কোহলির উড়াল দেওয়া সেঞ্চুরি

বিরাট কোহলি। সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর। ছবি: এএফপি
বিরাট কোহলি। সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর। ছবি: এএফপি
>আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ২১৩ রান তুলেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

বেঙ্গালুরুতে এই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষেই সেঞ্চুরির সুবাস পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ১৬ রান দূরে থাকতে আউট হওয়ায় সেই ম্যাচে আর এই আইপিএল মৌসুমে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাননি। আজ সেই কলকাতার বিপক্ষেই কোহলি আর সুযোগ নষ্ট করেননি। শেষ ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই অধিনায়ক তখন ৯৬ রানে অপরাজিত। পরের দুই বল থেকে ১০ রান তুলে নেন মার্কাস স্টয়নিস। চতুর্থ বলে ২ রান নিতে পারতেন এই অস্ট্রেলিয়ান। কিন্তু কোহলি স্ট্রাইকে গিয়ে আর প্রান্ত বদল করেননি। বোঝাই যাচ্ছিল, সেঞ্চুরিটা ভীষণভাবে চাচ্ছেন কোহলি। আর তা হয়ে গেল পঞ্চম বলেই।

চার মেরে সেঞ্চুরি করেই শূন্যে উড়াল দিলেন কোহলি। যেন এই মৌসুমে দলের বাজে ফর্মের খেদটা তুলে নিতে চাইলেন! আর শেষ বলে আউট হওয়ার আগে বেঙ্গালুরুকে জয়ের সুবাস পাওয়া সংগ্রহই এনে দিলেন। ৮ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ের মুখ দেখা বেঙ্গালুরু ৪ উইকেটে ২১৩ রান তুলেছে কোহলির সেঞ্চুরিতে ভর করে। ৪ ছক্কা ও ৯ চারে আইপিএলে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি (১০০) তুলে নিতে কোহলি খেলেছেন মাত্র ৫৮ বল। সঙ্গে মঈন আলীর ২৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংসের ভূমিকাও কম নয়। ৬ ছক্কা ও ৫ চারে আজ বেশ সংহারী মেজাজেই ছিলেন এই ইংলিশ। তৃতীয় উইকেটে ৫৩ বলে ৯০ রানের জুটি গড়েন দুজন। মঈনকে কুলদ্বীপ যাদব তুলে নেওয়ার পর চতুর্থ উইকেটে স্টয়নিসের সঙ্গে ২৪ বলে ৬৪ রানের ‘টর্নেডো’ জুটিতে দলের সংগ্রহ দুই শ-র ওপাশে নিয়ে যান কোহলি।

বেঙ্গালুরুর ইনিংসে মূল ঝড়টা উঠেছে ১০তম ওভারের পর থেকে। শুরুটা ছিল বেশ মন্থর। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪২। এখান থেকে ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৭০। কোহলি তখন ২৯ বলে ৩৫ আর মঈন ৫ বলে ৯ রানে অপরাজিত। এখান থেকে কোহলি, মঈন ও স্টয়নিসের উপর্যুপরি ঝড়ে শেষ ১০ ওভারে ১৪৩ রান তুলেছে বেঙ্গালুরু। আইপিএলের এবারের মৌসুমে যা শেষ ১০ ওভারে সর্বোচ্চ রান তোলার নজির। এর মধ্যে শুধু শেষ ৫ ওভারেই এসেছে ৯১—বিনোদন আর কাকে বলে!

কোহলিদের এই বিনোদন দেওয়া ঝড় সবচেয়ে বেশি গেছে কুলদ্বীপ যাদবের ওপর দিয়ে। ৪ ওভারের স্পেলে ১ উইকেট পেলেও ৫৯ রান দিয়েছেন এই ‘চায়নাম্যান’ স্পিনার। আইপিএলের ইতিহাসে যা কোনো স্পিনারের সর্বোচ্চ রান দেওয়া নজির। দুই বছর আগে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ইমরান তাহিরও ৫৯ রান দিয়েছিলেন।

বেঙ্গালুরু অধিনায়কের এই সেঞ্চুরির শুরুটা ছিল বেশ মন্থর। ৪০ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে মেরেছেন ৪ চার ও ১ ছক্কা। কিন্তু পরের ৫০ রান তুলেছেন মাত্র ১৭ বলে, আরও ৩ ছক্কা ও ৫ চারে। ৮ বলে ১৭ রানে অপরাজিত স্টয়নিস তাঁকে শেষ দিকে যোগ্য সঙ্গই দিয়েছেন।