কোহলিকে খোঁচা দিতে গিয়ে হরভজনই হাসির পাত্র

এই ছবি থেকেই জন্ম এত আলোচনার। সংগৃহীত ছবি
এই ছবি থেকেই জন্ম এত আলোচনার। সংগৃহীত ছবি

বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান এখন বিরাট কোহলি। এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারও। কিছুদিন আগেই ১০০ কোটি রুপির পণ্যের দূতিয়ালির চুক্তি করেছেন। কোহলির এমন সাফল্য নিয়ে খোঁচা দিতে ইচ্ছে হয়েছিল হরভজনের। কিন্তু কোহলিকে খোঁচা দিয়ে খেপিয়ে দিয়েছেন তাঁর ভক্তদের। ফল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হরভজনকে নিয়েই উল্টো হাসিঠাট্টায় মেতেছে সমর্থকেরা।

কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে কোহলি নিজের একটি ছবি দিয়েছিলেন। স্পনসরদের সঙ্গে ফটোশুটের একটি ছবি দিয়ে সঙ্গে লিখে দিয়েছিলেন, ‘প্রতিটি দিনই নতুন কিছু শেখার সুযোগ, বড় হওয়ার সুযোগ। বিনয়ী থাকুন।’ কোহলির ক্যাপশন দেখে মজা করতে ইচ্ছে হয়েছিল হরভজনের। জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া এই অফ স্পিনার মন্তব্য করেছিলেন, ‘প্রতিদিন তোমার জন্য আরও বেশি বেশি করে টাকা কামানোর নতুন সুযোগ।’ ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে লোভনীয় তারকা হচ্ছেন কোহলি। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এ কারণে পুরস্কার পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক। বাৎসরিক ২ কোটি ডলার আয় আসে তাঁর স্পনসরশিপ থেকে। তাই হরভজনের কথা মিথ্যা নয়।

তবু হরভজনের এমন মন্তব্য খাঁটি কোহলি ভক্তদের ভালো লাগেনি। একের পর পর কড়া মন্তব্যে হরভজনকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় মেতেছেন সবাই। একজন সমর্থক মন্তব্য করেছেন, ‘ঈর্ষান্বিত লোক।’ আরেক ভক্তের সোজাসাপটা মন্তব্য, ‘কারও কিছু পুড়ছে...’ আরেক ভক্ত তো হরভজনকে কোহলির চেয়ে অনেক নিচু মানের বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।

সবচেয়ে মজার কথা বলেছেন দীপক আগারওয়াল নামের এক ভক্ত। ভারত দলে হরভজনের জায়গা না পাওয়া নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন, ‘ভাই এমন মন্তব্য করেও বিশ্বকাপের দলে জায়গা মিলবে না।’ আরেক ভক্ত বলেছেন, ‘তুমি(হরভজন) কেন পারছ না?’

অন্য ভক্তরা অবশ্য সরাসরিই আক্রমণ করেছেন। মানস নামের একজন বলেছেন, ‘বিরাট নিজের পরিশ্রমে এমন তারকা খ্যাতি পেয়েছেন। দয়া করে এসব বলবেন না।’ একজন আবার পুরোনো পথেই হেঁটেছেন, ‘ঈর্ষা হচ্ছে?’ নানি নামের আরেক ভক্তের উপদেশ, ‘ভাই অন্যের আয় দেখে কান্নাকাটি করো না। বরং সুযোগ পেলে নিজে আয় করার চেষ্টা কর।’