দলের চাওয়াই তামিমের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

নিজের সেরাটা দিয়েই বিশ্বকাপে দলের জন্য কিছু করতে চান তামিম। ফাইল ছবি
নিজের সেরাটা দিয়েই বিশ্বকাপে দলের জন্য কিছু করতে চান তামিম। ফাইল ছবি
>আয়ারল্যান্ড সফরে একবারই সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন, শুরুতেই শর্ত ছিল—বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলা যাবে না। তবে রাজীব হাসানের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই শর্ত টিকল না। তামিম বিশ্বকাপ স্মৃতি, বিশ্বকাপে নিজের ও দলের লক্ষ্য নিয়ে বললেন। প্রায় আড়াই মাসের দীর্ঘ সফর, ব্যক্তিজীবনে এটা কীভাবে প্রভাব ফেলে বলতে গিয়ে উঠে এল আরও প্রসঙ্গ—

প্রশ্ন: আপনার প্রথম দেখা বিশ্বকাপ নিশ্চয়ই ১৯৯৯, আপনার বয়স তখন ১০। যেটা বাংলাদেশেরও প্রথম বিশ্বকাপ। ওই বিশ্বকাপ নিয়ে কী কী স্মৃতি মনে পড়ে?
তামিম: ওই বিশ্বকাপের দুটি স্মৃতি মনে পড়ে। বাংলাদেশের দুটি জয়—স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটার স্মৃতি তো এখনো মনে আছে। আব্বা তখনো বেঁচে ছিলেন। স্কটল্যান্ড দলে হ্যামিল্টন নামে একজন ব্যাটসম্যান ছিল, ওই ম্যাচে খুবই ভালো খেলছিলেন। আব্বা বারবার বলছিলেন একে আউট করতেই হবে, না হলে বিপদ আছে। ম্যাচটা ওই দিকেই যাচ্ছিল, এমন সময় মঞ্জু ভাই (সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম) ফলোথ্রুতে বলে হাত লাগিয়ে নাটকীয়ভাবে ওকে রান আউট করে। জেতার পর সে কী উচ্ছ্বাস! চাচা (আকরাম খান) ওই ম্যাচে কোনো রানই করেনি। তবে তাতে আমাদের উদযাপনে কোনো কমতি ছিল না। আমাদের বাসার সামনে অনেক লোকজন এসেছিল। ব্যান্ড পার্টি, ঢোল, বাজনা। আর পাকিস্তান ম্যাচ তো বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয়গুলোর একটি। আর ম্যাচটাও আমরা যেভাবে জিতেছি, এরপর একই উদযাপন। লোকজন এসেছিল বাসায়। মনে আছে ওই সময় রাতে খেলা হতো। তবু সবার মধ্যে বেশ উত্তেজনা, উৎসব ভাব ছিল।

প্রশ্ন: নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ২০০৭। যে বিশ্বকাপের কথা উঠলেই ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে জহির খানকে আপনার সেই ছক্কার কথা সবাই বলে।
তামিম: (হেসে) দেখেন, আমি কিন্তু বলি না। এরপর এত ছক্কা মেরেছি, তবু মানুষ ওটা নিয়েই বলে। আসলে হয়েছে কি, তখন জাতীয় দলে এসেছি খুব বেশি দিন হয়নি। আর সেটা বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। ওই ম্যাচে অনেকেই হয়তো প্রথমবার আমাকে টিভিতে খেলতে দেখেছে। ওই একটা জিনিস হয়ে গেছে আরকি। ওটা নিয়ে আমি খুব বেশি বলতেও চাই না। ভাবিও না। হ্যাঁ, ওই ম্যাচ নিয়ে যদি জিজ্ঞেস করেন, ওটা অবশ্যই আমার জীবনের সবচেয়ে স্পেশাল ম্যাচগুলোর একটি হয়ে থাকবে। ছক্কাটা নিয়ে আসলে আর কিছু...

