আবারও উঠল সৌম্য ঝড়

দুর্দান্ত ফর্মে আছেন সৌম্য। ফাইল ছবি
দুর্দান্ত ফর্মে আছেন সৌম্য। ফাইল ছবি
সৌম্য সরকারের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আজ আরও ভয়ংকর রূপে আছেন সৌম্য। ১৫ ছক্কায় ১০৪ বলে তুলেছেন দেড় শ রান!


বড় ম্যাচেই জ্বলে উঠতে পছন্দ করেন সৌম্য সরকার। রূপগঞ্জের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ফর্মে ফিরেছেন। আজ আরেক ঝড়ে নিশ্চিত করলেন , আগের ইনিংসটি ফ্লুক ছিল না। আজ ৭৮ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন সৌম্য। সৌম্য ও জহুরুলের দারুণ ব্যাটিংয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে জয়ের পথে আছে আবাহনী। আর তাহলেই শিরোপা ধরে রাখবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

রূপগঞ্জের বিপক্ষে ২ ছক্কা ও ১৫ চারের এক ইনিংস খেলেছিলেন। ৭৯ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলার পরও নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছিল সৌম্যের। কারণে ইনিংসের আরও অর্ধেকের বেশি বাকি ছিল সেদিন। আজ তাই সে ইনিংস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। আজও ২৫তম ওভারেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তবে সেখানেই দায়িত্ব শেষ বলে মনে করেননি। অষ্টম ছক্কায় সেঞ্চুরি পেয়ে আবার নতুন করে ইনিংস গড়ছেন। সেঞ্চুরির আগে ৮ ছক্কার সঙ্গে আটটি চারও মেরেছেন সৌম্য।

আবাহনীর শিরোপা স্বপ্নটা আজ একটু ধাক্কা খেয়েছিল প্রথম ইনিংসে। ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারানো শেখ জামালের হয়ে অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ গড়েছেন তানভীর হায়দার। ইলিয়াস সানীকে (৪৬ বলে ৪৫ রান) নিয়ে ৯১ রানের জুটি গড়েছেন প্রথমে। এরপর মেহরাব হোসেইনকে নিয়েও তুলেছেন ৯৮ রান। ৩৬ বলে ৪৪ রান করে মেহরাব আউট হলেও তানভীর তাঁর কাজটা শেষ করে তবেই এসেছেন। ৯৯ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া তানভীর দলকে তিন শ পার করিয়েছেন। নিজে অপরাজিত ছিলেন ১৩২ রানে। ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ১১৫ বলে ১৩২ রান করেছেন এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

৩১৮ রানের লক্ষ্যে যেমন শুরু দরকার ছিল সেটাই করেছেন জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য। ৮ ওভারেই পঞ্চাশ তুলেছে এ জুটি। শুরুতে জহুরুলই বেশি আগ্রাসী ছিলেন। পঞ্চাশও আগে পেয়েছেন জহুরুল। ৫৫ বলে জহুরুলের ফিফটির একটু পরেই ফিফটি পেয়েছেন সৌম্য (৫২ বলে)। এরপরই সৌম্য নিজের পরিচিত রূপে ফিরেছেন। পরের ফিফটি তুলেছেন মাত্র ২৬ বলে। ১৭তম ওভারে ১০০ পাওয়া আবাহনীও তাই ২৯তম ওভারেই দুই শ ছাড়িয়েছে।

৩১ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২২৭ রান আবাহনীর। ১৯ ওভারে মাত্র ৯১ রান দরকার দলটির। ৮৬ বলে ৭২ রান করে অপরাজিত জহুরুল। সেঞ্চুরির পর আরও ৭ ছক্কা মারা সৌম্য আছেন ১৫০ রানে (১০৪ বল)। এর মাঝে তিনটিই এসেছে তাইজুলের এক ওভারে।