আত্মজীবনীতেও আফ্রিদির বয়স-রহস্যের সুরাহা হয়নি!

শহীদ আফ্রিদি। ফাইল ছবি
শহীদ আফ্রিদি। ফাইল ছবি
>

আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ নিজের বয়স নিয়ে দুই রকম তথ্য দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি

আত্মজীবনী প্রকাশের পর থেকে নিয়মিতই সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছেন শহীদ আফ্রিদি। পাকিস্তান ক্রিকেটের চেহারা বদলে দিতে পারে, এমন সব তথ্য জানিয়েছেন ‘গেম চেঞ্জার’ আত্মজীবনীতে। নিজের বয়স নিয়ে রহস্যও খোলাসা করেছেন তিনি। আত্মজীবনীতে বলেছেন, এত দিন সবাই তাঁর যে বয়স জেনেছেন, সেটি আসলে ঠিক নয়। কিন্তু আফ্রিদির আসল বয়স নিয়ে জট এতেও খোলেনি।

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক তাঁর বইয়ে জন্মসাল লিখেছেন ১৯৭৫। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, যে বয়স নথিভুক্ত আছে, সেটি পাঁচ বছর কম। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হিসাবে, আফ্রিদির বয়স ৩৯। পাসপোর্ট অনুযায়ী তাঁর জন্মতারিখ ১ মার্চ ১৯৮০। এই জন্মসাল অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি (তখন ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড) করার সময় আফ্রিদির বয়স ছিল ১৬ বছর।

আশ্চর্যের বিষয়, সেই ম্যাচে টিভি পর্দায় আফ্রিদির ক্যারিয়ারে তাঁর বয়স ২১ বছরই দেখানো হয়েছিল। অর্থাৎ, পরে নিজ আত্মজীবনীতে আফ্রিদি যে জন্মসাল লিখেছেন, (১৯৭৫) তার সঙ্গে ওই বয়সের হিসাবে মিল আছে। আবার একই আত্মজীবনীতে আফ্রিদি লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই ইনিংস খেলার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর। কীভাবে সম্ভব!

সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে আফ্রিদির ক্যারিয়ার-প্রোফাইল। ছবি: ইউটিউব
সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে আফ্রিদির ক্যারিয়ার-প্রোফাইল। ছবি: ইউটিউব

পাকিস্তানের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে একটা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, ‘বই লেখার সময় ভক্তদের নিজের বয়স জানাতে চেয়েছিলাম। তাতে কিছু রেকর্ড আমার দখলে থাকুক বা না থাকুক। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ও দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য গত ৭-৮ মাস ব্যস্ত ছিলাম, তাই বইটা পড়তে পারিনি। হিসাবে কিছু ভুল হয়েছে। ভারতে এ ব্যাপারে যারা দায়িত্বে, তাদের বলেছি, তারাও ভুলটা ধরতে পেরেছে। এই বইয়ের ই-কপি দ্রুতই আসছে এবং সেখানে আমার আসল বয়স জানা যাবে।’