'শুধু সুয়ারেজের জন্য বার্সার হারে খুশি হয়েছি'

চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমির ফিরতি লেগে লুই সুয়ারেজ। ছবি: রয়টার্স
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমির ফিরতি লেগে লুই সুয়ারেজ। ছবি: রয়টার্স

অবিশ্বাস্য হারই বটে। প্রথম লেগে ৩ গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফিরতি লেগে ৪ গোল হজম। তাও আবার বার্সেলোনার মতো দল! লিভারপুলের সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে তাদের স্তুতির চেয়ে বার্সাকে নিয়ে ‘আহা...উঁহু’ আর্তিই বেশি হচ্ছে। ফ্রাঙ্ক লেবফ অবশ্য এ দলে নেই। ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ ডিফেন্ডার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে বার্সার হারেই বরং খুশি হয়েছেন। এবং এর প্রধান কারণ লুই সুয়ারেজ।

উরুগুয়ে ফরোয়ার্ডকে নিয়ে বিতর্ক কম নেই। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও বিশ্বকাপে ‘কামড়-কাণ্ড’ তো আছেই, এ ছাড়াও মাঠে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে হরহামেশাই লেগে যায় সুয়ারেজের। সেমির দুই লেগেই তা দেখা গেছে। লেবফ অবশ্য এসব নিয়ে কোনো ব্যাখ্যার ধার ধারেননি। তাঁর সাফ কথা, ‘শুধু সুয়ারেজের কারণে বার্সা বিদায় নেওয়ায় খুশি হয়েছি।’ ফরাসি সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্টকে এ কথা বলেন দেশের হয়ে ৫০ ম্যাচ খেলা লেবফ।

তাঁর ভাষায়, সুয়ারেজের মতো ফুটবলারকে ‘সমর্থন করতে পারি না। তাঁর মতো ফুটবলারের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’ বার্সা তারকাকে অবশ্য শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের একজন হিসেবেই মনে করেন লেবফ। কিন্তু প্রতারণাসুলভ মনোভাব ও মাঠে অযথাই আহাজারির জন্য সুয়ারেজকে দেখতে পারেন না ’৯৮ বিশ্বকাপজয়ী এ ফরাসি। লেবফ নিজেই বলেছেন, ‘সে উঁচুমানের ফুটবলার। কিন্তু এর পাশাপাশি সে একজন প্রতারক ও অযথাই আহাজারি করে থাকে। তার খেলার ধরনকে আমি ঘৃণা করি।’

এখানেই শেষ নয়। মাঠে সুয়ারেজের মুখোমুখি হলে কী করতেন সে কথাও বলেছেন লেবফ। ২০০৫ সালে পেশাদার ফুটবল ছেড়ে দেওয়া এ ডিফেন্ডার বলেন, ‘আমি এখনো খেললে মনে হয় না পুরো ম্যাচ (সুয়ারেজের বিপক্ষে) শেষ করতে পারতাম। সে-ও যেন পুরো ম্যাচ শেষ করতে না পারে সে জন্য নিজের শক্তির সর্বোচ্চ প্রয়োগ করতাম।’