সুপার ওভারের নাটক জেতালেন রাবাদা

রাবাদার দুর্দান্ত বোলিং সুপার ওভার জেতাল দিল্লিকে। ছবি: এএফপি
রাবাদার দুর্দান্ত বোলিং সুপার ওভার জেতাল দিল্লিকে। ছবি: এএফপি
>সুপার ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৩ রানে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস

মনীশ পান্ডেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু ভাগ্য তাঁকে বসাল পান্ডের চেয়েও বড় এক নামের পাশে। বিরাট কোহলির পাশে বসেও দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মাঠ ছাড়লেন পৃথ্বী শ। আইপিএলের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৯৯ রানে আউট হয়েছেন এই ওপেনার। এমন দুর্ভাগ্য আইপিএলে আর কাউকে পেতে হয়নি কোহলি ছাড়া।

অথচ ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মনীশ পান্ডের রেকর্ডটাই ডাকছিল শকে। ১৯ বছর ১৪১ দিনে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেললেন শ। লকি ফার্গুসনের বলে আউট না হলে প্রথম সেঞ্চুরিটাও পেয়ে যেতেন। আর তাহলেই ২০০৯ সাকে গড়া রেকর্ডটি ভেঙে যেত। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে কোহলির সঙ্গী পান্ডে ১৯ বছর ২৫৩ দিন বয়সে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হয়ে ১১৪ রান করেছেন। সে রেকর্ড আজও অক্ষুণ্ন থাকল।

দলকে জেতানোর পথ দেখিয়েছিলেন পৃথ্বী। ছবি: এএফপি
দলকে জেতানোর পথ দেখিয়েছিলেন পৃথ্বী। ছবি: এএফপি

এসব রেকর্ড নয়, শকে আরও কষ্ট দেবে যেভাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ম্যাচ শেষ হলো। ১৮৬ রানের লক্ষ্যে দিল্লি ক্যাপিটালস ১৭ ওভার শেষে পরিষ্কার জয় দেখছিল, সেটা শর সে ইনিংসের কারণেই। ১৮ বলে মাত্র ১৮ রান দরকার ছিল দিল্লির। এমন অবস্থায় বোলিংয়ে এলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কুলদীপ যাদব। ঋষভ পন্তকে শুধু আউটই করলেন না, দিলেন মাত্র ৩ রান। লকি ফার্গুসনের ওভারে শ আউট হলেও রান এসেছে ৯টি। ফলে শেষ ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৬ রান। শেষ দুই বলে ২। কিন্তু পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট বিহারি। শেষ বলে এক রান নিয়ে দ্বিতীয় রানের সময় রান আউট কলিন ইনগ্রাম। ম্যাচ গেল সুপার ওভারে। প্রথম দুই ওভারে ৩৩ রান দেওয়া কুলদীপ শেষ স্পেলে মাত্র ৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে নায়ক বলে গেলেন।

সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করল দিল্লি। প্রথম বলে এক রান নিলেন পন্ত। দ্বিতীয় বলে চার শ্রেয়াস আয়ারের, তৃতীয় বলেই আউট! চতুর্থ বলে দুই রান নিলেন পন্ত। পরের বলেও তাই। শেষ বলে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে ব্যাট বলে হলো না, প্রসিধ কৃষ্ণের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত পন্ত। এল এক রান। মাত্র ১০ রানের পুঁজি পেল দিল্লি।

সে রান তাড়া করতে নামলেন আন্দ্রে রাসেল। যার ২৮ বলে ৬২ রানের ঝড়েই ৬১ রানে ৫ উইকেট হারানো কলকাতা ১৮৫ রান তুলতে পেরেছিল। তাঁর সঙ্গী ৫০ করা অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক। প্রথম বলটা খারাপ ছিল না, কিন্তু প্রায় ইয়র্কার সে বলেও চার! দ্বিতীয় বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কার কাগিসো রাবাদার, রান এল না। তৃতীয় বলে এর চেয়েও দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে উড়ল রাসেলের স্টাম্প। চতুর্থ বলে আরেকটি প্রায় ইয়র্কার, এল এক রান। পরের বলে এক রান। শেষ বলে দরকার ৫ রান। কিন্তু রাবাদার নিচু ফুলটসে এল মাত্র এক রান। অবিশ্বাস্য এক ওভারে ম্যাচ জেতালেন রাবাদার।