ভাইরাস ছাড়ছে না পাকিস্তানকে

ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খেলতে পারছেন না আমির। ছবি: রয়টার্স
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খেলতে পারছেন না আমির। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বকাপ কি তাহলে ভাগ্যে নেই মোহাম্মদ আমিরের? বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পাননি এই পাকিস্তানি পেসার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জায়গা মেলায় তবু একটু আশা পেয়েছিলেন। ২৩ মে বিশ্বকাপের দলের স্কোয়াড চূড়ান্তের শেষ। তাই সিরিজে ভালো পারফরম্যান্স করে স্কোয়াডে ঢুকে পড়ার সুযোগ ছিল আমিরের। কিন্তু ভাইরাস সংক্রমণ যে তাঁকে সে সুযোগ দিচ্ছে না।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন আমির। কিন্তু সে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ইনিংসের অর্ধেক শেষ হওয়ার আগেই বৃষ্টি খেলা পণ্ড করে দেওয়ায় বোলিং করা হয়নি আমিরের। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আর নামা হয়নি তাঁর। সেদিন তাঁর অনুপস্থিতির পেছনে ভাইরাস সংক্রমণের কথা জানানো হয়েছিল। এখন নির্দিষ্ট করে জানা গেছে, জলবসন্তে আক্রান্ত হয়েছেন আমির। এর আগেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা লেগ স্পিনার শাদাব খান হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বসন্তে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন আমির। বসন্ত থেকে সেরে উঠতে কত সময় লাগবে সেটা জানা যায়নি এখনো। এক সপ্তাহও যদি সময় লাগে, সে ক্ষেত্রেও আমিরের জন্য বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ দলে ফেরা কঠিন হবে। কারণ ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজের শেষ ম্যাচ ১৯ মে। ১৭ মের চতুর্থ ওয়ানডেতে দলে ঢুকতে না পারলে নিজের গুরুত্ব বোঝানোর শেষ সুযোগ হারাবেন আমির।

বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াডে জায়গা না পেয়েও আশা হারাননি আমির। ইংল্যান্ড সফরে জায়গা পেয়েই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। নিষেধাজ্ঞার জন্য দুটি বিশ্বকাপে খেলতে না পারা আমির হয়তো ভেবেছিলেন নিজের প্রিয় ভেন্যুতে ফিরে পারফরম্যান্স দিয়ে নির্বাচকদের মন গলাবেন। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের গতি নির্ধারণ করে দেওয়া স্পেলটি যে তাঁরই ছিল।

২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর থেকেই অবশ্য ফর্ম হারিয়ে ফেলেছেন আমির। ১৫ ওয়ানডেতে মাত্র ৫ উইকেট তাঁর। কিন্তু তাঁর ৪.৫৮ ইকোনমি রেট (৫.২৮, জিম্বাবুয়ে ও হংকংকে বাদ দিলে) পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড ৩৭৩ রান তুলেছিল। এবারের বিশ্বকাপে রান বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সবাই। সে ক্ষেত্রে আমিরের মতো কম ইকোনমি রেটের একজন বোলারকে দরকার হতেই পারে পাকিস্তানের। কিন্তু আমির নিজেই যে সুযোগ নষ্ট করেছেন এর আগেই।