'পরিবর্তিত' স্মিথ এখন পাত্তা দেন না অনেক কিছুই

ফিরেই সেদিন সেঞ্চুরি করেছেন স্মিথ। ছবি : এএফপি
ফিরেই সেদিন সেঞ্চুরি করেছেন স্মিথ। ছবি : এএফপি
>

বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দর্শকদের কাছ থেকে ভালো অভ্যর্থনা পাননি স্টিভ স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নার। দুয়োধ্বনি পাওয়া স্মিথ অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি এসব পাত্তা দেন না।

বল টেম্পারিং কাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরেছেন স্টিভ স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নার। ফিরেছেন ঠিক ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগেই। তবে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের আসরটা যে স্মিথ-ওয়ার্নারের জন্য খুব স্বস্তিদায়ক হবে না, সেটি বোঝা যাচ্ছে। শনিবার প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার সময় দর্শকেরা দুয়োধ্বনি দিয়েছেন এ দুজনকে। সে ম্যাচে অবশ্য দুয়োর জবাব সেঞ্চুরিতেই দিয়েছেন সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এসব তিনি মোটেও পাত্তা দেন না।

কথাটা স্মিথ বলেছেন রীতিমতো উপমার আশ্রয় নিয়ে, ‘হাঁস তো সারাক্ষণ পানিতে থাকে। তা সত্ত্বেও তার গায়ে কখনো পানি লাগতে দেখেছেন? আমার কাছে দর্শকের দুয়োধ্বনির বিষয়টাও এমন। দর্শকদের কে কীভাবে আচরণ করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। গায়ে না লাগালেই হলো। এসব আমি একদম পাত্তা দিই না।’

স্মিথ খুব ভালো করেই জানেন, কেন তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে। তাঁর ওপর সতীর্থদের প্রত্যাশা কেমন। সেটি মাথায় রেখেই তিনি খেলছেন নিজের মতো। দর্শকদের দুয়ো গায়ে মাখার সময়ই নেই তাঁর, ‘আমার একটা কাজ। এমন কিছু করা, যাতে সতীর্থরা আমাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে। সমর্থকেরা যেন আমাকে নিয়ে গর্বিত হতে পারে। আমি দলের সবার কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের আচার-ব্যবহার দেখে মনেই হচ্ছে না, আমি এক বছর তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করিনি। আমি জানি, ড্রেসিংরুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থরা সবাই আমার পাশে আছে। আমাকে সমর্থন করে চলেছে। এটাই আমার কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্য কিছু নয়।’ যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী স্মিথের কণ্ঠ।

বল টেম্পারিং ও তার পরে নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটা তাঁকে মানুষ হিসেবে বদলে দিয়েছে, এমনটাই মানছেন স্মিথ, ‘আমি বল টেম্পারিংয়ের পুরো ব্যাপারটাই ভুলে গিয়েছি। একটা বছর মাঠের বাইরে থাকার ফলে আমি এমন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, যা আগে পাইনি। নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় পেয়েছি। সমাজসেবা করতে পেরেছি, যা মানুষ হিসেবে আমাকে উন্নত করেছে, পরিণত করেছে।’

পরিবর্তিত এই স্মিথকেই তো বড় দরকার অস্ট্রেলিয়ার!