বার্সেলোনায় খেলতে নয়, এসেছেন ছবি তুলতে!

এ ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়েই আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বোয়াটেং। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এ ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়েই আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বোয়াটেং। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

লুইস সুয়ারেজ আগের ধার হারিয়েছেন। এখনো মেসির সঙ্গে বোঝাপড়া দুর্দান্ত, এখনো আচমকা সব শটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের মাথার চুল ছিঁড়তে বাধ্য করেন, এখনো বড় ম্যাচে কোনো না কোনোভাবে গোল করে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ৩২ পেরিয়ে এখন আর ম্যাচের পর ম্যাচ ৯০ মিনিট লড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। গত মৌসুমে এর খেসারতও গুনেছে বার্সেলোনা। রোমার কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল। এ মৌসুমে সেটা আর হতে দিতে চায় না কাতালানরা।

এ চিন্তা থেকেই মৌসুমের মাঝপথে একজন স্ট্রাইকারের খোঁজে নেমেছিল বার্সেলোনা। সুয়ারেজের স্বদেশি ক্রিশ্চিয়ান স্টুয়ানিকে মনে ধরেছিল। লুকা জোভিচের নামও শোনা গিয়েছিল। সুয়ারেজকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য তাঁর চেয়ে কমবয়সী এমন একজন স্ট্রাইকার চাইছিল বার্সেলোনা, যিনি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকতে আপত্তি জানাবেন না। সবাইকে চমকে দিয়ে স্টুয়ানি নন, কেভিন প্রিন্স বোয়াটেংকে এনেছে বার্সেলোনা। ঘানার এই স্ট্রাইকার নিজের দিনে প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দিতে পারেন। কিন্তু ফর্ম হারানো এই ফরোয়ার্ডের বয়স যে সুয়ারেজের চেয়ে মাত্র দেড় মাস কম!

সাসসুয়োলো থেকে তাঁকে ধারে এনে খুব একটা লাভ হয়নি বার্সেলোনার। সুয়ারেজকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে তাঁকে। সেই বোয়াটেং সব প্রতিযোগিতা মিলে নেমেছেন মাত্র ২ ম্যাচে। সে দুই ম্যাচে পাননি কোনো গোল। কিন্তু এ নিয়ে বোয়াটেংয়ের কোনো মাথাব্যথা নেই। পরশু অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষেও নামা হয়নি তাঁর। কিন্তু দলের জয় উদ্‌যাপনে বাধেনি বোয়াটেংয়ের। ইনস্টাগ্রামে দলের গোল উদ্‌যাপনের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘কী দারুণ এক দল।’ সে ছবিতে ঠোঁটকাটা এক অনুসারী মন্তব্য করেছেন, ‘তুমি বার্সেলোনা এসেছ শুধু ছবি তোলার জন্যই।’

এমন মন্তব্যে খেপে মন্তব্য করতে পারতেন বোয়াটেং। কিংবা রেগেমেগে ওই অনুসারীকে ব্লক করে দিতেও পারতেন। কিন্তু বোয়াটেং অনুসারীর চেয়েও একধাপ এগিয়ে। তাই দুর্দান্ত জবাবই দিয়েছেন, ‘কিন্তু দারুণ ভালো সব ছবি।’