প্রশ্ন: এখন হয়তো ওই ইনিংস বা ছক্কাটা নিয়ে তেমন কিছু মনে হয় না, কিন্তু তখন নিশ্চয়ই অনেক উত্তেজনা কাজ করছিল। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ, সেই ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি, জয়—এত কিছু!
তামিম: অবশ্যই উত্তেজনা ছিল। আসলে ২০০৭ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই তো অন্য রকম উত্তেজনা কাজ করছিল। এত বড় মঞ্চ, আমার বয়সই-বা কত তখন। বিশ্বকাপে এত বড় বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে পারব, যাদের এত দিন টিভিতেই দেখেছেন, ওদের সামনে থেকে দেখতে পারব। এগুলো নিয়ে উত্তেজনা ছিলই। আর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটার কথা যদি ভাবেন, কত তারকা তখন ওদের দলে, টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়, শেবাগ, সৌরভ, যুবরাজ—অবশ্যই ম্যাচটা অনেক বড় কিছু ছিল। ওই ম্যাচের পর আমাকে রাহুল দ্রাবিড় একটা ব্যাট দিয়েছিল মনে আছে। কিন্তু এটাও সত্যি কথা, তখন কে আর আমাকে চিনত। মাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছি (এক মাস আগে অভিষেক)। এখন হলে তো নিজে গিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলতাম। তখন এগিয়ে গিয়ে যে কথা বলব, সেই সাহসটাই তো ছিল না।

প্রশ্ন: আচ্ছা, ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন একদিন বিশ্বকাপে খেলব? আপনি যে ক্রিকেটার হবেন, এটা তো নিয়তিই ঠিক করে দিয়েছিল। জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা—এসব নিয়ে তখন কোনো স্বপ্ন...
তামিম: অনেকে হয়তো বিশ্বাস করবে না, তবে সত্যিটা হলো, বিশ্বকাপে খেলবই এ রকম কোনো স্বপ্ন কখনো দেখিনি। যখন খেলা শুরু করছি, সেটা তো অনূর্ধ্ব-১৩ দল থেকে, তারপর অনূর্ধ্ব-১৫…তখন ইচ্ছাটা জাগতে শুরু করে একদিন বাংলাদেশ দলের জন্য খেলব। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলব, জীবনে অমুক হব, তমুক হব—এ ধরনের কোনো স্বপ্ন ছিল না।

প্রশ্ন: অতীত থেকে বর্তমানে ফিরি। গতবার কোয়ার্টার ফাইনাল, এবার লক্ষ্যটা এক ধাপ এগিয়ে সেমিফাইনালের কথা বলছে অনেকে। আপনি নিজে কী মনে করেন?
তামিম: দেখেন, আমি কোনো লক্ষ্য স্থির করে দিতে চাই না। আমার কাছে মনে হয়, এবার যে ফরম্যাটে খেলা হবে, নয় প্রতিপক্ষের সবার সঙ্গে ম্যাচ, পরের ধাপে যেতে হলে আমাদের খুবই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এখানে এমন নয় এক-দুই ম্যাচে কিছু ঘটিয়ে ফেললেই পরের রাউন্ড। সবগুলো দলের ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক সুযোগ থাকবে। এ কারণে আমাদের জন্য সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ যেটা হবে বিশ্বকাপটা ভালো করে শুরু করা। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ দল যেকোনো টুর্নামেন্টে ভালো শুরু করলে ওই টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত আমরা সাধারণত ভালো খেলি। তাই প্রথম দুটি খেলা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই ম্যাচের মধ্যে (দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড) একটা ম্যাচ জিততে পারলেই আমাদের জন্য বড় একটা সুবিধা হবে। তবে সেমিফাইনাল খেলব, ফাইনাল খেলব, চ্যাম্পিয়ন হব; কিংবা একটা ম্যাচ জিতব বা পাঁচটা ম্যাচ জিতব—এভাবে আমি ভাবতে চাই না। কারণ, আমাদের নয়টা ম্যাচ খেলতে হবে, প্রতিটাই কঠিন প্রতিপক্ষ। গ্রুপ পর্বটাই অনেক লম্বা, আর এখনই যদি ফিনিশিং লাইন চিন্তা করি, এটা কাজে দেবে না। আগে চিন্তা করতে হবে স্টার্টিং লাইন নিয়ে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভালো শুরুর কথা বলছিলেন। ভালো শুরুও তো আপনার ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে? আপনার প্রস্তুতিটা কেমন থাকে। হেইডেনের কথা বলছিলেন, ওর মতো কোনো রিচুয়ালস পালন করেন ম্যাচের আগে?
তামিম: অবশ্যই আমি আমার মতো করে প্রস্তুতি নিই। পেছনেরটা তো অনেকে দেখে না বা জানে না। অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। যে বোলারগুলোর বিপক্ষে খেলছি, তাদের নিয়ে ভাবতে হয় অনেক। তারা কেমন বোলার, কী লেংথে বল করে, আমাকে কোন লেংথে বল করতে পারে। সব সময় চেষ্টা করি এই টেকনিক্যাল দিকগুলো যথেষ্ট পরিমাণে ঠিকঠাক বুঝে নিতে। অনুশীলনে ওই ভাবে প্রস্তুতি নিতে থাকি। নিজেকে যতটুকু ভালোভাবে প্রস্তুত করা সম্ভব, তাতে ছাড় দিই না। কারণ যদি ম্যাচে না–ও পারি, নিজেকে যেন বলতে পারি, না আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়েই তো চেষ্টা করেছি। হয়তো ব্যর্থ হলাম, কিন্তু চেষ্টায় কোনো ঘাটতি তো ছিল না। সেটা করলে ব্যর্থ হলেও আর খারাপ লাগে না। কারণ, যদি চেষ্টাই না করি, তাহলে তো নিজেকেই মাফ করতে পারব না। আর এটা আমি দেখেছি, ঠিকমতো প্রস্তুতি নিলে ভালো করার সুযোগ বেশি থাকে।

