দুই দলের বোলারদের চ্যালেঞ্জটাই বেশি

টন্টনে আজ এমন দুটি দল মুখোমুখি হচ্ছে, যারা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলছে, একই সঙ্গে কিছুটা অননুমেয়ও হয়ে উঠেছে।

অনেক দিন আগে আমি যখন সমারসেটের হয়ে খেলতাম, টন্টনের উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য দুর্দান্ত ছিল। সাম্প্রতিক কালে এখানে যে কয়েকটা ম্যাচ হয়েছে, তাতেও মনে হয়েছে, উইকেটের চরিত্র আগের মতোই আছে। বিশেষ করে সোজাসুজি ছোট সীমানাটা দেখে বিগ হিটাররা তো অবশ্যই, সাধারণ ব্যাটসম্যানরাও প্রলুব্ধ হয়ে উঠবেন। আজ তাই দুই দলের বোলারদের চ্যালেঞ্জটাই বেশি। মাথার ওপর দিয়ে চার-ছক্কা খাওয়া থেকে বাঁচতে ওদের লেন্থ নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা বিগ হিট ঠেকাতে খাটো লেন্থের বলের ওপরই নির্ভর করে। কারণ, রোহিত শর্মার মতো অল্প কিছু ব্যাটসম্যানই আছে সামনে পা নিয়েও খুব ভালোভাবে নিজের ভর পরিবর্তন করতে পারে। সে এটা এত সহজে করে যে ওকে বাউন্সার দেওয়ার চেষ্টাই বৃথা।

অন্য অনেক দলের মতো বাংলাদেশ দলও রানের গতি থামাতে ব্যর্থতার কারণে ভুগছে। রানের গতি থামাতে বোলারদের আর্চার কিংবা বুমরার মতো অতিরিক্ত গতি অথবা মুভমেন্ট দরকার অথবা চাহালের মতো লুপের দরকার। টুর্নামেন্টের অন্য স্পিনাররা সেভাবে নিজের ছাপ রাখতে পারেনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা নিশ্চিতভাবেই অনেক বাউন্সার দেবে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কীভাবে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়, সেটা দেখার মতো ব্যাপার হবে। আরও দেখার মতো ব্যাপার হবে ক্রিস গেইলকে বল করার জন্য তারা অফ স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করায় কি না। আইপিএলে ক্রিস গেইল বেশ কয়েকবারই অফ স্পিনারের বলে আউট হয়েছে।

২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সহজ আত্মসমর্পণের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের ধারায় ফিরে আসতে চাইবে। টন্টনে বড় এক জয় আবারও তাদের শিরোপা লড়াইয়ে ফিরে আসার সুযোগ করে দেবে।