বার্সেলোনাও আশা করেনি এমন জয়!

মেসি গোল পাননি। তবে মাঠে তাঁর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোই। ছবি: এএফপি
মেসি গোল পাননি। তবে মাঠে তাঁর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোই। ছবি: এএফপি
>চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। আত্মঘাতী গোলে হেরে যায় ইউনাইটেড।

আর্নেস্তো ভালভার্দে চুপচাপ পায়চারি করছেন। উত্তেজনা যা আছে সব ভেতরে-ভেতরে। বেশ নির্ভার বার্সেলোনা কোচ। আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ ওলে গুনার সুলশার অস্থির, উত্তেজিত...ছোটাছুটি করছিলেন এদিক-সেদিক! বুধবার রাতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ চালাকালে ডাগআউটের দৃশ্য এটি। যেন মাঠেরই প্রতিচ্ছবি। ইউনাইটেড খেলোয়াড়েরা যেন রাজ্যের চাপ নিয়ে খেলছেন, কিসের যেন অস্থিরতা। মুদ্রার অন্য পিঠে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের মনে হলো বেশ গোছালো, শান্ত। স্বাগতিকেরা এই অস্থিরতার খেসারত দিয়েছে শেষ পর্যন্ত। লুক শয়ের আত্মঘাতী গোলে প্রথম লেগের ম্যাচ হেরেছে ১-০ গোলের ব্যবধানে। ইংলিশদের মাঠে বার্সেলোনাও হয়তো আশা করেনি এমন সহজভাবে ম্যাচ জিতবে!

ইউনাইটেড পুরো ম্যাচে গোলমুখে যে ১০টি শট নিয়েছে, তার সব কটিই এলোমেলো, বেপথু। পগবা-লুকাকুদের মতোই দিশেহারা! অন্যদিকে, ইউনাইটেডের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের পায়ে বল ছিল। কিন্তু মেসি-সুয়ারেজরা গোলমুখে শট নিয়েছেন মাত্র ছয়টি! অথচ এর তিনটি শটই কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে কাতালানরা।

বার্সেলোনা খেলোয়াড়েরা শুরু থেকেই ইউনাইটেডকে চেপে ধরেন। ভালভার্দের শিষ্যদের আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত সময় পার করেছে তাঁদের রক্ষণ। পাল্টা আক্রমণে যে কবার বার্সার রক্ষণে হানা দিয়েছে ইংলিশরা, তাতে খুব একটা পরীক্ষায় পড়তে হয়নি টের স্টেগানকে। তবে ম্যাচের শুরুতেই পরীক্ষায় পরতে হয় ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডি গিয়াকে। ১২তম মিনিটে মেসির দুর্দান্ত পাসে মাথা ছোঁয়ান সুয়ারেজ। সেটা জালে জড়ানোর আগে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শয়ের গায়ে লেগে যায়। এর মাঝেই অফসাইডের পতাকা উঁচু করে ধরেন রেফারি। যদিও ভিএআরের সাহায্যে অফসাইড বাতিল করে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।

সুয়ারেজের মাথা ছুঁয়েই বার্সেলোনার একমাত্র গোলটি আসে। ছবি: এএফপি
সুয়ারেজের মাথা ছুঁয়েই বার্সেলোনার একমাত্র গোলটি আসে। ছবি: এএফপি

৩১তম মিনিটে ক্রিস স্মলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আঘাত পান মেসি। নাক দিয়ে রক্তও ঝরেছিল কিছু সময়। তবে খানিক চিকিৎসা নিয়ে ফের মাঠে নামেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন এই গোলমেশিন। ৩৫তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি কুতিনহো। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫তম মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছেন সুয়ারেজও। বার্সেলোনার উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। গোল পরিশোধে ব্যর্থ হয় ম্যানইউও। শেষ পর্যন্ত ম্যানইউর মাঠে জয়ের খরা কাটাল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।