প্রশ্ন: এখন তো প্রস্তুতিতে অনেক প্রযুক্তিও যুক্ত হয়েছে।
তামিম: প্রতিটা ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ বোলারদের ভিডিও দেখি। আমি অতীতের অনেক ওপেনারেরও ভিডিও দেখেছি, তারা কীভাবে খেলত, কীভাবে কোন পরিস্থিতি সামলাত। এখন অভিজ্ঞতাও বেড়েছে। ফলে বুঝতে পারি আমাকে কোন কোন বোলার কীভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। নেটে সেভাবেই প্রস্তুতি নিই। নেটে যে বল ছোড়ে, তাকে বলে রাখি আমাকে এভাবে এভাবে ডেলিভারিটা দাও। নেটে অবশ্য আমি খুব বেশি ব্যাটিং করি না। কেবল ২০-২৫ মিনিট। নেটের বোলারকে বলে দিই, এমনভাবে আমাকে বল করো, যেন তুমি ম্যাচেই বলটা করছ।

প্রশ্ন: এই প্রস্তুতিটা অনেকে যেমন দেখে না, আবার এ–ও তো সত্যি, ক্রিকেটারদের কষ্টের জীবনটাও চোখে পড়ে না। প্রায়ই সফরে থাকতে হয়, দেশে খেলা হলেও টিম হোটেল...
তামিম: এটা অবশ্য সহজ নয়। আমার তো খুবই ছোট একটা বাচ্চা, ওকেও খুব বেশি সময় দিতে পারি না। এটা অবশ্যই কষ্টের। পরিবার থেকে দূরে দূরে থাকা। তবে এটাও মনে রাখি সব সময়, আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলছি। এখানে খেলা আমার জাতীয় দায়িত্ব। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে বোঝাই, আর তো ৫-৬ বছর খেলব। তখন আমার সন্তান, পরিবারকে অনেক সময় দিতে পারব। এখন জাতীয় দলের হয়ে খেলা আছে, এটাই এখন আমার পরিবার। আর এখন প্রযুক্তি এত উন্নত হয়েছে, ভিডিও কল করা যায়, এটা এক দিক দিয়ে সুবিধা হয়েছে। দূরত্বটা অন্তত কম মনে হয়।

প্রশ্ন: আপনার বাবা আপনাকে ক্রিকেটারই বানাতে চেয়েছিলেন। নিজের ছেলেকে নিয়ে আপনার তেমন কোনো পরিকল্পনা আছে?
তামিম: আমার ছেলেকে নিয়ে এ রকম কোনো পরিকল্পনা আমার নেই। ওকে ক্রিকেটার হতেই হবে—এমন কোনো চাওয়া কখনো ওর ওপর চাপিয়ে দেব না। ওর বয়স তো এখনো অনেক ছোট। আগে ভালো করে শৈশবটা ওর মতো করে উপভোগ করুক। তারপর যখন একটু বড় হবে, সে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে কী হতে চায়।

প্রশ্ন: ক্রিকেটারদের জীবনে আরও একটা বড় যন্ত্রণা হলো সমালোচনা, চাপ, প্রত্যাশা পূরণ করা। আপনার চেয়ে এটাও তো খুব কম মানুষ ভালো করে বোঝে।
তামিম: দেখেন, এখন অনেকটা বদলে গেছি। আগে এসব নিয়ে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়তাম। এখন বুঝি, সব মানুষের জীবনে এ রকম একটা সময় আসে। জীবনে আপনি ভালো করবেন, আবার খারাপ করবেন। খারাপ করলে আলোচনা-সমালোচনা হবেই। আমার জীবনে এই সময়টা এসেছিল, আবার যে আসবে না তারও নিশ্চয়তা নেই। তবে আবার যদি আসে, শেষবার যেভাবে বিষয়গুলোকে সামলেছিলাম, এবার একই পরিস্থিতি হলে ভালোভাবে সামলাতে পারব। অতীত থেকে অনেক শিখেছি। তবে সব সময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, সেই কঠিন জীবনটা যেন আবার না আসে।

