেশ দলের উল্লাস। ছবি: বাফুফে

২০১১ সালে শুরু এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল। এই টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বে আগের ১২ ম্যাচের ১১টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। একমাত্র ড্র ভারতের সঙ্গে। অবশেষে সে অতৃপ্তি কেটেছে। শ্রীলঙ্কা দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে বাছাইপর্ব শেষ করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের অবশ্য একটু অতৃপ্তি থাকতে পারে। ১৮ মিনিটে ২-০ করার পর বাকি সময়ে যে আর গোল পায়নি! তারপরও যা হয়েছে সেটিই অনেক। অন্তত বাহরাইন থেকে একটি জয় নিয়ে ফিরতে পারছে লাল-সবুজের দল। তিন ম্যাচে ৩ পয়েন্ট। দুই গোল খেয়ে দুটি গোল করেছে। খারাপ বলা যাবে না। বরং শক্তির বিচারে যথেষ্ট ভালো ফল। যদিও ২০২০ অলিম্পিক গেমসের প্রাক-বাছাইয়ে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে কী, অলিম্পিকের খেলা অলীক ভাবনাই বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশ বরং চেয়েছে ভালো ফুটবল খেলতে, সেটি তারা খেলেছে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের আশা ঠিকই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে হারাবে বাংলাদেশ, সেটা ধরেই নিয়েছিলেন বাহরাইন প্রবাসীরা। আগের দুই ম্যাচে গ্যালারিতে এসে গোলের উল্লাস করতে না পেরে হতাশ ওই সমর্থকদের কাল হলো ভিন্ন অনুভূতি। হাজার পাঁচেক দর্শক বাহরাইনের খলিফা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে গোল দেখে খুশিমনেই ফিরেছেন।

আগের দুটি ম্যাচে রক্ষণ আর গোলরক্ষককে যেমন তটস্থ থাকতে হয়েছে, এ ম্যাচে ঠিক উল্টো। প্রতিপক্ষ রক্ষণই বরং বাংলাদেশের আক্রমণ রুখতে কাটিয়েছে ব্যস্ত সময়। গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। পঞ্চম মিনিটেই উইঙ্গার বিপলু আহমেদ গতির ওপরে আলতো টোকায় এগিয়ে নিলেন বাংলাদেশকে। ১৮ মিনিটি দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা। অনেক চেষ্টা করেও তৃতীয় গোলটির দেখা অবশ্য আর পায়নি বাংলাদেশ। যদিও সব বিভাগেই ছিল বাংলাদেশের দাপট।