মেসিদের বোকামি দিয়ে নিজেদের প্রচার করল মুম্বাই পুলিশ

লিভারপুলের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়েছেন মেসিরা। ছবি: এএফপি
লিভারপুলের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়েছেন মেসিরা। ছবি: এএফপি
>

লিভারপুলের কাছে ৪-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়েছে বার্সেলোনা। কর্নার থেকে দলের চতুর্থ গোলটা করানোর সময় একটু চালাকির সাহায্য নিয়ে মেসিদের বোকা বানান ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড। নিজেদের প্রচার করতে গিয়ে সে কর্নারের ‘সাহায্য’ নিল মুম্বাই পুলিশও।

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে বার্সার হেরে যাওয়ার ধরন নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। পিছিয়ে নেই মুম্বাই পুলিশও। নিজেদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে লিভারপুলের চতুর্থ গোলের একটা ভিডিও পোস্ট করে নিজেদের প্রচার করেছে তারা। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় সতর্কতা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই পোস্টে উল্লেখ করেছে তারা।

প্রথম লেগে নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ৩-০ গোলে জেতার পরেও দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলের মঠে গিয়ে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে বার্সেলোনা। কর্নার থেকে পাওয়া বলে পা লাগিয়ে ম্যাচের শেষ গোলটা করেছেন দলের বেলজিয়ামের স্ট্রাইকার ডিভক অরিগি। সে কর্নারটা নিয়েছিলেন লিভারপুলের ইংলিশ রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড।

কর্নারটা নেওয়ার সময় বেশ চালাকি করেছিলেন আরনল্ড। কর্নার নিতে গিয়ে অন্যান্য সময়ের মতো একদমই দেরি করেনি লিভারপুল। বার্সার খেলোয়াড়েরা ভেবেছিল, কর্নার নিতে আরনল্ড বেশ কিছু সময় নেবেন। কিন্তু কর্নার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বরিতগতিতে লিভারপুলের এক বলবয় আরনল্ডের পায়ে বল তুলে দেন। আরনল্ড প্রথমে একটু ভাব ধরলেন, একটু সময় নেবেন তিনি। তা দেখে মেসি-পিকে-সুয়ারেজরা একটু গা ছাড়া দিয়ে থাকতে চাইলেন। মেসিদের এই অসতর্কতার পূর্ণ সুযোগ নিলেন আরনল্ড।

মুম্বাই পুলিশের সেই টুইট। ছবি: টুইটার
মুম্বাই পুলিশের সেই টুইট। ছবি: টুইটার

তাড়াতাড়ি কর্নার নিয়ে ফেললেন আরনল্ড, বল চলে গেল অরিগির পায়ে। সে বলে পা ঠেকিয়ে গোল করে বসলেন অরিগি। গোটা প্রক্রিয়ায় বার্সার খেলোয়াড়েরা হাঁ করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তেমন কিছুই করতে পারলেন না। মুহূর্তের অসতর্কতার চড়া মাশুল গুনল বার্সা।

আর এটাকেই নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার করেছে মুম্বাই পুলিশ। খেলার মাঠে হোক বা রাস্তাঘাটে, মুহূর্তের অসতর্কতা যে কত বড় ক্ষতি করতে পারে, নিজেদের টুইটার পোস্টে সেটাই বোঝাতে চেয়েছে তারা। তারা ক্যাপশনে লিখেছে, ‘ফাইনালে যাওয়ার পথে হোক কিংবা বাসায় যাওয়ার পথে, সামান্য একটু অসতর্ক হওয়ার চড়া মাশুল গুনতে হতে পারে।’