প্রশ্ন: আপনি এখন অনেক পরিণত, সেটা আমরাও অনুভব করি। এই পরিণতবোধটা ব্যাটিংয়েও এসেছে। আগের মতো আর আক্রমণাত্মক খেলেন না।
তামিম: এখন দলে প্রত্যেকের ভূমিকা আসলে নির্দিষ্ট করে দেওয়া। কে কী করবে না করবে সেটা ঠিক করে দেওয়া আছে। যখন নিজের ইচ্ছামতো চলতে পারবেন, অনেক কিছু করার স্বাধীনতা থাকে। কিন্তু আপনাকে যখন দল একটা নির্দিষ্ট ভূমিকা দেবে, আপনি আপনার মতো করে সবকিছু করতে পারবেন না। আমি চেষ্টা করি আমাকে দল যে দায়িত্বটা দিয়েছে, সেটা ঠিকমতো পালন করার। এখন অনেক বেশি চেষ্টা করি ফিফটি পার করার পরও নিজেকে যতটা সম্ভব শান্ত রাখার। অতীতে অনেকবারই এমন অনেক সময় এসেছিল, ফিফটি করার পর বেশি উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিলাম। অতীতে এমন অনেক ইনিংস খেলেছি, ফিফটি করার পর হঠাৎ একটা বাজে শট খেলে আউট হয়ে গেছি। কিন্তু এখন প্রতিটা মুহূর্তে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে খেলি। গত ম্যাচটাও যদি দেখেন, আমি যখন ফিফটি করি, কিছুক্ষণের মধ্যে সৌম্য আউট হয়ে গেল। ওই সময়ে আমরা দুজনই যদি মেরে খেলতাম, দুজনই পরপর আউট হয়ে যেতাম হয়তো। সৌম্য আউট হওয়ার পর তখন আমার মূল লক্ষ্যই ছিল আরও একটা জুটি গড়া, একটু রয়েসয়ে খেলা। তারপর থিতু হয়ে গেলে আবার আক্রমণাত্মক খেলতে পারব। বুঝতে হবে দলের কী পরিস্থিতি, সে অনুযায়ী ব্যাটিং করতে হবে। আপনি কী চাচ্ছেন, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। দল কী চাচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: যেকোনো একটা ফরম্যাটে অন্তত ১০ হাজার রান নিয়ে অবসরে যেতে চান। গত ইনিংসেই ওয়ানডেতে সাড়ে ৬ হাজার রান পূর্ণ হলো। সেই লক্ষ্যটা কি এখনো আছে, নাকি বদলেছে?
তামিম: এই লক্ষ্যের কথা তো প্রায় সবাই জানেন। তবে এখন ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা এত কমে আসছে, সত্যি বলতে এটা এখন অনেক অনেক কঠিন হয়ে গেছে। আর টেস্ট আমরাই এত কম খেলার সুযোগ পাই, সেখানে এটা (টেস্ট ১০ হাজার রান থেকে ৫৬৭৩ রান দূরে আছেন) আরও কঠিন। তবে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব লক্ষ্যটা পূরণ করতে। তবে এখন আসলে ব্যক্তিগত চাওয়ার চেয়ে বেশি তাড়না এনে দেয়, বাংলাদেশকে যত সম্ভব বেশি ম্যাচ জেতাতে যদি ভূমিকা রাখতে পারি। সত্যি কথা বলতে, এখন খুব বেশি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি না। এখন বর্তমানে থাকতে পছন্দ করি। এই মুহূর্তে আমি কী করছি, কী করতে পারি—এটাই আমার এখনকার মূল লক্ষ্য। ভবিষ্যতে কী হবে, পাঁচ বছর পর কী হবে—এটা নিয়ে এত বেশি আর ভাবি না। আর দলগতভাবে আমার চাওয়া যদি জিজ্ঞেস করেন, যখন অবসর নেব, বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা পাঁচ দলের একটা থাকলেই অনেক খুশি হব।