তামিমের আবার কী হলো!

লন্ডন শহরটা তামিম ইকবালের এমনিই প্রিয়। ঐতিহ্য, আভিজাত্য, দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা বা আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার কারণেই শুধু নয়, ক্রিকেটীয় দিক দিয়েও এই শহরটা তামিমের কাছে ভীষণ পয়মন্ত। ওভালে যে দুটো ওয়ানডে খেলেছেন একটিতে করেছেন ১২৮, আরেকটি ৯৫ রান। তামিম যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরশু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে, তখনই পেলেন দুঃসংবাদ।

চোটে পড়ায় কার্ডিফে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলতে পারেননি তামিম। দুদিন বিশ্রামের পর আজ সকালে ওভালের নেটে শুরু করেছিলেন ব্যাটিং অনুশীলন। ২০-২৫ মিনিট হঠাৎই ফিজিওর সঙ্গে নেট থেকে বেরিয়ে এলেন। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে সতীর্থরা উদ্বেগভরা দৃষ্টিতে জানতে চাইলেন কী হয়েছে। তামিম দেখালেন বাঁ হাতের কব্জির নিচে লেগেছে।

টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে এখনো তামিমের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ শুধু এতটুকুই বলতে পারলেন, ‘এখনো রিপোর্ট পাইনি। পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এখনই কিছু বলতে পারছি না। রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। এটা চিন্তার বিষয়। মাত্রই সে নেটে নেমেছিল।’

তামিমকে নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আরও দুঃসংবাদ, ভারতের বিপক্ষে পিঠে চোট পাওয়া সাইফউদ্দীন আজ অনুশীলনই করতে পারেননি। মাঠে এসেছিলেন। তবে ফিজিওর সঙ্গে পুরো মাঠ দুই চক্কর দিয়ে ফিরে গেছেন ড্রেসিংরুমে। সাইফউদ্দীনের বিষণ্ন মুখটা দেখে মনে হচ্ছিল, তাঁর প্রথম ম্যাচ খেলা ভীষণ অনিশ্চিত।

দুশ্চিন্তা বাড়ালেন না তো তামিম! ফাইল ছবি
দুশ্চিন্তা বাড়ালেন না তো তামিম! ফাইল ছবি

হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজাও আজ বোলিং করেননি। তবে কাফ ইনজুরিতে পড়া মোস্তাফিজুর রহমান বোলিংয়ে ফিরেছেন। দলের চোটাঘাত নিয়ে ওয়ালশ বললেন, ‘সেরে উঠতে একটু সময় লাগছে। আজ আর কাল আছে আমাদের হাতে। সাইফউদ্দীন গত ম্যাচে চোট পেয়েছিল। সে এখন ফিজিওর তত্ত্বাবধানে আছে। আজ পূর্ণ বিশ্রামে ছিল। কাল পর্যবেক্ষণের পর বোঝা যাবে কতটা সেরে উঠেছে। ম্যাশেরও চোট আছে। কাল তাকেও পর্যবেক্ষণ করা হবে।’

এদিকে, বিসিবি জানিয়েছে, ওভালের নেটে ব্যাটিংয়ের সময় তামিমের বাঁ হাতের কব্জিতে জোট পেয়েছেন। তাঁকে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করছেন বাংলাদেশের ফিজিও। সতর্কতা হিসেবে আজই দিনের কোনো এক সময় তাঁর কব্জিতে এক্স–রে করা হবে।

বাংলাদেশের দর্শকেরা যখন অপেক্ষায় আছেন টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচের, তখন চোটাঘাতের দুঃসংবাদ! আশা এতটুকুই, বাংলাদেশের হাতে আছে আরও একটা দিন—সংক্ষিপ্ত এ সময়ে যদি সেরে ওঠেন সবাই!