১৩০০ ম্যাচের অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের শক্তির জায়গা

এই পাঁচ ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বড় স্বপ্নের মূল। ছবি: প্রথম আলো
এই পাঁচ ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বড় স্বপ্নের মূল। ছবি: প্রথম আলো
>বিশ্বকাপ জিততে অভিজ্ঞতা লাগে। বাংলাদেশ দলে অভিজ্ঞতার কমতি দেখছেন না কোচ স্টিভ রোডস। বরং অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ এক দল নিয়েই এবার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। আকারে-ইঙ্গিতে রোডস বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাদেশ দলেরও ভালো সম্ভাবনা আছে

বিশ্বকাপে এবার দলীয় অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ মোটেও পিছিয়ে নেই। ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের চেয়েও। দলের মোট ১৫ জনের ওয়ানডে অভিজ্ঞতা ১ হাজার ৩০০ ম্যাচের বেশি। এর মধ্যে পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের কথা তো আলাদা করে বলতেই হয়। প্রায় এক যুগ ধরেই তাঁরা বাংলাদেশ দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁদের ঝুলিতে আছে মোট ৯৮০ ওয়ানডের অভিজ্ঞতা। এসব হিসাবে নিলে এবারের বিশ্বকাপে ভালো না করার কোনো কারণ নেই বাংলাদেশের। অভিজ্ঞতা যদি বড় নিয়ামক হয়, তাহলে বাংলাদেশের ধারেকাছে আছে কম দলই।

মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ—এ পাঁচ ক্রিকেটার ওয়ানডে খেলেছেন ন্যূনতম ১৭৫টি। ২০০৭ সাল থেকে এ পাঁচ ক্রিকেটার একসঙ্গে মাঠে নেমেছেন ১০৪ ওয়ানডেতে। এর মধ্যে ৫১ ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ। তাঁরা একসঙ্গে মাঠে না থাকলে বাংলাদেশের খেলায় এর প্রভাব পড়ে। যেমন ধরুন, এই পাঁচ ক্রিকেটার একসঙ্গে মাঠে না থাকলে দলের ওভারপ্রতি গড় রান ৩.৯৯। কিন্তু তাঁরা থাকলে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ৫.৩৬। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের ওভারপ্রতি রান তোলার হার ৫.৩২। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশ দলে এই পাঁচ ক্রিকেটার কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

একসঙ্গে সম্ভবত এটিই তাঁদের শেষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। নিজেদের সব অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিতে প্রস্তুত তাঁরা সবাই। কিছুদিন আগে সাকিব বলেছিলেন, বাংলাদেশের এবার বিশ্বকাপজয়ের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি সম্ভবত তাঁর সতীর্থদের অভিজ্ঞতার কথা ভেবেই বলেছিলেন সাকিব। কোচ স্টিভ রোডসও খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা নিয়ে আশাবাদী। সরাসরি ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়া’র প্রসঙ্গ না টানলেও বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ বুঝিয়ে দিয়েছেন, খেলোয়াড়েরা অভিজ্ঞতার ন্যায্য দাম দিতে পারলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।

আইসিসির ওয়েবসাইটকে রোডস তাঁর আশার কথা বলেছেন, ‘লোকে বলে, বিশ্বকাপ জিততে অভিজ্ঞতা লাগে। আমি খুশি দলে অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ পরিপূর্ণ। আমি তাঁদের (পাঁচ ক্রিকেটার) অনেক কথাই শুনি, এত অভিজ্ঞতা থাকলে না শোনার কারণ নেই।’

অনেকের মতেই এবার বিশ্বকাপ হবে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কোনো দলই আলাদা করে বাকি প্রতিপক্ষের চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে নেই। রোডস তাই মনে করেন, এবার ২০১৯ বিশ্বকাপে যেকোনো দলেরই ভালো সম্ভাবনা রয়েছে, ‘মোট ১০ দল খেলছে বিশ্বকাপে। সম্ভাবনার কথা বললে বিশ্বকাপে আমরা নবম ফেবারিট দল এবং আফগানিস্তান দশম ফেবারিট—তবে নিজেদের দিনে আমরা যেকোনো বড় দলকেই হারাতে পারি।’